UPDF in Media

তারিখপত্রিকা/মিডিয়ার নাম ও সংবাদ
০৩.১১.২০২৪প্রথম আলো

পিসিপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
কারাবন্দী ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও পাহাড়ে রাজনৈতিক সমাধান দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ০৩

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে পরিস্থিতি চলেছে, বর্তমান সরকারের সময়ে এসেও সেই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউপিডিএফের নেতা–কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারসহ এ অঞ্চলের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সহসভাপতি কুনেন্টু চাকমা আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলেন এসব কথা বলেছেন। ‘পাহাড়ে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার খবরদারি ও দীর্ঘ পাঁচ বছর আট মাসের কারাজীবনের বিবরণ’ তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কুনেন্টু চাকমা বলেন, ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ৫ বছর ৮ মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। পরে গত ১৬ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হন। এই কারাবাসের সময়ে তিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনী, প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নিপীড়নের শিকার হন বলে দাবি করেন।

এই পাহাড়ি ছাত্র নেতা জানান, ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত থেকে জামিন দেওয়া হলেও জেলগেট থেকে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট আবারও জামিনের আদেশ হলে কারাগার থেকে রাঙামাটি ব্রিগেডে নিয়ে যায় এবং পথে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে দেয়। তাঁকে নির্যাতন কেন্দ্রের (টর্চার সেল) ভেতরে রাখা হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেন কুনেন্টু চাকমা। দাবিগুলো হলো, আটক ইউপিডিএফ ও তাঁর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, জামিনের পর জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ, গত ৩০ অক্টোবর এবং গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিল করে রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৩.১১.২০২৪ Daily Star

PCP issues seven-point demand, including release of detained UPDF members

Star Digital Report
Sun Nov 3, 2024 04:24 PM
Last update on: Sun Nov 3, 2024 06:11 PM

The Pahari Chhatra Parishad (PCP) today announced a seven-point demand urging the interim government to address escalating issues in the Chittagong Hill Tracts (CHT), including the immediate release of United People’s Democratic Front (UPDF) leaders, activists, and supporters detained in Khagrachari and Rangamati

The PCP condemned what it called “fabricated” charges against these individuals and urged their withdrawal.

PCP Vice President Kunentu Chakma presented the demands at a press conference at the Jatiya Press Club in Dhaka, emphasising the lack of progress in the CHT since August.
“There has been no improvement in the situation in the Chittagong Hill Tracts after August 5,” he said.

“Military rule continues in the Chittagong Hill Tracts,” he added.
Among the PCP’s demands is the repeal of an 11-point directive from the Ministry of Home Affairs dating back to 2015.
They also demanded the arrest of those allegedly involved in the recent killings of UPDF members and civilians.

Specifically, the PCP cited the deaths of three UPDF members in Panchhari on October 30 and four others in Khagrachari and Rangamati on September 19 and 20.
The PCP demanded compensation for families affected by these incidents, including victims of arson attacks.
Additionally, Kunentu called on the government to ensure accountability for alleged murders, abductions, enforced disappearances, and acts of terrorism in the CHT, which the PCP attributes to “fascist government rule.”
The PCP also demanded the withdrawal of charges against students connected to the mob-beating death of a teacher, Sohel Rana, at Khagrachari Technical School and College.
Their demands also included the lifting of military rule in the CHT and initiating steps toward a political solution for the region’s issues.

* News Link here
০৩.১১.২০২৪ভোরের পাতা

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৭ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিলসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। 

রোববার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কুনেন্টু চাকমা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমন-পীড়ন, নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনার শিকার হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বহু নেতাকর্মীকে কারাবন্দি হতে হয়েছে।’

সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন কুনেন্টু চাকমা। 

দাবিগুলো হলো
১. অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দিতে হবে। আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।

২. গত ৩০ অক্টোবর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিন জন ইউপিডিএফকর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।

৩. পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করতে হবে।

৪. গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চার জন পাহাড়িকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সেনা-সেটলাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। এছাড়াও নিহত ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৫. ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ভেঙে দিতে হবে। তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ওসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।

৬। খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৭। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিল করে সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৩.১১.২০২৪বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৭ দফা দাবি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২৪

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিলসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
রোববার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কুনেন্টু চাকমা লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ-অব্দি শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক দমন-পীড়ন, অমানুষিক নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনার শিকার হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বহু নেতাকর্মীকে কারাবন্দি হতে হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংবাদ সম্মেলনে কুনেন্টু চাকমা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।  
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে; অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দিতে হবে। আদালত থেকে জামিনের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে; গত ৩০ অক্টোবর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিনজন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করতে হবে; ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ভেঙে দিতে হবে এবং তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৪
ইএসএস/আরআইএস

* খবরের লিঙ্ক এখানে

০৩.১১.২০২৪বায়ান্ন নিউজ

আটক বন্দীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবি ‍
ঢাকায় পিসিপি নেতা কুনেন্টু চাকমার সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ : ৩৪ পি.এম.

হাইকোর্টের জামিন পদদলিত করে জেলগেইটে দুই বার পুনঃআটক, পাহাড়ে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার খবরদারি ও দীর্ঘ ৫ বছর ৮ মাসের কারাজীবনের বিবরণ তুলে ধরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সদ্য কারামুক্ত কুনেন্টু চাকমা।
রোববার (৩ নভম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলাস্থ জহুর হোসেন চৌধুরী হল রুমে তিনি এই সংবাদ সম্মেলনে করেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে কুনেন্টু চাকমা অবিলম্বে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি, আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেইট থেকে পুনরায় গ্রেফতার বন্ধ এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহারসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নিকট ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুনেন্টু চাকমা তাকে গ্রেফতার ও নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে বলেন, ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাঙমাটি জেলা সদর উপজেলা কুদুকছড়ি আবাসিক এলাকায় সাংগঠনিক কাজে অবস্থান করার সময় একটি দোকান থেকে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এসে আমাকে গ্রেফতার করে। আমাকে গ্রেফতারের সময় সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনীর দু’জন সদস্যও ছিল, যাদেরকে আমি চিনতে পারি। গ্রেফতারের পর আমাকে রাঙামাটি সেনা ব্রিগেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমার ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে সময় সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেনাবাহিনী অমানুষিক নির্যাতনের পর আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন পিসিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ’র বিরুদ্ধে জোরপূর্বকভাবে সেনাবাহিনীর নির্দেশিত স্বীকারোক্তিমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিতে বাধ্য করে। এই স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যটি সেনা সদস্যরা ভিডিও করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেই বক্তব্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচার করে। মূলত পাহাড়-সমতলে এবং সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আমার সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ’র ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করতে সেনাবাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। রাঙামাটি রিজিয়নের সেনাবাহিনী সদস্যদের উক্ত জোরপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেনা সদস্যদের এহেন কার্যকলাপকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সেনা-গোয়েন্দা কর্তৃক জেল গেইট গ্রেফতার ও হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সদস্যরা নির্যাতন করার পর তাদের কাছ থেকে অস্ত্র গুজে দিয়ে আমাকে রাঙামাটি কতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে। পরের দিন পুলিশ আমাকে ‘অস্ত্র ও চাঁদাবাজি’র মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে নিয়ে যায় এবং আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ করে। উক্ত অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলায় আমি এক বছরের অধিক রাঙামাটি কোর্টে জামিন আবেদন করি। যখন জামিন চাওয়া হয় প্রতিবারে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি তা তীব্র বিরোধিতা করে এবং আমাকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তকমা দিয়ে বিচারককে বলে আমাকে জামিন দেওয়া যাবে না, জামিনে বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে আপত্তি আছে… ইত্যাদি। পরে আমাকে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে প্রায় ৩২ মাস পরে নিম্ন আদালত থেকে জামিন দেয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষ জামিন পত্র পাওয়ার পর বিকাল আনুমানিক ৫টায় কারাগারের কার্যালয়ে আমাকে ডেকে নেওয়া হয়। কারাগারের জেলারসহ অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা আমাকে সাফ জানিয়ে দেন যে, পাহাড়ি বন্দিদেরকে মুক্তি দেয়া হবে কিনা তা রাঙামাটি ব্রিগেড থেকে অনুমতি নিতে হয়। ঠিক সে মুহূর্তে রাঙামাটি ব্রিগেডের জি-টু মেজর নাজমুল যতক্ষণ পর্যন্ত কারাগারে পৌঁছাবে না ততক্ষণ আমাকে কারাগারের অফিসে বসিয়ে রাখার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। রাত ৮:৩৫টায় কারাগারে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত হলে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে বাহির করে দেয়। কারাগার থেকে বের হয়ে দেখি কারাগারের ফটকের ভিতরে সিভিল ড্রেসে ৫-৬ জন গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এদের মধ্য থেকে প্রথমে একজন আমাকে ধরে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে দেয়। তখন আমি একজনকে বলতে শুনি সামনে সিসি ক্যামেরা আছে চোখের কাপড় খুলে দাও। তারপর তারা আমাকে কারাফটক থেকে রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে দেখলাম তিনটি সেনাবাহিনীর পিকআপ দাাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে সাদা রংয়ের, যেখানে “UN” লেখা, আর পিছনের দুইটি পিকআপে আনুমানিক ২০-২২ জন সেনাবাহিনী ছিলো। তারা আমাকে “UN” লেখা পিকআপে তুলে নিয়ে রাঙামাটি সদর জোনে নিয়ে যায়। জোনে আমাকে সারারাত চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি ছোট রুমে আটকে রেখে পরেরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বিকালে রাঙামাটি জোন থেকে আবারো অস্ত্র গুজে দিয়ে আমাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পুলিশ আমাকে আদালতে নিয়ে গেলে আদালত আমাকে দ্বিতীয়বারের মত কারাগারে প্রেরণ করে। যখন আমাকে “UN” লেখা গাড়ীতে তোলা হচ্ছিল তখন আমি মনে মনে ভাবলাম যে, জাতিসংঘ মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করে, সেই জাতিসংঘের গাড়ী ব্যবহার করে সেনাবাহিনী আমাকে বেআইনীভাবে কারাফটক থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, এটি সেনাবাহিনী আমার উপর চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এমনিতো জেলগেইট থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনাও সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন

লিখিত বক্তব্যে তিনি দ্বিতীয়বার জেলগেইট থেকে গ্রেফতার ও মুক্তির পাওয়ার বিষয়ে বলেন, আমি কারাগারে থাকার সময় বেশ কয়েকবার জামিন চাইলে নিম্ন আদালত আমাকে জামিন দেয়নি। এরপর প্রায় ১৮ মাস পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাই। জামিন হওয়ার দুইদিন পর শুনি রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনে আমার জামিন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আমি সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে গিয়ে দীর্ঘ আইনী লড়াই করে ৬ মাস পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ থেকে আমার হাইকোর্টের জামিন পুনর্বহাল রাখা হয়। সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখলে বিগত ৩ আগস্ট ২০২৩ সালে আমার জামিনের কাগজপত্র রাঙামাটি কারাগারে আসলে কারা কর্তৃপক্ষ সেদিন সন্ধ্যা ৬ টায় জামিনের জন্য অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে তখন আমি আতঙ্কগ্রস্ত ছিলাম। কারণ এর আগেও সেনাবাহিনী আমাকে জেলগেইট থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এবারও হয়তো তার ব্যতিক্রম হবে না, আমাকে আবারো কারাফটক থেকে তুলে নিয়ে যাবে– এমন আশঙ্কায় ছিলাম। সন্ধ্যা ৭:২৫ টায় আমাকে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে, সেনাবাহিনী সদস্যরা তোমাকে ব্রিগেডে নিয়ে যাবে। সে পর পর সিভিল ড্রেসে ৩ জন ডিজিএফআইয়ের লোক এসে আমাকে বললো আমার সাথে নাকি রাঙামাটি ব্রিগেডের রিজিয়নের স্টাফ মেজর পারভেজ কথা বলবেন। তাই এখন তোমাকে আমাদের সাথে ব্রিগেডে যেতে হবে। তারা আমাকে পুনরায় জেলগেইট থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায়। ব্রিগেডে পৌঁছানোর আগে রাঙামাটি সরকারি কলেজ গেইট পৌছালে আমাকে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে দেয়। আগেকার মতো সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাকে ব্রিগেডের ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেনাদেরকে আমি ওয়াশরুমে যাবার কথা বললে তখন তারা আমার চোখ খুলে দেয়। এসময় আমি দেখি আমাকে একটি টর্চার সেলের ভিতরে রাখা হয়েছে। কক্ষগুলো মাঝারি সাইজের এবং সেখানে ৬টি কক্ষ দেখতে পাই। ঐ টর্চার সেলের বাইরে থেকে কোনো কিছু শব্দ শোনা যায় না এবং দেখাও যায় না। তারপরে রাত ১০ টা বাজে জি-টু মেজর পারভেজ আমার সাথে দেখা করে। তখন তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন- গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ সালে জাতীয় মানবাধিকার চেয়ারম্যান রাঙামাটি কারাগার পরিদর্শনের সময় চেয়ারমানের কাছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন করেছিলে? তুমি তো সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করেছো, এখন কি তোমাকে মানবাধিকার চেয়ারম্যান বাঁচাতে পারবে? আরেকটা মামলা দিয়ে দেবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরে তিনি আমাকে একটি শর্ত দেন যে, তাদেরকে নাকি একটি একে-৪৭ অস্ত্র দিতে হবে। অস্ত্র যদি দিতে না পারি তাহলে হয় মাটির ভিতরে চলে যেতে হবে, নয় আজীবন অন্ধকার কারাগারে থাকতে হবে। তখন আমি তাকে বলি, আমিতো কোনো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের কাছে অভিযোগ করিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেনের কাছেই অভিযোগ করেছিলাম। তাঁকে তো সরকার নিয়োগ দিয়েছে, সে কারণে আমি তার কাছে অভিযোগ করেছি। কারণ আমাকে ২০২১ সালে একবার জেলগেইট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাঙামাটি ব্রিগেডের টর্চার সেলে (বর্তমানে আয়নাঘর হিসেবে পরিচিত) ২ দিন আটক রাখার পর ৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখে রাত ১২ টার সময় সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাকে বলে ‘যদি তুমি আমাদেকে একে-৪৭ অস্ত্র দিতে না পার তাহলে তোমাকে এনকাউন্টারে দেওয়া হবে’ এটা নিশ্চিত এবং এটি সরাসরি উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে বলে হুমকি দেয়। আমি তখনও তাদেরকে বলেছিলাম ঠিক আছে আমাকে ক্রসফায়ারে দাও, তবুও আমাকে দ্বিতীয়বার কারাগারে দেবেন না। কারণ কারাগারে আমি মানসিকভাবে কষ্ট পাই, এরকম মানসিক কষ্টের মধ্যে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। সেনাবাহিনী সদস্যরা রাত আনুমানিক ৩টার পরে আমাকে কাউখালীর ঘাগড়া আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং থানা পুলিশকে ক্যাম্পে আসতে বলে। তখন আমি জানতে পারি আমাকে আরও একটি অস্ত্র মামলা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তারা আমাকে কাউখালি থানায় নিয়ে গিয়ে একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেয়। সকালের দিকে আমাকে আদালতে নিয়ে গেলে আদালত পুনঃবার কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। এই মিথ্যা মামলায় আমি ৩ মাস ১৫ দিন পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাই। জামিন পাওয়ার একদিন পরে রাষ্ট্র পক্ষের এটর্নি জেনারেলদের তীব্র বিরোধিতার কারণে আমার জামিন স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে আপীল করলে সুপ্রীম কোর্ট আমার জামিন পুনর্বহাল রাখে এবং গত ১৬ অক্টোবর ২০২৪ আনুমানিক রাত ৭:৩০ টায় দীর্ঘ ৫ বছর ৮ মাস ১৪ দিন পর আমি রাঙামাটি জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাই।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার অন্যায় নিপীড়নের হাত থেকে পাহাড়ি বন্দীরা মুক্ত হতে চায় উল্লেখ করে কুনেন্টু চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কারাগারে শুধু আমি নয়, কিংবা কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নয়, সেখানে আরো অনেক নিরীহ পাহাড়ি বন্দীদের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা লোকজন কর্তৃক দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এভাবে আটক রাখা হয়েছে। বহু পাহাড়িকে কারাগারের ফটক থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নতুন মামলায় জড়িয়ে দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এখনো বহু পাহাড়ি বন্দীকে রাঙমাটি কারাগারে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ২০১৮ সাল থেকে রাঙামাটি কারাগারে সেনা-গোয়েন্দা কর্তৃক কারাফটক থেকে তুলে নিয়ে পুনঃগ্রেফতারের ঘটনা ঘটতে থাকলেও কোন পত্রিকা ও গণমাধ্যমগুলোতে তা প্রকাশ হয়নি কিংবা প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে বন্দীদের উপর চলা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের কথা দেশের মানুষকে জানতে দেওয়া হয়নি। ফলে কারাফটক থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা এখনো অব্যাহত রেখেছে সেখানকার সেনা-গোয়েন্দা সংস্থা লোকজন। আমরা এর সুরাহা চাই, প্রতিকার চাই এবং সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার এই অন্যায় নিপীড়নের হাত থেকে পাহাড়ি বন্দীরা মুক্ত হতে চায়।
ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে কুনেন্টু চাকমা বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণভ্যুত্থানের ফলে আজকে আমি বন্দীদশা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। যদি এই আন্দোলন সফল না হতো কিংবা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসন অবসান না ঘটতো তাহলে আমি মুক্ত হতে পারতাম না বলে আমি মনে করি। তাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তীতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির এখনো পর্যন্ত কোন পরিবর্তন ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের রদবদল করা হলেও হাসিনার আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন-গুমে জড়িত সেনা-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। সেনাবাহিনীর সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী ভেঙ্গে দেয়া হয়নি। যার কারণে হাসিনার দোসর সেনা কর্মকর্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে। সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩জন ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা পাহাড়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রাখার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। গত ১২ আগস্ট ২০২৪ খাগড়াছড়ি সদরস্থ সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ও চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় গ্রাফিতি অঙ্কনের সময় খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. আবুল হাসনাত এর নেতৃত্বে হামলা ও লাঠিচার্জ করা হয়। ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক হামলা করে কয়েক শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী নির্বিচার গুলি করে দুই জনকে হত্যা করা হয় এবং দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনে একজন পাহাড়ি নিহত হন। অন্যদিকে রাঙ্গামাটিতে একজন পাহাড়ি শিক্ষার্থিকে সেটলাররা কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গত ১ অক্টোবর ২০২৪ খাগড়াছড়ি সদরে পাহাড়িদের ওপর আবারো সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়, বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সেনা-প্রশাসনের উপস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক হামলা এবং সেনাদের হাতে নিরীহ পাহাড়ি নিহতের ঘটনা এবং সেনাসৃষ্ট সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে ধারাবাহিকভাবে ইউপিডিএফ সদস্যদের হত্যার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয় যে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির মূলে রয়েছে সেনা-প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলনে কুনেন্টু চাকমা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:
১) অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দিতে হবে; আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেইট থেকে পুনরায় গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে; এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।
২) সেনাবাহিনীর সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ সন্ত্রাসী কর্তৃক গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩ জন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
৩) পার্বত্য চট্টগ্রামে জারিকৃত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দমনমূলক “১১ দফা” নির্দেশনা বাতিল করতে হবে।
৪) গত ১৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন পাহাড়িকে হত্যার সাথে জড়িত সেনা-সেটলাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। এছাড়াও নিহত এবং অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
৫) ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ভেঙে দিতে হবে এবং তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি দিতে হবে।
৬) খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৭) পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিলপূর্বক সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে

০৩.১১.২০২৪বার্তা২৪

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
০২:৪০ পিএম | ০৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৯ কার্তিক ১৪৩১ | ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

পার্বত্য চট্টগ্রামে জারিকৃত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ‘১১ দফা’ নির্দেশনা বাতিল করাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
রোববার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) আয়োজিত ‘হাইকোর্টের জামিন পদদলিত করে জেলগেইটে দুই বার পুনঃআটক, পাহাড়ে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার খবরদারি ও দীর্ঘ ৫ বছর ৮ মাসের কারাজীবনের বিবরণ তুলে ধরতে ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমার’ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কুনেন্টু চাকমা লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ-অব্দি শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক দমন-পীড়ন, অমানুষিক নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনার শিকার হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বহু নেতা-কর্মীকে কারাবন্দী হতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসন আমলে ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আমি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব থাকাকালীন রাঙামাটির কুতুকছড়ি এলাকা থেকে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক গ্রেফতার হই।
গ্রেফতারের পর আমাকে রাঙামাটি সেনা ব্রিগেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমার ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে সময় সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেনাবাহিনী অমানুষিক নির্যাতনের পর আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন পিসিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ’র বিরুদ্ধে জোরপূর্বকভাবে সেনাবাহিনীর নির্দেশিত স্বীকারোক্তিমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিতে বাধ্য করে। আমি উক্ত জোরপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেনা সদস্যদের এহেন কার্যকলাপকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
এসময় কুনেন্টু চাকমা সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো:
১। অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দিতে হবে; আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেইট থেকে পুনরায় গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে; এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।
২। সেনাবাহিনীর সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ সন্ত্রাসী কর্তৃক গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩ জন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
৩। পার্বত্য চট্টগ্রামে জারিকৃত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ‘১১ দফা’ নির্দেশনা বাতিল করতে হবে।
৪। গত ১৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন পাহাড়িকে হত্যার সাথে জড়িত সেনা-সেটলাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। এছাড়াও নিহত এবং অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
৫। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ভেঙে দিতে হবে এবং তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি দিতে হবে।
৬। খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৭। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিলপূর্বক সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৩.১১.২০২৪বাংলা ট্রিবিউন

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৭ দফা দাবি
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১৮

পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিলসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। রবিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কুনেন্টু চাকমা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমন-পীড়ন, নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনার শিকার হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বহু নেতাকর্মীকে কারাবন্দি হতে হয়েছে।’

সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন কুনেন্টু চাকমা। দাবিগুলো হলো–

১. অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দিতে হবে। আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।
২. গত ৩০ অক্টোবর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিন জন ইউপিডিএফকর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।

৩. পার্বত্য চট্টগ্রামে জারি করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করতে হবে।
৪. গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চার জন পাহাড়িকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সেনা-সেটলাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। এছাড়াও নিহত ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ভেঙে দিতে হবে। তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ওসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
৬। খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৭। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিল করে সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৮.১০.২০২৪প্রথম আলো
১৮ অক্টোবর ২০২৪


১৮.১০.২০২৪ প্রথম আলো

সাক্ষাৎকার
হাসিনা সরকারের নীতি পাহাড়ে এখনো বহাল আছে


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি, আঞ্চলিক রাজনীতি, পাহাড়ের নিরাপত্তা—এসব বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ শঙ্কর সাহা

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩: ৪৪

প্রথম আলো:  ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে পাহাড়িদের অবস্থান কী? 

মাইকেল চাকমা: সারা দেশের জনগণের মতো পাহাড়িদের মধ্যে প্রথম দিকে কিছু আশাবাদ সৃষ্টি করলেও এখন তারা সতর্কতার সঙ্গে সরকারের পদক্ষেপগুলো বিচার করছে। আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সমতলে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, পাহাড়ে তার হাওয়া পৌঁছেনি। এখানে আগের মতোই নিপীড়নমূলক পরিস্থিতি জারি রয়েছে। তা ছাড়া উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িবিরোধী দাঙ্গা তার প্রমাণ। মোটকথা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে আগের সরকারি নীতির কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নীতি পাহাড়ে এখনো বহাল রয়েছে। 

প্রথম আলো: পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতাকে কীভাবে দেখেন? এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে কি? 

মাইকেল চাকমা: দশকের পর দশক ধরে অলিখিত সামরিক শাসন থাকার কারণে পাহাড়ে একটি কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। তারা পাহাড়ে এই অবস্থা বজায় রাখতে চায়, কারণ এতে তাদের স্বার্থ আছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর পাহাড়ের ছাত্ররা বুঝতে পেরেছে যে তাদের পক্ষেও কিছু করা সম্ভব, তারা পাহাড়ে পরিবর্তন চায়। তাই তারা ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে সংগঠিত হচ্ছে। সমতলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাফিতি এঁকেছে। এতে বাধা দেওয়া হলে তারা আরও বেশি বড় সমাবেশ করেছে। তাদের এই সচেতনতা এবং ঐক্য ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা দেখে কায়েমি স্বার্থবাদী মহলটি শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নস্যাৎ করতে সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলোকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। পাহাড়ের সাম্প্রতিক সহিংসতার পেছনের মূল কারণ হলো এটাই। 
পাহাড়ে এ ধরনের পরিস্থিতি ১৯৯০-এর দশকে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পরও দেখা গিয়েছিল। তখন সদ্য গঠিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ছাত্র-গণ-আন্দোলন রোধ করতে একইভাবে উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 
 
প্রথম আলো: দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি-বাঙালি বিরোধের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যেও বিরোধ রয়েছে। এই সমস্যা দূর করা যাচ্ছে না কেন? আপনারা কেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারছেন না? 
 
মাইকেল চাকমা: পাহাড়িদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলার পেছনে মূলত তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর পাহাড়িদের একটি অংশ আন্দোলন থেকে সরে যায়। তারা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ব্যক্তিগত আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, অনেক দলের গঠন ও বিকাশ ইউপিডিএফের মতো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়নি। ফলে তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মানসিকতা ও ভিন্নমত সহ্য করার সংস্কৃতি নেই। ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটা বড় ধরনের বাধা। তৃতীয়ত, শুরুতে যে স্বার্থান্বেষী মহলের কথা বলেছি, সেই মহলটি চায় পাহাড়িদের মধ্যে কোনো ঐক্য গড়ে না উঠুক। সব সময় অনৈক্য, হানাহানি ও সংঘাত থাকলে পাহাড়ে সব সময় তাদের কায়েমি স্বার্থ বজায় থাকে। 
 
প্রথম আলো: বিভিন্ন সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সরকার। এর সুফল পাহাড়ি জনগোষ্ঠী কীভাবে পেতে পারে?
 
মাইকেল চাকমা: সরকার বেশ কিছু বিষয়ে সংস্কারকাজ শুরু করেছে। এটা ভালো দিক। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং যৌক্তিক কর্মসূচিতে সমর্থন দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু এই সংস্কার কর্মসূচিতে সরকার পাহাড়িদের অন্তর্ভুক্ত করছে না। যে সংস্কার হবে, তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষারও প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে সেটা একপক্ষীয় ও অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমরা বিশেষত চাই সংবিধান সংস্কার কমিশনে পাহাড়িদের মধ্য থেকে একজন যোগ্য ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সংবিধানে যদি আমাদের অস্তিত্বই স্বীকার করা না হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ রাজনৈতিক ও নৃতাত্ত্বিক স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিষয়টির উল্লেখ না থাকে, তাহলে আমাদের আগের মতোই অধিকারবঞ্চিত করে রাখা হবে।
আমরা চাই নতুন বাংলাদেশ হবে এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে কোনো একটি জাতি, যে যত সংখ্যাগরিষ্ঠই হোক, অন্য জাতিগুলোর ওপর আধিপত্য কায়েম করতে পারবে না, যে রাষ্ট্রে সব জাতিসত্তার সমানভাবে বিকাশ লাভের সুযোগ থাকবে। 
 
প্রথম আলো: এই সরকারে কাছে আপনাদের চাওয়া কী? 
 
মাইকেল চাকমা: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পাহাড়িদের চাওয়া অনেক। সহজে যে কাজগুলো সরকার করতে পারে, সেগুলো হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা; পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুল নীতিগুলো পরিত্যাগ করা; জনগণের অধিকার হরণের হাতিয়ার হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীকে ব্যবহার করা থেকে সরে আসা; পাহাড়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, কল্পনা চাকমা অপহরণসহ যত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর তদন্ত ও বিচার করা; অনেক দুর্বলতা ও অসম্পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগের সম্পাদিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র শর্তগুলো মেনে চলা; এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করে পাহাড়ি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.১০.২০২৪জাগোনিউজ২৪

পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশের আহ্বান আনু মুহাম্মদের

 নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৪
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ৷
শুক্রবাদ (৪ অক্টোবর) পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমি বলতে চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান করার ক্ষমতা আপনাদের কাছে নেই সেটা আমরা বুঝি। কিন্তু অনেক কিছুই করতে পারেন। তার মধ্যে একটা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো কাদের দখলে আছে সেগুলো প্রকাশ করেন। পাহাড়গুলো কাদের কাছে ইজারাই আছে? এই যে বিশাল বিশাল লুটেরা বিশাল বিশাল ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, কিংবা সামরিক, বেসামরিক, অবসরপ্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তি, এমপি-মন্ত্রী, কাদের কাদের নামে পাহাড় আছে। পাহাড়গুলো কারা দখল করে আছে তাদের তালিকা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড় নষ্ট করে পাঁচ তারকা হোটেল বানানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওখানে একটা পুঁজিবাদের রূপান্তর হয়েছে যার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে সেনা শাসনের মাধ্যমে। কারণ সেনা শাসন থাকলে খবরা-খবর বাইরে যাচ্ছে না। কে কোনটা দখল করলো তার কোনো জবাবদিহিতা নেই, স্বচ্ছতা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন বরাদ্দ, উন্নয়ন কর্মসূচি এটার সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ জবাবদিহি চাই। অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্নীতির তথ্যের জন্য সরকার একটা শ্বেতপত্র কমিটি করেছেন। সেই শ্বেতপত্র কমিটির মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কী কী বরাদ্দ গেলো, কী কী কর্মসূচি গেলো, সেগুলো কীভাবে আছে, কীভাবে ব্যয় হয়েছে সেটা জানার জন্য স্বেতপত্র কমিটি চাই। এগুলো অন্তরবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তিনি বলেন, পর্বত্য এলাকায় গণহত্যার বিচার হয়নি, সেনা শাসন প্রত্যাহার করা, ভূমি সমস্যার সমাধান করা,সাংবিধানিক স্বীকৃতি হয়নি। স্যাটেলার শব্দ নিয়ে অনেকের মধ্যে মানসিক আপত্তি আছে। এটা ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে স্যাটেলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তার আগে যে বাঙালিরা সেখানে যায় নাই তা না। আগে যেসব বাঙালি গেছে তাদেরকে স্যাটেলার বলা হয় না। তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সহ-অবস্থান করে। সমস্যাটা হলো যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো অন্য জাতিসত্তাকে সংখ্যালঘু করতে হবে এবং বাঙালিকে সংখ্যাগুরু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন ,দেশের ছিন্নমূল এবং গরিবদেরকে যখন সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বলা হলো, জমি দেওয়া হবে খাওয়া-দাওয়া হবে এবং সামরিক বাহিনীর প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাদেরকে সেখানে বসানো হলো। তখনই বাঙালি, পাহাড়ি, স্যাটেলার এই সমস্যাগুলো তৈরি হলো।
জাতীয়তাবাদী মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র না হয়, গণতান্ত্রিক সংবিধান না হয়, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে সেটা আশা করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে না। শুধু এই অঞ্চলে নয়, পুরো উপমহাদেশের সমস্যা তৈরি করেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। দুশমনকে তো চিহ্নিত করতে হবে। এই ভৌগোলিক কাঠামো তৈরি করেছে ব্রিটিস সাম্রাজ্যবাদ। পুরো এই অঞ্চলে তারা সমস্যা তৈরি করে রেখেছে। জাতিগত দ্বন্দ্বসহ নানা রকম দ্বন্দ্ব তারা তৈরি করেছে। আজকে বাংলাদেশের সমগ্র জনগণের যে মুক্তির সংগ্রাম সেই সংগ্রামে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার অপসারিত হয়েছে মাত্র কিন্তু ফ্যাসিবাদী যে রাষ্ট্র, শাসক শ্রেণী, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, লুণ্ঠনকারী ব্যবসায় শ্রেণী তারা তো ক্ষমতায় রয়েছে।
গত দুই মাসে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্পর্কের অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সম্প্রতি পাহাড়ে হওয়া সংঘর্ষের তদন্তে একটি গণতদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। কারণ, পাহাড়ে সংঘর্ষের পর তিনজন উপদেষ্টা সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছেন। কিন্তু তাদের সময় হয়নি আক্রান্ত পাহাড়িদের সঙ্গে কথা বলার। তাই তাদের তৈরি কমিশন সঠিক তদন্ত করবে, তা বিশ্বাস করার কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের যে সমস্যা, সেটি একটি রাজনৈতিক সংকট। পাহড়ের এই সংকট সামরিকীকরণ করে সমাধান করা সম্ভব নয়। বরং রাজনৈতিকভাবে সামগ্রিক এই সংকট সমাধান করতে হবে। কারণ পাহাড় নিরাপদ না হলে সমতল নিরাপদ হবে না। পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে, সমতলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
গণঅভ্যুত্থানের দুই মাস না পেরুতেই কেন পাহাড়ে রক্ত ঝরবে প্রশ্ন রেখে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, পাহাড়ে দুই দিনে চারজন খুন হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো স্টেটমেন্ট পেলাম না। এর প্রতিবাদ জানাই। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে। পাশাপাশি এসব হত্যার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, পাহাড়কে আমরা যেন শুধু পর্যটন স্থান হিসেবে না দেখি। এটি পাহাড়িদের জীবনযাপনের অংশ। আমরা হোটেল রিসোর্ট বানানোর জন্য যেন তাদের জায়গা কেড়ে না নেই। এই বিষয়ে আমাদের জোর দিতে হবে।
চিকিৎসক হারুনুর রশিদ বলেন, পাহাড়ের মানুষ আসলেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। আমরা যদি সত্যিই পাহাড়িদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। পাহাড়ের মানুষের ওপর আস্থা রেখে তাদের সঙ্গে সংকট সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, পাহাড়ে বেসামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা ছাড়া সেখানে শান্তি ফিরবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংকট সমাধান করতে হবে।
লিখিত বক্তব্য ইউপিডিএফ এর সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, হাসিনার দুঃশাসন ও জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পাহাড়ি জনগণ ইউপিডিএফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের বুক থেকে এখনো ফ্যাসিস্ট শাসনের জগদ্দল পাথর সরে যায়নি। পাহাড়ের মানুষ এখনো বুক ভরে মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে পারছে না, কারণ সেখানে এখনো আগের মতো সেনাশাসন বলবৎ রয়েছে। গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলায় ও সেনাবাহিনীর নির্বিচার গুলিতে ৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়।
এনএস/এসএনআর/এএসএম

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.১০.২০২৪বাংলা ট্রিবিউন

পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশের আহ্বান আনু মুহাম্মদের
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:২৪
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা‘ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
আনু মুহাম্মদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে সরকার পূর্ণ ক্ষমতা না রাখলেও অনেক কিছুই করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পাহাড়গুলো কাদের দখলে রয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করা। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামরিক ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠী পাহাড় দখল করে রেখেছে এবং এ বিষয়ে কোনও জবাবদিহিতা নেই।
তিনি আরও জানান, পাহাড়ের উন্নয়নে স্বচ্ছ জবাবদিহির প্রয়োজন এবং এজন্য একটি শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করতে হবে। আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা থাকতে হবে।’

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং পাহাড়ি-বাঙালির সম্পর্কের অবনতির কথা উল্লেখ করেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘পাহাড়ের সমস্যা রাজনৈতিক সংকট, যা সামরিকীকরণের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়।’
জাতীয়তাবাদী মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফয়জুল হাকিম লালা উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে, তা ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যার সমাধান হবে না।’
গোলটেবিল বৈঠকে ইউপিডিএফ তাদের সাত দফা প্রস্তাবনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনান প্রত্যাহার, ভূমি সমস্যা সমাধান ও পাহাড়িদের জন্য কোটা পুনর্বহালের দাবি তুলে ধরেছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
04.10.2024দৈনিক বাংলা

পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশের আহ্বান আনু মুহাম্মদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:২৭

অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধভাবে পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
আনু মুহাম্মদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে সরকার পূর্ণ ক্ষমতা না রাখলেও অনেক কিছুই করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পাহাড়গুলো কাদের দখলে রয়েছে সেগুলো প্রকাশ করা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামরিক ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠী পাহাড় দখল করে রেখেছে এবং এ বিষয়ে কোনো জবাবদিহিতা নেই। পাহাড়ের উন্নয়নে স্বচ্ছ জবাবদিহির প্রয়োজন এবং এ জন্য একটি শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করতে হবে।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা থাকতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পাহাড়ের সমস্যা রাজনৈতিক সংকট, যা সামরিকীকরণের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়।
জাতীয়তাবাদী মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফয়জুল হাকিম লালা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে, তা ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যার সমাধান হবে না।

গোলটেবিল বৈঠকে ইউপিডিএফ তাদের সাত দফা প্রস্তাবনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনান প্রত্যাহার, ভূমি সমস্যা সমাধান ও পাহাড়িদের জন্য কোটা পুনর্বহালের দাবি তুলে ধরেছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.১০.২০২৪Dhaka post

পাহাড় যাদের দখলে যাচ্ছে তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত : আনু মুহাম্মদ 

নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আমরা জানি পাহাড়ের জটিলতা কাটানোর এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। কিন্তু একটা কাজ তারা করতে পারেন; সেটা হলো যাদের দখলে পাহাড় চলে যাচ্ছে, তাদের নাম প্রকাশ করা। কোন ব্যবসায়ী, লুটেরা বা কোম্পানির হাতে পাহাড়ের ইজারা রয়েছে, সেগুলো প্রকাশিত হোক।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জাতির সঙ্গে বাঙালিরা শান্তিপূর্ণভাবেই সহাবস্থান করেন। সমস্যাটা তৈরি হলো তখন, যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে কর্মসূচি দেওয়া হলো যে সেখানে বসবাসরত জাতিদের সংখ্যালঘু বানাতে হবে। আমরা ১৯৯২ সালে বলেছিলাম, সেখানে বসবাসরত বাঙালিদের কীভাবে একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে। নানা ধরনের সরকার ক্ষমতায় আসলেও পাহাড়ের জটিলতার সমাধান এখন পর্যন্ত হয়নি।
তিনি বলেন, সংসদে যখন উত্থাপিত হয় যে সংবিধান অনুযায়ী সবাই বাঙালি বলে পরিচিত হবে, তখন মানবেন্দ্র নারায়ণ বলেছিলেন আমরা তো বাঙালি না, এ পরিচয় আমরা কেন গ্রহণ করব। তখন শেখ মুজিব রীতিমতো তাদের ধমক দিয়ে বলেছিলেন তোমরাও বাঙালি হয়ে যাও। যা একটা ভিন্ন জাতির প্রতি অসম্মান, আর সেখান থেকেই কিন্তু জটিলতার সূত্রপাত।
আনু মুহাম্মদ বলেন,৭৫ পরবর্তী সময়ে পাহাড়ে অনেক গণহত্যা হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালে এসে একটি শান্তি চুক্তি হলো। কিন্তু সে চুক্তিও পাহাড়ে শান্তি আনতে পারেনি। দুটো সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি, এর মধ্যে একটি হলো ভূমি সমস্যা ও আরেকটি হলো সাংবিধানিক স্বীকৃতি। রাষ্ট্র যদি অস্তিত্বই স্বীকার না করে, তাহলে সংকট কাটবে কীভাবে?
তিনি বলেন, এরপর পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসল। সেখানে নানারকম পুঁজি প্রবেশ করা শুরু করল। বিভিন্ন জনের হাতে পাহাড়ের দখল যেতে থাকল, সেনা শাসনের ফলে এসব খবরগুলো প্রকাশ পেত না। আমরা জানি যে অন্তর্বর্তী সরকারের পাহাড়ের জটিলতা কাটানোর এখতিয়ার নেই, কিন্তু একটা কাজ তারা করতে পারেন। সেটা হলো যাদের দখলে পাহাড় চলে যাচ্ছে, তাদের নামগুলো প্রকাশ করা।
আনু মুহাম্মদ বলেন,৭২ পরবর্তী সময় সংবিধানে এই জাতিগত পরিচয়ের বিষয়ে যে জটিলতা ও সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে সংবিধান কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং একই সঙ্গে এটা অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারের মধ্যেও পড়ে। পাহাড়িদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়াটা এখন মৌলিক দাবির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করা এখন জরুরি।
ওএফএ/এসকেডি

* খবরের লিঙ্ক এখানে

০৪.১০.২০২৪কাালের কণ্ঠ

পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনায় গণতদন্ত কমিটি গঠনের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:১৪
পার্বত্য তিন জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ওপর দমনপীড়ন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, পাহাড়ে পুরনো কায়দায় নিপীড়ন চলছে। সেখানে জাতিগত বিদ্বেষকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনায় গণতদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানান তারা। 
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) আয়োজিত ওই বৈঠকে মূল বক্তব্যে মাইকেল চাকমা বলেন, ‘শেখ হাসিনার দুঃশাসন ও জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পাহাড়ি জনগণ ইউপিডিএফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের বুক থেকে এখনো ফ্যাসিস্ট শাসনের জগদ্দল পাথর সরানো যায়নি। পাহাড়ের মানুষ এখনো বুকভরে মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না।
গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির জেলার দীঘিনালা ও রাঙামাটি জেলায় পাহাড়িদের ওপর হামলায় ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘শান্তিচুক্তির পরও পাহাড়ে শান্তি আসেনি। তাদের জাতিগত সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে গোপনে পাহাড় দখলের আয়োজন চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা কাজ করতে পারে, সেটা কারা পাহাড় দখল করছে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে পারে।’
বিগত দুই মাসে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্পর্কের অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি পাহাড়ে হওয়া সংঘর্ষের তদন্তে একটি গণতদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। কারণ পাহাড়ে সংঘর্ষের পর তিনজন উপদেষ্টা সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছেন। কিন্তু তাদের সময় হয়নি আক্রান্ত পাহাড়িদের সঙ্গে কথা বলার।
তাই তাদের তৈরি কমিশন সঠিক তদন্ত করবে, তা বিশ্বাস করার কারণ নেই। পাহাড়ের যে সমস্যা, সেটি একটি রাজনৈতিক সংকট। পাহাড়ের এই সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে।’
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র না হয়, গণতান্ত্রিক সংবিধান না হয়, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে সেটা আশা করা ঠিক হবে না। শুধু এই অঞ্চলে নয়, পুরো উপমহাদেশের সমস্যা তৈরি করেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। তারা এই ভৌগোলিক কাঠামো তৈরি করেছে। পুরো এই অঞ্চলে তারা সমস্যা তৈরি করেছে। জাতিগত দ্বন্দ্বসহ নানা রকম দ্বন্দ্ব ও সংঘাত সৃষ্টি করেছে। তাই সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনতে হবে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার অপসারিত হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদী যে রাষ্ট্র, শাসক শ্রেণি, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, লুণ্ঠনকারী ব্যবসায় শ্রেণি তারা ক্ষমতায় রয়েছে।’
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘পাহাড়ে দুই দিনে চারজন খুন হয়েছেন। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো স্টেটমেন্ট পেলাম না। এর প্রতিবাদ জানাই। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে। পাশাপাশি এসব হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘পাহাড়কে আমরা যেন শুধু পর্যটন স্থান হিসেবে না দেখি। এটি পাহাড়িদের জীবনযাপনের অংশ। আমরা হোটেল রিসোর্ট বানানোর জন্য যেন তাদের জায়গা কেড়ে না নিই। এই বিষয়ে আমাদের জোর দিতে হবে।’

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.১০.২০২৪প্রথম আলো

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা
পার্বত্য চট্টগ্রামে জবাবদিহি আনতে গণতান্ত্রিক রূপান্তরে যেতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০: ১০
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সমতলে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পার্বত্য অঞ্চলে তা হয়নি; বরং অবনতি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে হবে। তার জন্য গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকে যেতে হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের উচিত হবে পাহাড়ের জাতিগোষ্ঠীগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া।
‘পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনার আয়োজন করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো কাদের দখলে বা ইজারায় আছে, তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, এটা এই সরকারের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।
সংবিধানে মূল সমস্যাগুলো কী, তা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, সংবিধানে যেসব মৌলিক সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান হলো অন্য জাতিগোষ্ঠীগুলোকে স্বীকৃতি না দেওয়া। সংবিধান সংস্কার কমিশন যেন এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। সরকারিভাবেই এটার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিদের বাইরে অন্য জাতিদের সরকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তাঁরা (অন্যান্য জাতি) নিজেদের ‘আদিবাসী’ বলে মনে করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরোধ জিইয়ে রাখা হয় উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পুরো ব্যবস্থাকে স্বচ্ছতার মধ্যে আনতে হবে, জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। সে কারণে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকে যেতে হবে।
অধ্যাপক স্বপন আদনান বলেন, সরকারের ভুল নীতির কারণে পাহাড়ে সংকট রয়ে গেছে। নিপীড়ন করলে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সরকার পতনের পর পার্বত্য অঞ্চলের পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলে উল্লেখ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, এখন বরং সেখানকার পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য গণতদন্ত কমিটি গঠনের পক্ষে মত দেন তিনি।
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু পাহাড়ে হত্যাকারীদের পরিচয় প্রকাশ এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন।
বাঙালি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্পত্তির ধারণা এক নয় উল্লেখ করে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, বাঙালিদের সম্পত্তির ধারণা ব্যক্তিগত, আর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর হচ্ছে সামষ্টিক সম্পত্তির অধিকারের ধারণা। সে কারণে ব্রিটিশরা যখন সম্পত্তির জরিপ পরিচালনা করে, তখন পার্বত্য চট্টগ্রামকে জরিপের বাইরে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ আমলেও জরিপ হয়নি। পাহাড়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা তখনো ছিল না, এখনো নেই। যদি জরিপই না করা হয়, তাহলে তাদের কাছে কাগজ চাওয়া হয় কোন যুক্তিতে?
গণতান্ত্রিক সংবিধান না হলে পাহাড়ে গণতন্ত্র আসবে না উল্লেখ করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, নতুন সংবিধানে সবার অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা। সঞ্চালনার পাশাপাশি লিখিত বক্তব্যে তিনি জাতীয় সংবিধানে পাহাড়িদের জাতিসত্তা ও ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি, সরকারি চাকরিতে ও সব সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে পাহাড়িদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ দেওয়াসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।
মাইকেল চাকমা বলেন, সরকারের পতনকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের বুক থেকে এখনো ফ্যাসিস্ট শাসনের জগদ্দল পাথর সরে যায়নি। পাহাড়ের মানুষ এখনো বুক ভরে মুক্ত নিশ্বাস নিতে পারছে না।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.১০.২০২৪ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘পাহাড় দখলকারীদের’ তালিকা প্রকাশের আহ্বান আনু মুহাম্মদের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৪

ঢাকা: ‘পাহাড় দখল’ চলছে অভিযোগ তুলে ‘দখলদাকারীদের’ তালিকা প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
গোলটেবিল বৈঠকে আনু মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমি বলতে চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান করার ক্ষমতা আপনাদের কাছে নেই সেটা আমরা বুঝি৷ কিন্তু অনেক কিছুই আপনারা করতে পারেন৷ তার মধ্যে একটা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো কাদের দখলে আছে সেগুলো প্রকাশ করেন৷ পাহাড়গুলো কাদের কাছে ইজারা দেওয়া? এ যে বিশাল বিশাল লুটেরা বিশাল বিশাল ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, কিংবা সামরিক, বেসামরিক, অবসরপ্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তি, এমপি-মন্ত্রী, কাদের কাদের নামে পাহাড় আছে৷ পাহাড়গুলো কারা দখল করে আছে তাদের তালিকা প্রকাশ করেন৷
তিনি আরও বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড় নষ্ট করে পাঁচ তারকা হোটেল বানানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে৷ ওখানে একটা পুঁজিবাদের রূপান্তর হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে সেনা শাসনের মাধ্যমে৷ কারণ সেনা শাসন থাকলে খবরা-খবর বাইরে যাচ্ছে না৷ কে কোনটা দখল করলো তার কোনো জবাবদিহিতা নেই, স্বচ্ছতা নেই৷ 
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন বরাদ্দ, উন্নয়ন কর্মসূচি এটার সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ জবাবদিহি চাই৷ অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্নীতির তথ্যের জন্য সরকার একটা শ্বেতপত্র কমিটি করেছে৷ সেই শ্বেতপত্র কমিটির মতো পার্বত চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কি কি বরাদ্দ গেল, কি কি কর্মসূচি গেল,সেগুলো কীভাবে আছে, কীভাবে ব্যয় হয়েছে সেটা জানার জন্য শ্বেতপত্র কমিটি চাই৷ এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ 
তিনি আরও বলেন, গণহত্যার বিচার বিচার হয়নি, সেনা শাসন প্রত্যাহার করা, ভূমি সমস্যার সমাধান করা, সাংবিধানিক স্বীকৃতি হয়নি৷ স্যাটেলার শব্দ নিয়ে অনেকের মধ্যে মানসিক আপত্তি আছে৷ এটা ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে স্যাটেলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল৷ তার আগে যে বাঙালিরা সেখানে যায়নি তা না৷ আগে যেসব বাঙালি গেছে তাদের স্যাটেলার বলা হয় না৷ তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই৷ তারা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে৷ সমস্যাটা হলো যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল অন্য জাতিসত্তাকে সংখ্যালঘু করতে হবে এবং বাঙালিকে সংখ্যাগুরু করতে হবে৷ 
তিনি বলেন, দেশের ছিন্নমূল এবং গরিবদের যখন সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বলা হলো, জমি দেওয়া হবে খাওয়া-দাওয়া হবে এবং সামরিক বাহিনীর প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাদের সেখানে বসানো হলো৷ তখনই বাঙালি, পাহাড়ি, স্যাটেলার এ সমস্যাগুলো তৈরি হলো৷
গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয়তাবাদী মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফয়জুল হাকিম লালা বলেন, বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র না হয়, গণতান্ত্রিক সংবিধান না হয়, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে সেটা আশা করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে না। শুধু এ অঞ্চলে নয়, পুরো উপমহাদেশের সমস্যা তৈরি করেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। দুশমনকে তো চিহ্নিত করতে হবে। এ ভৌগলিক কাঠামো তৈরি করেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। পুরো এ অঞ্চলে তারা সমস্যা তৈরি করে রেখেছে। জাতিগত দ্বন্দ্বসহ নানা রকম দ্বন্দ্ব তারা তৈরি করেছে। আজকে বাংলাদেশের সমগ্র জনগণের যে মুক্তির সংগ্রাম সে সংগ্রামে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার অপসারিত হয়েছে মাত্র। কিন্তু ফ্যাসিবাদী যে রাষ্ট্র, শাসক শ্রেণি, সমরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, লুণ্ঠনকারী ব্যবসায়ী শ্রেণি তারা তো ক্ষমতায় রয়েছে।
গত দুই মাসে পাহাড়ি ও বাঙালির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সম্প্রতি পাহাড়ে হওয়া সংঘর্ষের তদন্তে একটি গণতদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। কারণ, পাহাড়ে সংঘর্ষের পর তিনজন উপদেষ্ট সেখানে পরিদর্শনে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের যে সমস্যা, সেটি একটি রাজনৈতিক সংকট। পাহড়ের এ সংকট সামরিকীকরণ করে সমাধান করা সম্ভব নয়। বরং রাজনৈতিকভাবে সামগ্রিক এ সংকট সমাধান করতে হবে। কারণ পাহাড় নিরাপদ না হলে সমতল নিরাপদ হবে না। পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে, সমতলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
গণঅভ্যুত্থানের দুই মাস না পেরুতেই কেন পাহাড়ে রক্ত ঝরবে প্রশ্ন রেখে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, পাহাড়ে দুই দিনে চারজন খুন হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো স্টেটমেন্ট পেলাম না। এর প্রতিবাদ জানাই৷ সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে। পাশাপাশি এসব হত্যার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, পাহাড়কে আমরা যেনো শুধু পর্যটন স্থান হিসেবে না দেখি। এটি পাহাড়িদের জীবন-যাপনের অংশ। আমরা হোটেল রিসোর্ট বানানোর জন্য যেনো তাদের জায়গা কেড়ে না নেই। এই বিষয়ে আমাদের জোর দিতে হবে।
চিকিৎসক হারুনুর রশিদ বলেন, পাহাড়ের মানুষ আসলেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। আমরা যদি সত্যিই পাহাড়িদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। পাহাড়ের মানুষের ওপর আস্থা রেখে তাদের সঙ্গে সংকট সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, পাহাড়ে বেসামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা ছাড়া সেখানে শান্তি ফিরবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সংকট সমাধান করতে হবে।
লিখিত বক্তব্য ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, হাসিনার দুঃশাসন ও জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পাহাড়ি জনগণ ইউপিডিএফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের বুক থেকে এখনো ফ্যাসিস্ট শাসনের জগদ্দল পাথর সরে যায়নি। পাহাড়ের মানুষ এখনো বুক ভরে মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে পারছে না, কারণ সেখানে এখনো আগের মতো সেনাশাসন বলবৎ রয়েছে। গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়।  
এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম ও জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৭ দফা প্রস্তাবনা দেয় ইউপিডিএফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৪
এসসি/জেএইচ

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.১০.২০২৪বার্তা২৪

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ইউপিডিএফ’র ৭ দফা দাবি
স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
০৩:৪১ পিএম | ০৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৭ দফা দাবি প্রস্তাবনা করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল হক।
তিনি বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে জাতিগত নিপীড়ন চলছে৷ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল আচরণ করছে না। উপদেষ্টারা পাহাড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেনি তারা দায়সারাভাবে ডিসি অফিসে গিয়ে প্রশাসন, সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলে চলে এসেছেন, সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেননি।
তিনি আরও বলেন,  ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও পাহাড়ী অঞ্চলে এই চুক্তি কোন শান্তি আনতে পারেনি।  এ চুক্তির সামগ্রিক পর্যালোচনা করা উচিত। পাহাড়ের সমস্যা রাজনৈতিক এটা রাজনৈতিক ভাবেই সমাধান করতে হবে, সামরিক ভাবে এর সমাধান করা যাবেনা।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাহাড় নিরাপদ না হলে সমতল ও নিরাপদ হবে না। তাই পাহাড়ে ঘটিত সমস্যা সমাধানে সরকার কে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে জানান তিন
এসময় সংগঠনের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম ও জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাত দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-
অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে এবং বেসামরিকায়ন করে সেখানে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সকল দল ও সংগঠন স্বাধীনভাবে তাদের গণতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে;
স্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রদানপূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে সংস্কার করতে হবে, যাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ তাদের নিজেদের স্বতন্ত্র জাতীয় পরিচয়, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়;
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যা ও সেটলার পুনর্বাসনকে একত্রে বিবেচনাপূর্বক একে একটি সামগ্রিক রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং রাজনৈতিকভাবে তার সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে; এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে পাহাড়িদের কাছ থেকে বেদখলকৃত জমি ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি সেটলারদেরকে জমি বা জীবিকাসহ অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে;
জাতীয় সংবিধানে পাহাড়িদের জাতিসত্তা ও ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং জাতীয় সংসদে সাধারণ আসন ছাড়াও তাদের জন্য একটি নারী আসনসহ ৪টি আসন সংরক্ষণ করতে হবে;
ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলসহ স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবত পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ ও কল্পনা চাকমার অপহরণ ও গুমসহ সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত ও বিচার করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের সহায়তায় ও অংশগ্রহণে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে হামলার ঘটনারও অনুরূপভাবে তদন্ত ও বিচার করতে হবে;
তথাকথিত সীমান্ত সড়ক ও পর্যটন স্থাপনা নির্মাণসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিনষ্টকারী সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রকল্প বাতিল করতে হবে; সরকারী চাকুরীতে ও সকল সরকারী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে পাহাড়িদের জন্য ৫% কোটা পুনর্বহাল করতে হবে;
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি মাইকেল চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সীমা দত্ত, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ড. হারানোর রশিদ, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সভাপতি ফয়জুল হাকিম লালাসহ আরও অনেকে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১২.০৯.২০২৪বাংলা আউটলুক

সংবিধান সংস্কার কমিশন ইতিবাচক পদক্ষেপ, নতুন সংবিধান চায় ইউপিডিএফ
 নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম

বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিককে প্রধান করে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’গঠনের ঘোষণাকে ইতিবাচক ও ‘জনগণের সংবিধান’ রচনার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ আখ্যায়িত করে সাধুবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। আজ বৃহস্পতিবার ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সাধুবাদ জানান। 
তারা কমিশনে সদস্য হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সংবিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজন পাহাড়ি এবং সমতল অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহ থেকেও অনুরূপভাবে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। 
বিবৃতিতে বিকাশ খীসা বলেন, জনগণের প্রকৃত সংবিধান রচনা করতে হলে অবশ্যই দেশের সকল জাতিগোষ্ঠী ও সকল শ্রেণির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে। এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একজন পাহাড়ি এবং সমতল অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহ থেকেও একজনকে কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ও জরুরি।
এ যাবত সংবিধান প্রণয়ন ও সংশোধনকালে একদলীয় স্বেচ্ছাচারিতা ও বৃহৎ জাতিসুলভ দাম্ভিকতা দেখিয়ে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের ন্যায্য দাবিকে বার বার উপেক্ষা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গঠিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এমনকি কমিটির কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ সে সময় যে দাবি পেশ করেছিলেন, তাও প্রত্যাখ্যান করা হয়। এভাবে সংবিধানে পাহাড়িদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না হওয়ার পরিণাম এক সময় ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করে, যার করুণ কাহিনি কমবেশি সবার জানা।
১৯৭২ সালের পর এ পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন করা হলেও সংবিধানটি সকল জাতিসত্তা ও সাধারণ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠার পরিবর্তে তা ফ্যাসিস্ট শাসকের দমন-পীড়ন ও কালাকানুন প্রয়োগের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, অন্যদিকে সাংবিধানিকভাবে দেশের সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ওপর বাঙালি জাতীয়তা আরোপ করে তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বর্তমানে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার যে শর্ত ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সর্বাগ্রে রাষ্ট্রের মূল দলিল সংবিধানকে নতুনভাবে রচনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে ইউপিডিএফ নেতা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
প্রসিত খীসা জনগণের প্রকৃত সংবিধান’রচনার মাধ্যমে বাঙালি, পাহাড়িসহ দেশের সকল জাতিসত্তার স্বীকৃতি, সমানাধিকার, সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমূহের জাতীয় অস্তিত্ব ও ভূমি অধিকারের প্রতি সাংবিধানিক নিশ্চয়তা বিধানের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন বিবৃতিতে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১২.০৯.২০২৪পাহাড়২৪

‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’কে স্বাগত জানিয়ে ‘নতুন সংবিধান’ চায় ইউপিডিএফ
September 12, 2024রাঙামাটি 2 Mins Read

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তা থেকে সদস্য অন্তর্ভুক্তির দাবি
বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিককে প্রধান করে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’গঠনের ঘোষণাকে ইতিবাচক ও ‘জনগণের সংবিধান’ রচনার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ আখ্যায়িত করে সাধুবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
দলটি উক্ত কমিশনে সদস্য হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সংবিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজন পাহাড়ি এবং সমতল অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহ থেকেও অনুরূপভাবে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে উক্ত দাবি জানিয়ে বলেন, ‘জনগণের প্রকৃত সংবিধান রচনা করতে হলে অবশ্যই দেশের সকল জাতিগোষ্ঠী ও সকল শ্রেণীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে। এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একজন পাহাড়ি এবং সমতল অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহ থেকেও একজনকে উক্ত কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত যৌক্তিক ও জরুরি।’
এ যাবত সংবিধান প্রণয়ন ও সংশোধনকালে একদলীয় স্বেচ্ছাচারিতা ও বৃহৎ জাতিসুলভ দাম্ভিকতা দেখিয়ে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের ন্যায্য দাবিকে বার বার উপেক্ষা করা হয়েছে মন্তব্য করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গঠিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এমনকি উক্ত কমিটির কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ সে সময় যে দাবি পেশ করেছিলেন, তাও প্রত্যাখ্যান করা হয়। এভাবে সংবিধানে পাহাড়িদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না হওয়ার পরিণাম এক সময় ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করে, যার করুণ কাহিনী কমবেশি সবার জানা।’
১৯৭২ সালের পর এ পর্যন্ত সতের বার সংশোধন করা হলেও সংবিধানটি সকল জাতিসত্তা ও সাধারণ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠার পরিবর্তে তা ফ্যাসিস্ট শাসকের দমন-পীড়ন ও কালাকানুন প্রয়োগের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘অন্যদিকে সাংবিধানিকভাবে দেশের সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ওপর বাঙালি জাতীয়তা আরোপ করে তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে।’
৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বর্তমানে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার যে শর্ত ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সর্বাগ্রে রাষ্ট্রের মূল দলিল সংবিধানকে নতুনভাবে রচনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে ইউপিডিএফ নেতা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে প্রসিত খীসা ‘জনগণের প্রকৃত সংবিধান’রচনার মাধ্যমে বাঙালি, পাহাড়িসহ দেশের সকল জাতিসত্তার স্বীকৃতি, সমানাধিকার, সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমূহের জাতীয় অস্তিত্ব ও ভূমি অধিকারের প্রতি সাংবিধানিক নিশ্চয়তা বিধানের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইসব তথ্য জানানো হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৮.৮.২০২৪জনকণ্ঠ
২৮ জুলাই ২০২৪



২৮.৮.২০২৪খবরের কাগজ
২৮ জুলাই ২০২৪


২৮.৮.২০২৩Daily Star
August 28, 2024


২৮.৮.২০২৪কালের কণ্ঠ
২৮ জুলাই ২০২৪
২৮.৮.২০২৪ সমকাল

নেতাকর্মী-সমর্থকদের মুক্তিসহ ৮ দাবি ইউপিডিএফের

সমকাল প্রতিবেদক
 প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪ | ০১:০৩

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলে আটক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দেওয়াসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক এ রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ইউপিডিএফ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এসব দাবি জানান দলটির সংগঠক মাইকেল চাকমা।
‘জামিনে মুক্তদের জেল গেটে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ, আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ ইউপিডিএফ ও দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি’ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাইকেল চাকমা বলেন, শুধু সমতলে নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামেও হাসিনার সরকার দমন-পীড়নের স্টিম রোলার চালায়, যার শিকার হয় প্রধানত ইউপিডিএফ। তার ১৫ বছরের শাসনামলে ইউপিডিএফকে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়নি। পার্টির সব অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিনা বিচারে হত্যা, গুম ও আরও অনেককে গ্রেপ্তার-নির্যাতন করা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন পেলেও জেলগেট থেকে একই বন্দিকে বার বার আটক করে জেলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে একটি ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গঠন করে দেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এ বাহিনী হাসিনা সরকারের ছত্রছায়ায় ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট স্বনির্ভর গণহত্যা ও ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পানছড়িতে চার যুবনেতা হত্যাসহ অসংখ্য হত্যা, অপহরণ ও গুমের সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ এখন মুক্ত হাওয়ায় প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এখনও স্বাধীনতার সেই স্বাদ পায়নি। পাহাড়ে এখনও পরিবর্তনের হাওয়া পৌঁছেনি। সমতলে অন্যায়ভাবে আটক রাজবন্দিরা মুক্তি পেতে শুরু করলেও, পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্দি ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এখনও ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এ বন্দিদের অনেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটক। হাসিনার আমলে জামিন পাওয়ার পরও জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার করার কারণে তারা এখন নতুন করে আদালতে জামিনের আবেদন করতে সাহস পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের এক দশমাংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে দেশে প্রকৃত ও অর্থবহ সংস্কার হতে পারে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বা নিপীড়নমূলক অবস্থা জারি রেখে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গণতন্ত্র কায়েম হওয়া অসম্ভব। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে মুক্তি না দিয়ে সমতলের জনগণও প্রকৃত মুক্তি পেতে পারে না। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে হাসিনার সরকার পর্যন্ত দেশের ইতিহাস তারই প্রমাণ দেয়। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারের যে কোনো সংস্কার পরিকল্পনায় কিংবা গণতন্ত্রায়ণের প্রক্রিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামেও আমূল সংস্কার আনতে হবে। তা না হলে দেশে আবার আগের মতো ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো হলো-
১) অবিলম্বে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সব শহীদের নাম প্রকাশ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিস্টদের গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করা।
২) অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দেওয়া; আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ করা; এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করা।
৩) ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ও মগ পার্টি ভেঙে দেওয়া এবং তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া।
৪) স্বনির্ভর গণহত্যা ও পানছড়িতে চার যুব নেতা হত্যাসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা এবং তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে যুক্ত করা।
৫) অবিলম্বে নির্দলীয়, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠন করা।
৬) অবিলম্বে বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে বম জাতিগোষ্ঠীকে নিশানা করে জাতি-নিধন অভিযান বন্ধ করা এবং শিশু ও নারীসহ আটককৃত বমদের মুক্তি দেওয়া।
৭) খাগড়াছড়ির রামগড়ে গৃহবধূকে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার ও রাঙামাটি এবং বান্দরবানে ধর্ষণ প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া।
৮) পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য অপারেশন উত্তরণ বাতিল করে সেনা শাসন প্রত্যাহার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
লিখিত বক্তব্য শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মাইকেল চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সংস্কার চান কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে শান্তি চুক্তি আছে সেটি পরিপূর্ণ নয়। আমরা অবশ্যই এর পরিবর্তন চাই।
ইউপিডিএফ এবং তাদের সমর্থকদের ২৯ জন সদস্য বর্তমানে কারাগারে রয়েছে বলে জানান মাইকেল চাকমা।
জামিনে মুক্তির পর জেল গেটে ইউপিডিএফ এর কতজন কর্মী ও সমর্থককে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তিনজন সমর্থককে জামিনের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে তিনবার, একজনকে দুইবার এবং একজনকে চারবার পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন আয়না ঘরে বন্দি ছিলেন মাইকেল চাকমা। আয়না ঘর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আয়না ঘরে অমানবিকভাবে আটকে রাখা হতো। হিটলার যেভাবে তার কনসানটেশন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে রাখতো, আয়নাঘর ধরে নিতে পারেন ঠিক তেমন একটি জায়গা। যেখানে মানুষকে তার সব মানবাধিকার লঙ্ঘন করে রাখা হতো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি সুনয়ন চাকমা, ইউপিডিএফ সদস্য থুইখোচিং মারমা প্রমুখ।

* খবরের লিঙ্ক এখানে

২৭.৮.২০২৪ Daily Star

Mikel Chakma calls for release of detained UPDF supporters
He also demands UN involvement in judicial process

Star Digital Report
Tue Aug 27, 2024 02:30 PM
Last update on: Tue Aug 27, 2024 02:33 PM
United People’s Democratic Front’s organiser Mikel Chakma today urged the interim government to release 29 supporters of organisation and its affiliated bodies from jail.
Speaking at a press conference at the Jatiya Press Club this morning, Michael Chakma highlighted that while political prisoners in other regions are being released, UPDF leaders and activists in the Chittagong Hill Tracts (CHT) remain incarcerated, with some detained for over five years.
Mikel presented an eight-point demand, including the formation of a special tribunal to investigate all murders and human rights violations in the CHT during what he described as “the fascist regime of Hasina”.
He also called for United Nations’ involvement in the judicial process.
UPDF leader Mikel returned home on August 7, five years after his disappearance.
Mikel, reading from a written statement, demanded the release of individuals held in the secret detention centre known as “Aynaghar”.
He said that over the past 15 years, more than 50 UPDF leaders and activists have been killed without trial, disappeared, arrested, or tortured.
emocracy is impossible under such conditions.
He expressed support for the interim government but stressed the importance of including the CHT in any upcoming reform plans to prevent the resurgence of a fascist regime.
UPDF members Thuikyawching Marma and Sunayan Chakma also attended the event.

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৭.৮.২০২৪বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নেতাকর্মী-সমর্থকদের মুক্তিসহ ৮ দাবি ইউপিডিএফের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৪
ঢাকা: খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলে আটক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দেওয়াসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক এ রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ইউপিডিএফ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এসব দাবি জানান দলটির সংগঠক মাইকেল চাকমা।


‘জামিনে মুক্তদের জেল গেটে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ, আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ ইউপিডিএফ ও দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি’ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাইকেল চাকমা বলেন, শুধু সমতলে নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামেও হাসিনার সরকার দমনপীড়নের স্টিম রোলার চালায়, যার শিকার হয় প্রধানত ইউপিডিএফ। তার ১৫ বছরের শাসনামলে ইউপিডিএফকে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়নি। পার্টির সব অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিনা বিচারে হত্যা, গুম ও আরও অনেককে গ্রেপ্তার-নির্যাতন করা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন পেলেও জেলগেট থেকে একই বন্দিকে বার বার আটক করে জেলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে একটি ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গঠন করে দেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এ বাহিনী হাসিনা সরকারের ছত্রছায়ায় ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট স্বনির্ভর গণহত্যা ও ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পানছড়িতে চার যুবনেতা হত্যাসহ অসংখ্য হত্যা, অপহরণ ও গুমের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ এখন মুক্ত হাওয়ায় প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এখনও স্বাধীনতার সেই স্বাদ পায়নি। পাহাড়ে এখনও পরিবর্তনের হাওয়া পৌঁছেনি। সমতলে অন্যায়ভাবে আটক রাজবন্দিরা মুক্তি পেতে শুরু করলেও, পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্দি ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এখনও ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এ বন্দিদের অনেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটক। হাসিনার আমলে জামিন পাওয়ার পরও জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার করার কারণে তারা এখন নতুন করে আদালতে জামিনের আবেদন করতে সাহস পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের এক দশমাংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে দেশে প্রকৃত ও অর্থবহ সংস্কার হতে পারে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বা নিপীড়নমূলক অবস্থা জারি রেখে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গণতন্ত্র কায়েম হওয়া অসম্ভব। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে মুক্তি না দিয়ে সমতলের জনগণও প্রকৃত মুক্তি পেতে পারে না। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে হাসিনার সরকার পর্যন্ত দেশের ইতিহাস তারই প্রমাণ দেয়। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারের যে কোনো সংস্কার পরিকল্পনায় কিংবা গণতন্ত্রায়ণের প্রক্রিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামেও আমূল সংস্কার আনতে হবে। তা না হলে দেশে আবার আগের মতো ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো হলো-
১) অবিলম্বে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সব শহীদের নাম প্রকাশ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিস্টদের গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করা।
২) অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দেওয়া; আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ করা; এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করা।
৩) ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ও মগ পার্টি ভেঙে দেওয়া এবং তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া।
৪) স্বনির্ভর গণহত্যা ও পানছড়িতে চার যুব নেতা হত্যাসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা এবং তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে যুক্ত করা।
৫) অবিলম্বে নির্দলীয়, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠন করা।
৬) অবিলম্বে বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে বম জাতিগোষ্ঠীকে নিশানা করে জাতি-নিধন অভিযান বন্ধ করা এবং শিশু ও নারীসহ আটককৃত বমদের মুক্তি দেওয়া।
৭) খাগড়াছড়ির রামগড়ে গৃহবধূকে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার ও রাঙামাটি এবং বান্দরবানে ধর্ষণ প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া।
৮) পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য অপারেশন উত্তরণ বাতিল করে সেনা শাসন প্রত্যাহার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
লিখিত বক্তব্য শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মাইকেল চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সংস্কার চান কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে শান্তি চুক্তি আছে সেটি পরিপূর্ণ নয়। আমরা অবশ্যই এর পরিবর্তন চাই।
ইউপিডিএফ এবং তাদের সমর্থকদের ২৯ জন সদস্য বর্তমানে কারাগারে রয়েছে বলে জানান মাইকেল চাকমা।
জামিনে মুক্তির পর জেল গেটে ইউপিডিএফ এর কতজন কর্মী ও সমর্থককে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তিনজন সমর্থককে জামিনের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে তিনবার, একজনকে দুইবার এবং একজনকে চারবার পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন আয়না ঘরে বন্দি ছিলেন মাইকেল চাকমা। আয়না ঘর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আয়না ঘরে অমানবিকভাবে আটকে রাখা হতো। হিটলার যেভাবে তার কনসানটেশন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে রাখতো, আয়নাঘর ধরে নিতে পারেন ঠিক তেমন একটি জায়গা। যেখানে মানুষকে তার সব মানবাধিকার লঙ্ঘন করে রাখা হতো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি সুনয়ন চাকমা, ইউপিডিএফ সদস্য থুইখোচিং মারমা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৪
এসসি/আরআইএস

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৭.৮.২০২৪বাংলা ট্রিবিউন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের নাম প্রকাশ ও জড়িতদের বিচার দাবি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৫৩
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সবার নাম প্রকাশ এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিতসহ আট দফা দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এ সময় ‘আয়নাঘর’ থেকে যাদের এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি তাদের মুক্তির দাবি তোলেন দলের সংগঠক মাইকেল চাকমা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাইকেল চাকমা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ এখন মুক্ত হাওয়ায় প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এখনও স্বাধীনতার সেই স্বাদ পায়নি। পাহাড়ে এখনও পরিবর্তনের হাওয়া পৌঁছেনি। সমতলে অন্যায়ভাবে আটক রাজবন্দিরা মুক্তি পেতে শুরু করলেও, পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্দি ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এখনও ছেড়ে দেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জামিন পাওয়ার পরও জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতারের কারণে তারা এখন নতুন করে আদালতে জামিনের আবেদন করতে সাহস পাচ্ছেন না।’
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বা নিপীড়নমূলক অবস্থা জারি রেখে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গণতন্ত্র কায়েম সম্ভব না বলে মনে করেন মাইকেল চাকমা। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে দেশে প্রকৃত অর্থবহ সংস্কার সম্ভব না।’
ইউপিডিএফের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দাবি হলো– অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে; আদালত থেকে জামিনের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে এবং ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; স্বনির্ভর গণহত্যা ও পানছড়িতে চার যুব নেতা হত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে যুক্ত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি সুনয়ন চাকমা, ইউপিডিএফ সদস্য থুইখোচিং মারমা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৭.৮.২৪ INDEPENDENT

অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিল ইউপিডিএফ, ৮ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:২১ পিএম
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রট ইউপিডিএফ। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সমর্থনের কথা জানান ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা। এ সময় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিসহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাইকেল চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এখনও স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। পাহাড়ে এখনও পরিবর্তনের হাওয়া পৌঁছেনি। সমতলে অন্যায়ভাবে আটক রাজবন্দীরা মুক্তি পেতে শুরু করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্দী ইউপিডিএফ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এখনও ছেড়ে দেওয়া হয়নি। 
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে প্রকৃত ও অর্থবহ সংস্কার হতে পারে না উল্লেখ করে মাইকেল চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বা নিপীড়নমূলক অবস্থা বহাল রেখে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গণতন্ত্র কায়েম সম্ভব নয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে একটি অপূর্ণাঙ্গ চুক্তি মনে করে ইউপিডিএফ। 
ইউপিডিএফের ২৯ জন সদস্যকে এখনও বন্দী করে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন মাইকেল চাকমা। 
জামিনে মুক্তদের জেলগেটে পুনঃগ্রেপ্তার বন্ধ, আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ ইউপিডিএফ ও দেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ইউপিডিএফ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সংগঠক মাইকেল চাকমা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৭.৮.২০২৪খবরের সংযোগ

চট্টগ্রামের আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ অন্যদের মুক্তি দাবি

আবু হেনা রাসেল, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৮ পিএমআপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) শীর্ষ নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমা নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। পরে ইউপিডিএফের সংগঠন মাইকেল চাকমার স্বাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। 

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ২০১৯ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি আনন্দ প্রকাশ চাকমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংস্থাটির দাবি, আনন্দ চাকমা রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও তপন জ্যোতি চাকমা হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী।
সাংবাদিকদের দেওয়া প্রেস রিলিজে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়া শুর হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বন্দি ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। তারা বিনা বিচার অন্তরীণ রয়েছেন। তাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৭.৮.২০২৪সকাল-সন্ধ্যা

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে অর্থবহ সংস্কার অসম্ভব : মাইকেল চাকমা

 কাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

২৭ আগস্ট, ২০২৪ ৩:০১
আপডেট: ২৭ আগস্ট, ২০২৪ ৩:০১
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে দেশে প্রকৃত অর্থবহ সংস্কার সম্ভব নয় বলে মনে করছেন পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা।
তার মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা’ থেকে মুক্ত না করলে সমতলের জনগণও প্রকৃত মুক্তি পাবে না।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
একই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংস্কারের লক্ষ্যে ৮ দফা দাবি জানান ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা।  
২০১৯ সালের ৯ই এপ্রিল নিখোঁজ হন মাইকেল চাকমা। সেসময় ইউপিডিএফ দাবি করে, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকা ফেরার পথে রাষ্ট্রীয় সংস্থার হাতে গুম হন মাইকেল চাকমা। এরপর তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কথিত আয়নাঘরে মাইকেল চাকমাকে আটকে রাখা হয়েছে-ইউপিডিএফসহ দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো এমন অভিযোগ করলেও তৎকালীন সরকারকে এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলের ঠিক পরদিন চট্টগ্রামে একটি জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় মাইকেল চাকমাকে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস বন্দীদশা থেকে মুক্তির প্রায় তিন সপ্তাহ পর মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে হাজির হন মাইকেল চাকমা। এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানান তিনি।  
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বা নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা জারি রেখে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গণতন্ত্র কায়েম সম্ভব নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মাইকেল চাকমা।
তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে দেশে প্রকৃত অর্থবহ সংস্কার সম্ভব নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুক্তি না দিয়ে সমতলের জনগণও প্রকৃত মুক্তি পেতে পারে না।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির সংস্কার চান কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মাইকেল চাকমা বলেন, “যে শান্তিচুক্তি আছে, সেটি পরিপূর্ণ নয়। আমরা অবশ্যই এর পরিবর্তন চাই।”
ইউপিডিএফ ও তার সমর্থকদের ২৯ জন সদস্য বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বলে জানান মাইকেল চাকমা।
এসময় আয়নাঘর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, “আয়নাঘরে মানুষদের অমানবিকভাবে আটকে রাখা হতো। হিটলার যেভাবে তার কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে রাখত, আয়নাঘর ধরে নিতে পারেন ঠিক তেমন একটি জায়গা, যেখানে মানুষের সব অধিকার লঙ্ঘন করা হয়।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম সংস্কারে ইউপিডিএফের ৮ দফা
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংস্কারে ইউপিডিএফ যে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সেগুলো হচ্ছে
১. অবিলম্বে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে নিহত সব শহীদের নাম প্রকাশ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলে আটক ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দিতে হবে। আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে এবং শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে করা সব মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ বাহিনী ও মগ লিবারেশন পার্টি ভেঙে দিতে হবে এবং তাদের মধ্যে যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি দিতে হবে।
৪. গণহত্যা ও পানছড়িতে চার যুব নেতা হত্যাসহ শেখ হাসিনার আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে যুক্ত করতে হবে।
৫. নির্দলীয়, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।
৬. বান্দরবানে চলমান কেএনএফবিরোধী অভিযানের নামে বম জাতিগোষ্ঠীকে নিশানা করে জাতিনিধন অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং শিশু, নারীসহ আটককৃত বমদের মুক্তি দিতে হবে।
৭. খাগড়াছড়ির রামগড়ে গৃহবধূকে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার এবং রাঙামাটি ও বান্দরবানে ধর্ষণচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।
৮. পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিলপূর্বক সেনাশাসন প্রত্যাহার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখান
১৭.০৮.২০২৪বিবিসি বাংলা

১৭ আগস্ট ২০২৪

‘আয়নাঘরের’ বর্ণনা দিলেন পাঁচ বছর পর ফিরে আসা মাইকেল চাকমা


ছবির ক্যাপশান,৫ বছরেরও বেশি সময় নিঁখোজ থাকার পর ফিরে এসেছেন মাইকেল চাকমা
আবুল কালাম আজাদ
বিবিসি নিউজ বাংলা
২ ঘন্টা আগে
২০১৯ সালের ৯ই এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ-এর সংগঠক মাইকেল চাকমা।
ঢাকার শ্যামলি থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে গোপন বন্দীশালায় আটকে রাখা হয়েছিল, যেটি ‘আয়নাঘর’ নামে অনেকের কাছে পরিচিত।
কথিত ‘আয়নাঘরে’ বন্দি থাকার পর ছয় আগস্ট তাকে চট্টগ্রামের একটি সড়কের ধারে চোখ বেঁধে ছেড়ে দেয়া হয়।
বন্দীদশা থেকে ফিরে জানতে পারেন পূত্র শোক বুকে নিয়ে তার বৃদ্ধ পিতা মারা গেছেন। মাইকেল চাকমা আর জীবিত নেই ধরে নিয়ে রীতি মেনে তার শেষকৃত্যও করেছে পরিবার।
বিবিসিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে গোপন বন্দীশালায় কাটানো দিনগুলোর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন মাইকেল চাকমা। ছেড়ে দেয়ার আগে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার রাতটিকে জীবনের অন্তিম সময় হিসেবেই ভেবে নিয়েছিলেন মাইকেল চাকমা।
বিবিসিকে তিনি বলেন, শেষ রাতে তাকে গাড়িতে নেয়ার সময় কিছুটা আলগা করে চোখে কাপড় বাঁধা ছিল, যেটি এক পর্যায়ে গাড়ির সিটে ঘসে ঘসে কিছুটা নামাতে সক্ষম হন। এবং আজানের পর কিছুটা আলোর দেখা পান।
২০১৯ সালের পর ৬ই আগস্ট ২০২৪ সালে প্রথম দিনের আলোর দেখা পান মাইকেল চাকমা। তবে তাকে যে এদিন ছেড়ে দেয়া হবে সেটি কল্পনাও করেননি।
“ভাবছিলাম যে আমাকে কোথাও নিয়ে গিয়ে আজকে রাতে মেরে ফেলবে।”
দীর্ঘদিন পর ফিরে এসে মাইকেল চাকমা বলছেন, তার জীবনের এই প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর যারা শেষ করে দিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনী এর সঙ্গে জড়িত ছিল বলেই তার অভিযোগ।
কিছুটা সুস্থ্ ও স্বাভাবিক হলে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি সরকারের কাছে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন বলেও বিবিসিকে জানিয়েছেন মাইকেল চাকমা।
এতদিন কোথায় রাখা হয়?
মাইকেল চাকমা জানান, গত প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরে বেশ কয়েকটি গোপন কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে। শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। তবে মাইকেল চাকমা জানিয়েছেন তাকে কোনো মারপিট করা হয়নি। তবে যেভাবে একাকী বন্দি করে রাখা হয় এবং যে পরিবেশে রাখা হয় সেটি তার ভাষায় অত্যন্ত অমানবিক এবং ভয়ংকর রকমের মানসিক অত্যাচার।
“যেভাবে তারা রাখে এটাতো অত্যন্ত অমানবিক। এটাতো মানুষের বসবাসের জায়গা না। মানুষ এভাবে বাঁচে না। এটাতো কবরের মতো। গুহা আছে না গুহা, গুহায় থাকলে মানুষ যেভাবে কিছুই দেখে না, কবরে থাকলে মানুষ যে কিছুই দেখে না ঠিক এই রকম।
“এটাতো মানুষের বাঁচার মতো কোনো জায়গা না। কোনো জানলা নাই, একদম কোনো আলো ঢোকে না, বাতাস ঢোকে না শুধু চারিদিকে দেয়াল,” বলেন মাইকেল চাকমা।


বিবিসি সাংবাদিকের কাছে বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতা জানান মাইকেল চাকমা

মাইকেল চাকমা যেসব নির্জন ঘরে বন্দি ছিলেন সেগুলোর বিবরণ দিয়ে বলেন, “কোনও কোনোও রুম সাত ফিট বাই এগারো ফিট, কোনো রুম ছিল আট ফিট বাই এগারো বা বারো ফিট এরকমের। মানে একদম ছোট ছোট রুম। ওখানে একটা খাট আছে তিন ফিট বাই সাত ফিটের লোহার। কোনো জায়গায় কাঠের।”

মাইকেল যে বন্দিদের দেখেছেন
মাইকেল চাকমা জানান এই দীর্ঘ সময়ে ঘুরেফিরে ৪-৫টি বন্দিশালায় তাকে রাখা হয়। এসব বন্দিশালায় আরো মানুষ আটক ছিলেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
গত পাঁচ বছরের বেশি সময়ে তার সঙ্গে রাখা হয়েছে আরো দুজনকে এছাড়া অদেখা দুজনের নাম তিনি শুনতে পেয়েছেন। তবে এইসব বন্দির ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই মাইকেল চাকমার।
মাইকেল বলেন, গোপন কারাগারে কেউ কাউকে দেখার বা কথা বলার সুযোগ ছিল না। তবে গোসল করতে নেয়ার সময় বাথরুমের ছিদ্র দিয়ে উঁকি দিয়ে তিনি কিছু বন্দি বিভিন্ন সময় দেখেছেন।
“বিভিন্ন বয়সের লোক। কারোর আমি দেখেছি চুল পাঁকা, দাড়ি পাঁকা। কেউ কম বয়সী। কোনোও কোনোও লোককে দেখেছিলাম তার বয়স হয়তো পঞ্চাশ-পঁয়তাল্লিশ এরকম হবে। কোনও কোনও লোক দেখেছি ষাটের ওপরে হবে। কেউ একদম ইয়াং।”
মাইকেল চাকমার সঙ্গে দুই দফায় দুজন বন্দিকে একসঙ্গে রাখা হয়েছিল। অত্যন্ত গোপনে কথা বলে তাদের পরিচয় জানতে পারেন মাইকেল। এছাড়া আরো একজনের নাম শুনতে পারেন যিনি পাশের রুমে বন্দি ছিলেন। একসাথে যাদের সঙ্গে ছিলেন তার মধ্যে একজনের নাম সাইদুল আরেকজন এরশাদ।
“সাইদুলের বাড়ি ছিল রংপুরে। এরশাদের বাড়ি ছিল ঢাকার কচুক্ষেতের কাছাকাছি সে বলেছে। সাইদুলকে যেদিন নিয়ে যায় আমি আমার বোনের নম্বর মুখস্ত করিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝলাম মোবাইল নম্বরের শেষের একটি ডিজিট আমি ভুল দিয়েছিলাম।”
মাইকেল জানান তার পাশের সেলে জাকির নামে একজন ছিলেন বলে তিনি শুনতে পেরেছেন। রুমে আটক বন্দির আরেকজনের সঙ্গে কথোপকথন শুনে তাদের কোনো বাহিনীর সদস্য বলে মনে হয়েছে।
“ফিস ফিস করে বলতো আমি জাকির, আমি জাকির। আমার কাছে বার বার জানতে চেয়েছে শরিফকে তুমি চেনো কিনা। যিনি এক বলেছিল অপরজনের নাম শুনিনি তাকে স্যার ডাকতো জাকির। জাকির তাকে বলেছে আমাদের সম্ভবত কোর্ট মার্শাল হবে।”
“জাকিরকে একবার পিটিয়েছে। মারধর করেছে। জাকির ওখান থেকে এসে বলছে আমাকে অনেক আজকে মারধর করেছে। ওহ পারছি না। আমার জ্বর উঠেছে। মানে তারা কথাবার্তা বলতো। তাকে ওষুধ দিত আমি শুনতাম। এটুকু আমি শুনেছি তাদের কথা”
নিখোঁজদের সন্ধান চান স্বজনরা
সরকার পতনের পর গোপন বন্দীশালা কথিত ‘আয়না ঘর’ থেকে আরো মুক্তি পেয়েছেন ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাশেম আরমান এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আজমি।
কিন্তু নিখোঁজ আরো অনেকের এখনো কোনো হদিস মিলছে না। সামাজিক মাধ্যমে নানা পোস্ট এবং প্রকাশিত গোপন নথি দেখে ভেঙে পড়েছে অনেক পরিবার।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা কারো সন্তান, কারো ভাই ও কারো স্বামী, কারো বাবা।
তাদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে পরিবারগুলো। এখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব মানুষের সন্ধান বের করার দাবি তুলেছেন গুমের শিকার পরিবারগুলোর স্বজনরা।
সরকার পতনের পর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর ডিজিএফআই কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে নিঁখোজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা অফিস, সিটিটিসি কার্যালয়ের ভেতরে বন্দীশালার ঢুকে নিঁখোজ ভাই এবং অন্যান্যদের সন্ধান করেন মায়ের ডাক সংগঠনের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম। গুমের শিকার পরিবারদের সঙ্গে করে ঘুরছেন আদালত থেকে অন্তবর্তী সরকার প্রধান পর্যন্ত গিয়েছেন সানজিদা।
তিনি বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে কী ঘটেছে এবং কারা এর সাথে জড়িত সেগুলো খুঁজে বের করার দাবি তারা করেছেন। তিনি জানান, গত পনের বছরে অন্তত ছয় শতাধিক গুমের ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে অনেকের মৃত্যুর খবর এসেছে, কেউ কেউ ফিরে এসেছে আর এখনো অনেকে নিঁখোজ রয়েছেন।
“ঢাকার বাইরে যে পরিবারগুলো এরা তো অপেক্ষা করে আছে। সংখ্যাটা দেড়শ বা দু’শ না। আমার মনে হয় সংখ্যাটা আরো বেশি। আপনি আবার ছাত্র আন্দোলনের পর্যন্ত আসেন যদি আরো অনেক মানুষ গুম। এইটা আসলে মোস্ট প্রায়োরিটি থাকা উচিৎ এই যে উপদেষ্টা পরিষদ এসেছেন তাদের কাছে,” বলেন সানজিদা।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি কমিশন গঠন করে দ্রুত পরিবারগুলোকে স্বজনদের হদিস জানানো দরকার। নূর খান লিটন দীর্ঘদিন ধরে এসব গুমের ঘটনা নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর অনেকে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। অনেকে আছেন যে ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছেন না। অনেকে আছেন সম্পত্তির ভাগ নিতে পারছেন না। নানান রকম জটিলতা হচ্ছে।
“সুতরাং আমি মনে করি পরিবারকে এখনই স্পষ্টভাবে একটা কমিশন গঠন করে তদন্ত করে কী ঘটেছে, তারা কোথায় আছে বা নেই এই বিষয়গুলি চিহ্নিত করা দরকার।”
গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে মি. খান বলেন , “ দুস্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনা। কারণ তারা যত বড় অফিসারিই হোক, দুস্কৃতিকারী। তবে আমরা প্রতিশোধ চাই না, আমরা ন্যায্য বিচারটা চাই”।
“আগে যে অবস্থা ছিল যে যে কাউকে ধরে মেরে ফেলতো, বন্দি করে ফেলতো। জিজ্ঞাসাবাদের নামে নখ উঠায় দিত এটা করতো ওটা করতো নানা নির্যাতন করতো আমরা চাই না তেমন ঘটনা ঘটুক। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক। কী ঘটেছিল সেই ঘটনাগুলি প্রকাশিত হোক।”

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রি.জে (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ( এ সাক্ষাৎকার যখন নেয়া হয়েছিল তখন তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছিলেন। পরে তার দপ্তর বদল হশ) বিবিসিকে জানান সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
“কে করেছে, কীভাবে করেছে, কখন করেছে এটাতো একটা বড় ধরনের ইনভেস্টিগেশন। আমার মনে হয় পরবর্তী কেবিনেটে নিশ্চয়ই এটা উঠবে। আলাপ করে একটা কমিশন করে সেই কমিশন খুঁজে বের করবে এটা।”
নিঁখোজ ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি কিছুটা ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৫.৮.২০২৪ভয়েস অফ আমেরিকা

আয়নাঘর: বাঁচার আশা একদম ছেড়ে দিয়েছিলাম – মাইকেল চাকমা
আগস্ট ১৫, ২০২৪
আদিত্য রিমন


মাইকেল চাকমা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দিন পরে ৬ আগস্ট ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পান মাইকেল চাকমা। তুলে নেওয়ার প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর তাকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার একটি জঙ্গলে হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যাওয়া হয়

মাইকেল চাকমা বলেন, “সেখানে না থাকলে বুঝতে পারবেন না যে সেই পরিবেশ কতটুকু অসহনীয়। মনে হবে, থাকার চেয়ে মৃত্যুও অনেক ভালো। বাঁচার আশা তো ছেড়েই দিয়েছিলাম।”

শুধু মাইকেল চাকমা নয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আয়নাঘর থেকে মুক্তি পান যুদ্ধপরাধী জামায়াত নেতা গোলাম আযমের পুত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহ হিল আমান আযমী, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাশেম আলীর ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)।

আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেলেও এখন ট্রমা কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ১৯৯১ সালে পুনরুদ্ধারের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আলোচনা শুরু হয়। দ্বিতীয় দফা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ-এর জন্ম হয়।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনকারী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির সমিতি থেকে তরুণদের একটি অংশ বের হয়ে ইউপিডিএফ গঠন করে। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন সময় ইউপিডিএফ পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র পার্বত্য চট্রগ্রামকে পুরোপুরিভাবে সেনাবাহিনীর চোখ দিয়ে দেখে বলে দাবি করে, ইউপিডিএফ-এর ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “প্রায় শুরু থেকে এই সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন মাইকেল চাকমা।…মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্রগ্রামের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের কথা বলছে। তার এই চাওয়াকে রাষ্ট্র কাঠামো হুমকি মনে করছে।” “যেটা তাকে তুলে নেওয়ার প্রধান কারণ,” বলে মনে করেন অঙ্কন।
গত ১২ আগস্ট মাইকেল চাকমা ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে কথা বলার সময় ২০১৯ সালে তাকে তুলে নেয়ার ঘটনা এবং আয়নাঘরের দুর্বিষহ দিনগুলোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তার বর্ণনার প্রায় পুরোটাই তার নিজের ভাষায় তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য।

আটকের প্রথম দিন যা ঘটেছিল মাইকেল চাকমার সঙ্গে?
চোখ বাঁধার আগে আমি গাড়িতে একটা ওয়াকিটকি দেখেছি, যেগুলো প্রশাসনের লোক ব্যবহার করে। আর পত্র-পত্রিকায় তো প্রায় সময় খবর দেখতাম এইভাবে সিভিল ড্রেসে মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাই ভেবেছিলাম যে আমাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটকের প্রথম দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাইকেল চাকমা বলেন, “২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড বিপরীতে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে আমাকে তুলে নেওয়া হয়। তুলে নেওয়ার পর তারা বলেছিল – আমাকে ধরার জন্য গত চার দিন ধরে ফলো করছে। আজ সফল হয়েছে।

চোখ বাঁধার আগে আমি গাড়িতে একটা ওয়াকিটকি দেখেছি, যেগুলো প্রশাসনের লোক ব্যবহার করে। আর পত্র-পত্রিকায় তো প্রায় সময় খবর দেখতাম এইভাবে সিভিল ড্রেসে মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাই ভেবেছিলাম যে আমাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

যারা আমাকে গ্রেফতার করেছে তারা সবাই সাদা পোশাকে ছিলেন। গ্রেফতারের পর একজন ফোনে কাউকে গাড়ি পাঠাতে বলে। তখন সঙ্গে-সঙ্গে গাড়ি চলে আসে। গাড়িতে তোলার পর আমার মোবাইল ও ব্যাগ সবকিছু নিয়ে নেয় তারা। কালো কাপড়ে আমার চোখ বেঁধে দেয়। আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আমার নামে যে মামলা আছে, সেটা জানি কিনা। আমি বললাম, এগুলো রাজনৈতিক মামলা। এসব মামলা প্রায় সময় আমাদের দেশে হয়।

তখন তারা বলে, আপনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন। আমি বললাম-পালিয়ে বেড়ালে তো দেশেই থাকতাম না। তখন তারা কাউকে ফোন করে বলে- মাইকেল চাকমা কট (ধরা পড়েছে)। এরপর ওই সময়কার ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে যেতে-যেতে আমাকে বললো- এই ঘটনায় তো আপনার নাম আসছে। তখন আমি স্বাভাবিক হয়ে বললাম- আপনার তো নিজেরাই বলছেন, গত চার দিন ধরে আমাকে ফলো করছেন। তাহলে ওই ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত থাকি কিভাবে? সেখানে তো আমি ছিলামও না।

তারপর আমাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কল্যাণপুর থেকে সরাসরি ওই জায়গায় আমাকে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। একটু এদিক-সেদিক ঘুরিয়ে ওইখানে নেওয়া হয়। আমাকে তারা ধরে বিকাল ৫ টার দিকে। আর সেখানে পৌঁছায় সন্ধ্যায়। ওই বাড়িটা একটা থানার মতো। তবে, থানায় সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়া থাকতো ও পুলিশের পোশাকের লোক থাকতো। কিন্তু সেখানে এই রকম কিছু ছিলো না, একদম নির্জন জায়গা। থানায় হাজাতখানার মত লোহার দরজার ৭-১০ ফিটের মতো একটা রুমে আমাকে রাখা হয় এবং চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। তার ভেতরে একটা টয়লেট ও পানির কল ছিলো। সেই কলের পানি দিয়ে সবকিছু করতে হয়।

আমার পাশের আরেকটি রুমে একটি লোক ছিল। ওইদিন রাতে তাকে সেখান থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, আমি তার চেহারা দেখতে পাইনি। কারণ ওই লোককে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে বলা হলো-আপনি দেয়ালের দিকে মুখ দিয়ে ঘুরে বসেন, পেছনে তাকাবেন না।

রাতে আমি ওখানকার একজনকে বললাম ভাই, আমার পরিবার তো চিন্তা করছে। তাদেরকে কি একটু ফোন করে বলা যায়। তখন ওই ব্যক্তি বললো এটা অসম্ভব। এটা করলে আমার অবস্থাও খারাপ হয়ে যাবে।
তখন তারা পাল্টা বললো আপনি তো চুক্তি (পাবর্ত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি) মানেন না। আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, চুক্তি না মানলে কি রাষ্ট্রদ্রোহী হতে হয়? তখন তারা যুক্তি দেয়- চুক্তি যেহেতু সরকারের সঙ্গে ছিলো, সরকারে বিরোধিতা করা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করা। কারণ রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার।
এরমধ্যে আমাকে রাতে খাবার দেওয়া হয়। খাওয়ার পরে আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে ৩-৪ জন লোক এসে চোখ বেঁধে একটা কালো টুপি পরিয়ে ওই বাড়ির আরেকটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা বিশৃঙ্খল অবস্থায় একেক জন একেক প্রশ্ন করতে থাকে। এরমধ্যে একটা প্রশ্ন ছিলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর খাগড়াছড়ি সফরের দিন কেন আমাদের ছাত্র সংগঠন রোড়ব্লক কর্মসূচি দিয়েছিল এই নিয়ে। তারপর আমাকে বলা হলো- আপনি তো একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। তখন আমি প্রশ্ন করলাম, রাষ্ট্রদ্রোহী হবো কেন। তখন তারা পাল্টা বললো আপনি তো চুক্তি (পাবর্ত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি) মানেন না। আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, চুক্তি না মানলে কি রাষ্ট্রদ্রোহী হতে হয়? তখন তারা যুক্তি দেয়- চুক্তি যেহেতু সরকারের সঙ্গে ছিলো, সরকারে বিরোধিতা করা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করা। কারণ রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার।

তখন আমি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বললাম, এটা আমার নাগরিক অধিকার। আমাদের দেশে সংসদে বিরোধী দল সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধীতা করে, কর্মসূচি দেয়। তাহলে তো আগে তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিতে হবে। তখন তারা এই বিষয়ে আর কোনো কথা বলেন নাই। এরপর তারা আমাদের দল ইউপিডিএফ এর দাবি-দাওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে চলে যায়। আবার আগের রুমে নিয়ে আসা হয় আমাকে। চোখ খুলে দেয়, ঘুমানোর জন্য ২ টি কম্বল দেয়। এইভাবে ৯ এপ্রিল কেটে যায়।

দ্বিতীয় দিন ক্রসফায়ারের ভয় ঢুকে যায় মনে

দ্বিতীয় দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে মাইকেল চাকমা বলেন, “পরের দিন ১০ এপ্রিল সকালে নাস্তা খাওয়ার পর আবার চোখ বেঁধে আরেকটি রুমে নেওয়া হলো। সেখানে নেওয়ার পর এবার চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। সেখানে একটি ফাঁকা টেবিল ও কয়েকটি চেয়ার এবং দুই জন লোক। তারা মূলত আগের রাতে যেসব প্রশ্নগুলো করেছিল, সেইগুলো আবারও করা হয়। তারপর আবার আগের হাজতের মত রুমে নিয়ে আসা হলো। এক পর্যায়ে দুপুরের খাবার নিয়ে আসলো এক ব্যক্তি। তখন আমি ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করি, আমাকে কোর্টে তোলা হবে না? কারণ আমি বুঝতে পারছি এটা থানা না। তিনি উত্তর দেন- স্যাররা মিটিংয়ে ব্যস্ত। উনারা আসলে একটা ব্যবস্থা হবে। এভাবে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়, তাদের উত্তরও একই আসে- স্যাররা মিটিংয়ে ব্যস্ত।”
আমার দুই পাশে দুই জন লোক ছিল। তাদের একজনের কোমরে শক্ত কিছু একটা ছিল, সেটা আমার শরীরে লাগার পর অনুধাবন করি।
এরপর রাতে খাবার খেয়ে মনে হয় আমি ১৫-২০ মিনিট জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে আমাকে ঘুম থেকে তুলে হাতকড়া লাগিয়ে চোখ বেঁধে কালো টুপি পরিয়ে দেয়। তখন আমার মধ্যে ভয় ঢুকে যায় রাতে কি তাহলে আমাকে ক্রসফায়ারের দেওয়া হবে। কারণ এইভাবে তো অনেক লোককে ক্রসফায়ারের দেওয়ার ঘটনা শুনেছি। আমি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম যে আজকে আমি শেষ। তখন বাইরে একটি গাড়ি আসার শব্দ শুনতে পাই। তারপর গাড়িতে তোলা হলো আমাকে। গাড়িতে উঠার পর মাথার কালো টুপি খুলে দেওয়া হয়। তবে, কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধা ছিল। কাপড় কিছুটা হালকা হওয়ায় দেখতে পাই, এটা পুলিশের গাড়ির মতো। আমার দুই পাশে দুই জন লোক ছিল। তাদের একজনের কোমরে শক্ত কিছু একটা ছিল, সেটা আমার শরীরে লাগার পর অনুধাবন করি। তখন আরও বেশি ভয় লাগে যে, আজকে আমাকে মেরে ফেলবে ।

গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ভেতরে-বাইরের কোনও শব্দ যেন কানে না আসে তার জন্য স্পিকারে গান বাজিয়ে দেওয়া হয়। এরপর মনে হলো গাড়িটা কোনো একটা গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। অনেক ভাঙা ও উচু-নিচু (পথ) দিয়ে গাড়ি চলছিল। এইভাবে এক ঘন্টার মত গাড়ি চলার পর একটা জায়গায় থামলো। তখন আমি জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম…মনে হলো নামিয়ে ক্রসফায়ার দেবে। তাই নেমেই উচ্চস্বরে স্লোগান দিতে লাগলাম। এরমধ্যে কখন যে আমাকে আবার গাড়িতে তোলা হয়েছে সেটাই বুঝতে পারি নাই। আবার কখন নামিয়ে ‘আয়নাঘরে’ ঢোকানো হলে কিছুই বুঝতে পারি নাই। এতটাই উত্তেজিত ছিলাম।

আয়নাঘরে নেওয়ার পরও উত্তেজিত ছিলাম। বসা থেকে দাঁড়িয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম, কেন আমাকে তুলে এনেছেন, আমাকে কি ক্রসফায়ারে দিবেন, খুন করবেন, কি অপরাধ আমার, কি করেছি…এসব বলতে লাগলাম। আমাকে গুলি করে ফেলেন। আমার পবিত্র রক্তে বাংলার মাটি সিক্ত হোক। তখন তারা কোনও কথা বলে নাই। একদম চুপ ছিলো।

শারীরিক নির্যাতন

তারা আমার সঙ্গে মুখে কথা না বললেও, শারীরিক নির্যাতন করেছিল। লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। কথা বলতে গেলে মুখের ভেতরে বাঁশের মতো ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা কিছু একটা দিয়ে দেওয়া হয়। যাতে কথা বলতে না পারি। পরের চিকিৎসক আসে, আমার প্রেশার পরীক্ষা করে। তখন চিন্তা করতে লাগলাম, এটা কোথায় আসলাম। কেন চিকিৎসক আসলো। তখন শুধু মনে হতো এই বুঝি আমাকে মেরে ফেলবে। কিছু সময় পর তারা চলে যায়। এইভাবে দ্বিতীয় দিন ও রাত যায়।

তারা আমাকে কয়েকবার শারীরিক নির্যাতন করেছে। বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করাই ছিল তাদের কৌশল।

‘আয়নাঘরে’ প্রথম দিন
রুমের মধ্যে জানালা আছে কিন্তু গ্লাসের ওপর কালো রং করা, যাতে বাইরের কিছুই দেখা না যায়। ঘরটি অনেক পুরানো মনে হয়েছে।
(তুলে নেওয়ার দ্বিতীয় দিন রাতে আয়না ঘরে একটি কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে) কয়েক মিনিট হাঁটিয়ে একটি রুমে নেওয়া হয়। রুমে নিয়ে চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। তখন দেখলাম রুমের মধ্যে ৩ বাই ৬ ফিটের একটা খাট। ওপরে একটি সিলিং ফ্যান। রুমের মধ্যে জানালা আছে কিন্তু গ্লাসের ওপর কালো রং করা, যাতে বাইরের কিছুই দেখা না যায়। ঘরটি অনেক পুরানো মনে হয়েছে।

তারা আমার কাপড় খুলে নিয়ে একটি লুঙ্গি ও গেঞ্জি দিয়ে যায়। এরপর দুই জন লোক এসে চার দিক থেকে আমার ছবি তুলে। বলে যায়, আপনি এখানে থাকবেন। সারা রাত ফ্যান চলছিল। অনেক শীত লেগেছিল। তখন বৃষ্টির দিন ছিল। লাইট-ফ্যানের সুইচ ছিল রুমের বাইরে। তাই বন্ধও করতে পারি নাই। অনেক ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে পড়ি।

‘গল্প’-এর নামে জিজ্ঞাসাবাদ

(দ্বিতীয় দিন যে দুই জন আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, তাদের একজন গুণধর নামে পরিচয় দিয়েছিল বলে জানান মাইকেল চাকমা।)
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তি আমি কি খেতে পছন্দ করি, প্রিয় লেখক কে, প্রিয় বই কি এসব জানতে চেয়েছিল। তারপর বললো কালকে আবার কথা হবে।”

তৃতীয় দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা শেষে আবার চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি রুমে। অনেক পরে জানতে পারি এই রুমকে তারা ‘ডাকা সেল’ বলে। সেখানে আগে থেকে একজন উপস্থিত ছিলো। যিনি নিজেকে গুণধর পরিচয় দিয়েছিল। সে আমাকে দাদা কেমন আছেন জানতে চাইলো, আর বললো- আমরা গল্প করতে আসলাম। তারা জিজ্ঞাসাবাদকে ‘গল্প’ বলে। আমার নাম, পিতার নাম কি এসব জানতে চেয়ে গল্প শুরু করে। ঢাকাতে কাকে চিনি, কি করে…এসব জানতে চাইলো। আমার সঙ্গে তুমি করে কথা বললে কিছু মনে করবো কিনা, সেটাও জানতে চাইলো। এরপর একটি কাগজে দিয়ে বলে যায়, সেখানে সব কিছু লিখে দিতে। তারপর আবার রুমে নিয়ে এসে চোখের বাঁধন খুলে দেয়।”
তারা জিজ্ঞাসাবাদকে ‘গল্প’ বলে। আমার নাম, পিতার নাম কি এসব জানতে চেয়ে গল্প শুরু করে।…এভাবে প্রায় কয়েক মাস পর-পর তারা আমার সঙ্গে গল্প করতে আসতো। 
কাগজে আমি সবকিছু লিখে দিলে একজন লোক এসে তা নিয়ে যায়। বিকালে সেই কাগজটি নিয়ে আবার গুণধর আসে। তখন শুরু হয় আসল গল্প। (যা) কাগজে লিখেছি, সেটা মুখে আমাকে মুখে বলতে বলা হয়। মিলে কিনা পরীক্ষা করছিল, খুব বেশি হেরফের হয়নি। কাকে, কিভাবে চিনি এসব জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও তারা এটাকে গল্প বলে। তারা এগুলো নিয়ে গিয়ে বিশ্লেষন করে (বলে) মনে হয়েছিলো। রাতে আবার আসে। আবার আগের জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে মিল রেখে নতুন করে আমার মামলা নিয়ে কথা বলে। সরকার বিরোধী বক্তব্য, সমালোচনা করা যাবে না…..এসব কথা বলে যায়। এভাবে প্রায় কয়েক মাস পর-পর তারা আমার সঙ্গে গল্প করতে আসতো।

(৯ এপ্রিল আটকের পর ওই ব্যক্তিরা তার মোবাইল নিয়ে যায় বলে জানান মাইকেল চাকমা।)

কয়েক দিন পরে আমি ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কার সঙ্গে কি কথা বলেছি, কাকে কি ইমেল পাঠিয়েছি, কি মেসেজ পাঠিয়েছি…সবকিছু প্রিন্ট করে কয়েকটি ফাইল নিয়ে আসে। এসব নিয়ে গল্প করে। কোনটা কি, এটা কেন করেছি, ওটা কেন করছি এসব আরকি। সেখানে কিছু-কিছু মেসেজ আমাদের চাকমা ভাষায় লেখা ছিল, সেইগুলোর অনুবাদ করে দিতে বলে। যতক্ষন না পর্যন্ত তাদের জানার আগ্রহ শেষ না হতো, এভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চলতো। এই সময় বাথরুমে যেতেও দিতো না।

বারবার রুম পরিবর্তন

(আয়না ঘরে যাওয়ার পর চার/পাঁচ দিনের মাথায় রুম পরিবর্তন করে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন মাইকেল চাকমা।)

সেখান থেকে নতুন যে ভবনে নেওয়া হলো সেটা উত্তর-দক্ষিণ লম্বা ছিল। এটার পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে দুই দিকে পাঁচটি করে দশ টি রুম ছিল। রুমগুলোর আয়তনে বড় ছিল না। ৭ বাই ৮ কিংবা ৭ বাই ১১ ফিট এই রকম। ১০ রুমের জন্য দুইটি বাথরুম ছিল।”

গত সাড়ে পাঁচ বছরে প্রায় ১০ বারের মত আমার রুম পরিবর্তন করে তারা। কয়েকটি ভবন একসঙ্গে লাগোয়া ছিলো। ভেতরে দিয়ে আসা-যাওয়ার রাস্তা ছিল।

যেসব কক্ষে রাখা হতো সেইগুলোর চার কোনায় চারটি টেবিল ফ্যান চলত। লোহার দরজার বাইরে কাঠের দরজা ছিল। কাঠের দরজায় বড় একটা ছিদ্র ছিল, যেটা দিয়ে বাহির থেকে দেখা হতো ভেতরে লোক কি করছে। ভবন ছাদগুলোর উপরে দিকে বড়-বড় এক্সহস্ট ফ্যান ছিল, যেগুলো থেকে খুব জোরে শব্দ হতো। যাতে ভেতরের শব্দ বাইরে না যায়, আর বাইরের শব্দ ভেতরে না আসে।
টয়লেটের দরজায় একটি ছিদ্র ছিল, সেটি দিয়ে তারা ভেতরে দেখতে পেতো। টয়লেট ব্যবহার শেষ হলে চোখ বাঁধা অবস্থায় আবার হাতকড়া পরিয়ে কক্ষে দিয়ে যেতো। তারপর চোখ খুলে দেওয়া হতো।

চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে টয়লেটে নেওয়া হতো

(টয়লেট যেতে চাইলে দরজায় গিয়ে টোকা দিলে একজন এসে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে এবং হাতকড়া পরিয়ে টয়লেটে নিয়ে যেতো বলে জানান মাইকেল চাকমা।)

টয়লেটের দরজায় একটি ছিদ্র ছিল, সেটি দিয়ে তারা ভেতরে দেখতে পেতো। টয়লেট ব্যবহার শেষ হলে চোখ বাঁধা অবস্থায় আবার হাতকড়া পরিয়ে কক্ষে দিয়ে যেতো। তারপর চোখ খুলে দেওয়া হতো।

(২০২২ সালের দিকে প্রায় ৮-১০ মাস চুল-দাড়ি কেটে দেওয়া হয়নি বলে জানান মাইকেল চাকমা।)

অনেক বড় হয়ে যায়। এক পর্যায়ে আমাকে দাড়ি কাটানোর জন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি মেশিন দেওয়া হয়। যে আমাকে নিয়ে যায় তাকে বললাম- ভাই আমি কি এটা দিয়ে চুল কাটতে পারবো। সে বললো কাটেন। তখন আমি মাথার চুল একদম ছোট করে ফেলি। এই নিয়ে অনেক ঝগড়া হয়। তারা আমাকে শিখিয়ে দেয় সুপারভাইজার আসলে যেন বলি- নিজের ইচ্ছায় চুল কেটেছি। দোষটা আপনি নিজের কাঁধে নিলে সুপারভাইজার মাফ করে দেবে। এই নিয়ে প্রধান সুপারভাইজার অনেক রাগারাগি করে আমার সঙ্গে।

প্রথম দিকে ভালো খাবার, সম্পর্ক নষ্ট হলে নির্যাতন নেমে আসে

(আয়না ঘরের খাবার প্রথম দিকে কিছুটা ভালো ছিল বলে উল্লেখ করেন মাইকেল চাকমা।)
এভাবে মাসের পর মাস আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আবার সকালে এসে উপহাস করে বলতো, ভালো ঘুম হয়েছে?
তারা একটা মেন্যু অনুসরণ করতো। মাছ, মাংস ও ডিম থাকতো খাবারের মেন্যুতে। তবে, একটা সময় যখন সুপারভাইজারদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ হয়। তখন আমাকে খারাপ খাবার দিতো। কখনও-কখনও বাসি ও নষ্ট খাবারও দিতো।

আমি যখন একটু ঘুমানোর চেষ্টা করতাম, তখন ফ্যানগুলো বন্ধ করে দিতো। যেই ফ্যানটা দিয়ে গরম বাতাস হয় এবং শব্দ করে, সেটা ছেড়ে দিতো। এভাবে মাসের পর মাস আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আবার সকালে এসে উপহাস করে বলতো, ভালো ঘুম হয়েছে?

সেখানে না থাকলে বুঝতে পারবেন না যে সেই পরিবেশ কতটুকু অসহনীয়। ওখানে থাকার চেয়ে মৃত্যুও অনেক ভালো।

আবার যখন টয়লেট নিয়ে যেতে বলতাম, তখন নানা অজুহাতে দেরি করতো। কখনও-কখনও এক ঘন্টা পরে নিয়ে যেতো।

এক পর্যায়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি। শরীর খারাপ হয়ে যায়। তখন একজন ডাক্তার এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখে বলে শরীরে লবনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, প্রেশার কমে গেছে। তখন কিছু ওষুধ দিয়ে যায়। ডাক্তার যাওয়ার সময় পরামর্শ দিয়ে যায় যে, আমাকে যেন বেশি গরমে রাখা না হয়। তখন পরিবর্তন করে এসির ব্যবস্থা আছে, এমন কক্ষে রাখা হয় আমাকে। ছাড়া পাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। সেখানে গরম- ঠান্ডা পানির ব্যবস্থাও ছিল।

মুক্তির দিন আবার মনে হয়ে হত্যার জন্য নেওয়া হচ্ছে

(৬ আগস্ট গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে ‍তোলা হয় বলে জানান মাইকেল চাকমা।)

আমি ভাবলাম নাস্তার সময় হয়ে গেছে মনে হয়, এজন্য ডেকে তুলেছে। বাথরুমে নেওয়া হলো। এরপর রুমে এসে পানি খেলাম। তখন দেখলাম একজন লোক হাতকড়া ও কালো টুপি নিয়ে আসলো। বললো- আপনাকে অন্য জায়গায় যেতে হবে। তারপর পেছনে হাত নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িতে তোলার পর মাথার টুপি খুলে দেওয়া হয়, গান চালিয়ে গাড়ি চলতে শুরু করে।

সাধারণত আগে যখন রুম পরিবর্তনের জন্য গাড়িতে তোলা হতো, তখন সাত-আট মিনিট পরে নামানো হতো। মূলত এটা একটা তাদের কৌশল ছিল। একই ভবনের এক রুম থেকে আরেক রুমে নিতো। কিন্তু, এবার এক ঘন্টার মতো গাড়ি চলার পরে বুঝলাম, আমাকে দূরে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। কোথাও-কোথাও গিয়ে গাড়ি থামলে আমার মাথাকে নিচু করে ড্রাইভারের পেছনে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।

ওইদিন আবার চোখের বাঁধন কিছুটা লুজ (হালকা) ছিলো। এক পর্যায়ে আমি দেখার চেষ্টা করলাম। তখন দেখি রাস্তায় অন্ধকার। কোনও গাড়ি নেই। আধা ঘন্টা পর গাড়ির রেডিও বন্ধ হয়ে যায়। তখন বুঝতে পারি যে ঢাকা থেকে অনেক দূরে চলে আসছি। গাড়িও অনেক গতিতে চলতে লাগলো, বুঝতে পারলাম কোনও মহাসড়কে আছি।

তখন মনে হলো আজকে আমাকে হয়তো হত্যা করা হবে। না হলে নানা রকম নাটক সাজিয়ে এবার আমাকে থানায় দেবে।
পরের গাড়িতে তোলার পর বলা হয়, কোনও আওয়াজ করবা না। কিছুদূর গিয়ে এবার বললো তোমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, বাড়ি চলে যাবে। তখন তো আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।
এরমধ্যে আস্তে-আস্তে বাইরে আলো আসতে লাগলো। তখন গাড়ির ভেতরের ড্রাইভার ছাড়া অন্যরা ঘুমিয়ে পড়ে। তখন নিশ্চিত হলাম এটা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। আমাদের গাড়ির সামনে একটি বাহিনীর (নাম উল্লেখ করে বলেন) গাড়ি ছিল। এক পর্যায়ে মহাসড়ক থেকে গাড়ি বাম দিকে একটি রাস্তায় ঢুকে, কিছুদূর গিয়ে থামে। তখন মনে হলো, এবার জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবে। বাইরে বৃষ্টির কারণে লোকজনের আনাগোনা নেই।

সেখানে প্রায় আধা ঘন্টা অবস্থান করার দেখলাম আরেকটি গাড়ি আসলো। সেটাতে আমাকে তোলা হলো। হাতকড়া খুলে নেওয়া হলো। মাথার টুপি খুলে একটা গামছা ছিড়ে দুই টুকরো করে একটা দিয়ে হাত, আরেকটা দিয়ে চোখ বাঁধা হলো। তখন পর্যন্ত আমাকে বলা হয়নি যে, ছেড়ে দেওয়া হবে। পরের গাড়িতে তোলার পর বলা হয়, কোনও আওয়াজ করবা না। কিছুদূর গিয়ে এবার বললো তোমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, বাড়ি চলে যাবে। তখন তো আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।

এবার গাড়ি থামিয়ে আমাকে টেনে নামিয়ে জোরে-জোরে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলের মধ্যে। তারপর তারা আমাকে শুয়ে পড়তে বলে। আধা ঘন্টার আগে উঠতে চেষ্টা করলে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বলে যায়, আধা ঘন্টা পরে উঠে দৌড়ে পালিয়ে যেতে। তখন আমার হাতের বাঁধনের গামছার একটা অংশ লুজ করে দিয়ে যায়। যদিও আমার মনে ভয় ছিল, উঠে দৌঁড়ালে তারা পেছন থেকে গুলি করে মেরে ফেলবে।

তাদের কথা অনুযায়ী প্রায় আধা ঘন্টা পরে হাত খুললাম। দেখলাম গুলি করে না। তখন সাহস করে চোখের বাঁধনও খুললাম। পরে অনুমান করে রাস্তার দিকে হাঁটতে লাগলাম। কিন্তু রাস্তার গাড়িকে থামার জন্য সংকেত দিলে থামে না। কিছুদূর আসার পরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা ছিল খড়ের হাট বন বিভাগ। যেটা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা।

আয়না ঘরে থাকতেই আমি বাঁচার আশা একদম ছেড়ে দিয়েছিলাম। চিন্তা করতে পারি নেই, আমি আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পারবো।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৯.০৮.২০২৪বাংলা ট্রিবিউন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইউপিডিএফের অভিনন্দন 
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
০৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৮

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রসমাজের দুই প্রতিনিধিকে এই সরকারে অন্তর্ভুক্ত করাকে দেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ও আশাসঞ্চারী ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সরকারের যৌক্তিক পদক্ষেপসমূহকে ইউপিডিএফ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা এ কথা বলেন এবং নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন।

নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও অন্যায়-জুলুমের মাধ্যমে সারা দেশে যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে তা ধীরে ধীরে সাফ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চলেছে তা বন্ধ করে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘এ লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজ হবে অবিলম্বে আটক ইউপিডিএফ নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ সব রাজবন্দিকে মুক্তি দেওয়া, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিপুল—সুনীল-লিটন-রুহিন হত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে পরিচালিত সব হত্যার বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে ভবিষ্যতে এ দেশে আর কোনও ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী শাসন কায়েম হতে না পারে।’ 

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০৮.২০২৪বাংলা ট্রিবিউন

‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হলেন মাইকেল চাকমা
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ আগস্ট ২০২৪, ১৭:২১
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমাকে ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত করে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তার সন্ধান চেয়ে আদালতে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ দায়ের করা আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বুধবার (৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম আরমান আট বছর পর বন্দিশালা থেকে মুক্ত হয়ে গত মঙ্গলবার ভোরে নিজ নিজ বাসায় ফেরেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০৮.২০২৪বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেলেন ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা
অনলাইন ডেস্ক
৭ আগস্ট ২০২৪
পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা কথিত ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার দুপুরে তাকে চট্টগ্রামে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আমাদের কর্মীরা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন। যেহেতু সেখানে গুম হওয়া লোকেরা ছাড়া পাচ্ছে। সর্বশেষ আজকে আমাদের এই মাইকেল চাকমার মুক্তির জন্য আমাদের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। তখন আমরা জানতে পারি যে ওখান থেকে একটা ইউনিট চট্টগ্রামে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাইকেল চাকমাকে হস্তান্তর করেছে।
মাইকেল চাকমা পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক ও শ্রমজীবী ফ্রন্টের (ইউডব্লিউডিএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। এরপর থেকে তার কোনো হদিস মেলেনি। মাইকেল চাকমাকে উদ্ধার ও মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নানা কর্মসূচি ও তার সন্ধান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০৮.২০২৪বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেলেন ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা কথিত ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।  
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তাকে চট্টগ্রামে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আমাদের কর্মীরা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন। যেহেতু সেখানে গুম হওয়া লোকেরা ছাড়া পাচ্ছে। সর্বশেষ আজকে আমাদের এই মাইকেল চাকমার মুক্তির জন্য আমাদের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। তখন আমরা জানতে পারি যে ওখান থেকে একটা ইউনিট চট্টগ্রামে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাইকেল চাকমাকে হস্তান্তর করেছে।
মাইকেল চাকমা পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক ও শ্রমজীবী ফ্রন্টের (ইউডব্লিউডিএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। এরপর থেকে তাঁর কোনো হদিস মেলেনি। মাইকেল চাকমাকে উদ্ধার ও মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নানা কর্মসূচি ও তার সন্ধান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৪

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০৮.২০২৪যুগান্তর

গুম হওয়া ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা মুক্ত

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি     ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় ৫ বছর ৩ মাস তিনি নিখোঁজ ছিলেন।  
বুধবার বিকালে প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানান ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা।
প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়- বুধবার ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুম হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
মাইকেল চাকমাকে উদ্ধার ও মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠন, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক-নাগরিক সমাজসহ পরিবারের লোকজন নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সিএইচটি কমিশনসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরাও মাইকেল চাকমা গুমের উদ্বেগ প্রকাশ করে তার সন্ধান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের ও মাইকেল চাকমার সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলেও এতদিন সরকারের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 
ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুতন কুমার চাকমা এক বিবৃতিতে মাইকেল চাকমাকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক বন্দি করে রাখে। তিনি এই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের সময় কারাগারে আটক ইউপিডিএফ নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ সব রাজবন্দিরও মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।


* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০৮.২০২৪প্রথম আলো

‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেয়েছেন মাইকেল চাকমা
বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৪৭
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কথিত আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা। আজ বুধবার ইউপিডিএফ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার হওয়া ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা দীর্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস পর অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাঁকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, মাইকেল চাকমা ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য তাঁকে বিশেষ স্থানে রাখা হয়েছে।

এর আগে গতকাল ভোরে আট বছর পর নিজ নিজ বাসায় ফেরেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট আহমদ বিন কাসেমকে (আরমান) মিরপুর ডিওএইচএস থেকে এবং এর কয়েক দিন পর ২৩ আগস্ট আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হয়েছিল।
মাইকেল চাকমা নিখোঁজ হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল। মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সব জাতিসত্তার জনগণ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন।
ইউপিডিএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। এর পর থেকে তাঁর কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।

মাইকেল চাকমাকে উদ্ধার ও মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক-নাগরিক সমাজসহ পরিবারের লোকজন নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সিএইচটি কমিশনসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরাও মাইকেল চাকমা গুমের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর সন্ধান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের ও মাইকেল চাকমার সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলেও এত দিন সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলো।

ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুতন কুমার চাকমা এক বিবৃতিতে মাইকেল চাকমাকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক বন্দী করে রাখে।’ তিনি এই গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমাসহ সব রাজবন্দীকেও মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০৮.২০২৪সমকাল

গুমের শিকার ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা মুক্ত
সমকাল প্রতিবেদক
 প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪ | ১৮:৩২ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৪ | ১৮:৩৩

রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় পাঁচ বছর তিন মাস তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার ভোরে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়। ইউপিডিএফের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। এরপর থেকে তার কোনো হদিস মিলেনি। মাইকেল চাকমাকে উদ্ধার ও মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহ, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক-নাগরিক সমাজসহ পরিবারের লোকজন নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।

সেখানে আরও বলা হয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সিএইচটি কমিশনসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরাও মাইকেল চাকমা গুমের উদ্বেগ প্রকাশ করে তার সন্ধান দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের ও মাইকেল চাকমার সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলেও এতদিন সরকারের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুতন কুমার চাকমা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক বন্দী করে রাখে। তিনি এই গুমের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭.০৭.২০২৪যুগান্তর
১৭ জুলাই ২০২৪

11.7.2024প্রথম আলো
১১ জুলাই ২০২৪

১১.৭.২০২৪দৈনিক আজাদী

১১.৭.২০২৪বাণিজ্য প্রতিদিন
১১ জুলাই ২০২৪

১১.৭.২০২৪যায়য়ায় দিন
১১ জুলাই ২০২৪

১১.৭.২০২৪সুপ্রভাত বাংলাদেশ
১১ জুলাই ২০২৪


১১.৭.২০২৪প্রতিদিনের সংবাদ
১১ জুলাই ২০২৪


১১.৭.২৪ আজকের পত্রিকা
১১ জুলাই ২০২৪
১১.৭.২০২৪যুগান্তর
১১ জুলাই ২০২৪




১১.৭.২৪সমকাল
১১ জুলাই ২০২৪



১১.৭.২৪সুপ্রভাত বাংলাদেশ
১১ জুলাই ২০২৪



১০.৭.২০২৪ডেইলি স্টার বাংলা

রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ
বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি
বুধবার জুলাই ১০, ২০২৪ ০৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বুধবার জুলাই ১০, ২০২৪ ০৫:৫২ অপরাহ্ন

রাঙ্গামাটির রূপনগরে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি রূপনগরে বাংলাদেশ টেলিভিশন উপকেন্দ্র সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
এসময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের কারণে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর সোয়া ১২টার কর্মসূচি শেষ হলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
সমাবেশে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি রিকনা চাকমা বলেন, ব্রিটিশ প্রণীত ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধিতে এ অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়িদের প্রথাগত আইন, রীতি-নীতি ও ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এ আইনকে সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু সরকার তা না করে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহলের কথায় আইনটি অকার্যকর করতে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। এর মাধ্যমে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজা, হেডম্যান ও কার্বারীর পদবী বিলুপ্তিসহ পাহাড়িদের প্রথাগত আইন, রীতি-নীতি ও ঐতিহ্য-সংস্কৃতি মুছে দিতে চাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, এ আইনটি বাতিলের মাধ্যমে প্রথাগত রীতি-নীতি পদ্ধতি ও অধিকার করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ তা কখনই মেনে নেবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে বলে জানান তারা।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.৭.২০২৪সারাবাংলা

রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
 July 10, 2024 | 1:19 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেতবুনিয়া বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ সালের আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া বাজারে প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। এসময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কের দু’পাশেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় পুলিশ কয়েকবার নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পুলিশ কয়েকধাপে চেষ্টা করেও নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরাতে পারেনি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নেতাকর্মীরা কর্মসূচি শেষ করলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
বেতবুনিয়া বাজারের অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, পিসিপি কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি দীপায়ন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি থুইমং মার্মা। এসময় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমাসহ তিন সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মীরা উপস্থিত।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলা শহরের শিমুলতলী টিভিস্টেশন এলাকায় পৃথকভাবে সড়কে অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয় ইউপিডিএফের তিন সংগঠন। এসময় সেখানেও পুলিশ নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.৭.২০২৪Dhaka Mail

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
জেলা প্রতিনিধি, রাঙামাটিপ্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৪, ০১:২২ পিএম
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেতবুনিয়া বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ সালের আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া বাজারে প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কের দু’পাশেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় পুলিশ কয়েকবার নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পুলিশ কয়েকধাপে চেষ্টা করেও নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরাতে পারেনি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নেতাকর্মীরা কর্মসূচি শেষ করলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
বেতবুনিয়া বাজারের অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য দেন-পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, পিসিপি কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি দীপায়ন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি থুইমং মার্মা। এ সময় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমাসহ তিন সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রাঙামাটি জেলা শহরের শিমুলতলী টিভি স্টেশন এলাকায় পৃথকভাবে সড়কে অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয় ইউপিডিএফের তিন সংগঠন। এ সময় সেখানেও পুলিশ নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.৭.২০২৪দৈনিক আজাদী

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বুধবার , ১০ জুলাই, ২০২৪ at ১২:২৪ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেতবুনিয়া বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন।
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসববিধি আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। এসময় প্রায় ঘন্ট্যাব্যাপী সড়কের অবরোধের কারণে মহাসড়কের যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর সোয়া ১২টার কর্মসূচি শেষ করলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
তবে বিক্ষোভ সমাবেশের পর পুলিশ কয়েকধাপে নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সফল হয়নি। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.৭.২০২৪প্রতিদিনের বাংলাদেশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
রাঙামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ঘণ্টা আগে
আপডেট : ১০ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া বাজারের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুইপাশেই যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ সালের আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
এ সময় বেতবুনিয়া বাজারের অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, পিসিপি কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি দীপায়ন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি থুইমং মারমা। এ সময় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমাসহ তিন সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণকে অধিকারহীন করার লক্ষ্যে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বলবৎ রাখা, পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান।
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় পুলিশ কয়েকবার নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পুলিশ কয়েক ধাপে চেষ্টা করেও নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরাতে পারেনি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নেতাকর্মীরা কর্মসূচি শেষ করলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
এদিকে, একই সময়ে রাঙামাটি জেলা শহরের শিমুলতলী টিভি স্টেশন এলাকায় পৃথকভাবে সড়কে অবস্থান ধর্মঘট করে ইউপিডিএফের তিন সংগঠন। এ সময় সেখানেও পুলিশ ইউপিডিএফের নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.৭.২০২৪ডেইলি অবজারভার

রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
Published : Wednesday, 10 July, 2024 at 4:16 PM Count : 260
অবজারভার প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটিচট্টগ্রাম মহাসড়কের বেতবুনিয়া বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ সালের আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ বিক্ষোভ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া বাজারে প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এসময় প্রায় ঘন্ট্যাব্যাপী সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুইপাশেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় পুলিশ কয়েকবার নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পুলিশ কয়েকধাপে চেষ্টা করেও নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরাতে পারেনি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নেতাকর্মীরা কর্মসূচি শেষ করলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
বেতবুনিয়া বাজারের অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, পিসিপি কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি দীপায়ন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি থুইমং মার্মা। এসময় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমাসহ তিন সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মীরা উপস্থিত। 
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলা শহরের শিমুলতলী টিভিস্টেশন এলাকায় পৃথকভাবে সড়কে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে ইউপিডিএফের তিন সংগঠন। এসময় সেখানেও পুলিশ নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা হয়।
এসআই/এসআর

* খবরের লিঙ্ক এখানে

০১.০৭.২০২৪আজকের পত্রিকা
১ জুলাই ২০২৪

০১.০৭.২০২৪সোনালী বার্তা
১ জুলাই ২০২৪


০১.০৭.২০২৪
০১.০৭.২০২৪সমকাল
১ জুলাই ২০২৪


০১.০৭.২০২৪সকালের সময়
১ জুলাই ২০২৪

১ জুলাই ২০২৪আজকাালের খবর
১ জুলাই ২০২৪




০১.০৭.২০২৪প্রতিদিনের সংবাদ
১ জুলাই ২০২৪



০১.০৭.২০২৪স্বদেশ প্রতিদিন
১ জুলাই ২০২৪

৩০.০৬.২০২৪পাহাড়২৪

সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে গণসমাবেশ
June 30, 2024বাঘাইছড়ি 2 Mins Read

সংবিধানের বিতর্কিত ‘পঞ্চদশ সংশোধনী’ বাতিল ও সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও গণসমাাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ‘পঞ্চদশ সংশোধনী’ আইন পাসের ১৩ বছর পূর্তিতে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই বিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিগত ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে এই সংশোধনী পাস করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর:
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর বাজার থেকে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি ইউনিটের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা পরিষদ, নারাঙহিয়া হয়ে উপজেলা পরিষদ গেইট এলাকা ঘুরে আবার স্বনির্ভরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি উপজেলা ইউনিটের সংগঠক লালন চাকমা ও পার্বত্য নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি কনিকা দেওয়ান। এছাড়া সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষেদের জেলা সভাপতি শান্ত চাকমা ও হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আত্মপরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। বক্তারা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) :
পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাসের ১৩ বছর পূর্তিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে রবিবার সকাল ১০টার সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক উজোবাজারের পাশে গঙ্গারামুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিশাল গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও সাজেকের বিভিন্ন এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে, ইঞ্জিন চালিত বোট যোগে, জীপ গাড়ি যোগে হাজার হাজার এলাকাবাসীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুরুব্বী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বতঃস্ফুর্তভাবে সমাবেশে যোগদান করেন।
সমাবেশে ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক চন্দন চাকমার সভাপতিত্বে ও বাঘাইছড়ি ইউনিটের সংগঠক রুপেশ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি উপজেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক অক্ষয় চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাট জেলা দপ্তর সম্পাদক কিরণ চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি বীর চাকমা, হিল উেইমেন্স ফেডারেশনের বাঘাইছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নন্দা চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি অর্চনা চাকমা।
বক্তারা পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলপূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান।
এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি, দীঘিনালা, মানিকছড়ি, রামগড়, লক্ষীছড়ি এবং রাঙামাটির নানিয়াররসহ বিভিন্ন জায়গায় একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।(বিজ্ঞপ্তি)

* খবরের লিঙ্ক এখানে
৩০.০৬.২০২৪সারাবাংলা

সংবিধানের ‘বিতর্কিত’ পঞ্চদশ সংশোধনী বিল বাতিলের দাবি
 June 30, 2024 | 10:11 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: বাংলাদেশ সংবিধানের ‘পঞ্চদশ সংশোধনী’ বিলকে ‘বিতর্কিত’ অভিহিত করে বিলটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ। পাশাপাশি সব জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতিও দাবি করেছে সংগঠনটি।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের ১৩ বছর পূর্তির দিন রোববার (৩০ জুন) রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ দিন সকালে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের উজোবাজারের পাশে গঙ্গারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গণসমাবেশ করে ইউপিডিএফ।
সমাবেশে ইউপিডিএফের রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক চন্দন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইউপিডিএফ বাঘাইছড়ি ইউনিটের প্রধান সংগঠক অক্ষয় চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলার দফতর সম্পাদক কিরণ চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড় উপজেলা শাখার সভাপতি বীর চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নন্দা চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি অর্চনা চাকমা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইউপিডিএফ সংগঠক চন্দন চাকমা বলেন, পাহাড়িদের অস্তিত্ব বিলীন করে দেওয়ার জন্য সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ২০১১ সালের ৩০ জুন আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে বসবাসরত জাতিসত্তাগুলোর ওপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার উগ্রজাতীয়তাবাদী মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য পরিষ্কার করেছে।
চন্দন চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে বসবাসরত ভিন্ন ভাষাভাষী সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলো বাঙালি নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তা আরোপ করা হলে তৎকালীন সংসদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আমরা পাহাড়িরা জনগণ যুগে যুগে স্বাধীন ছিলাম। কিন্তু কালক্রমে আমাদের স্বাধীনতা, ভোগলিক সীমানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়ার কারণে পাহাড়ি জনগণের ওপর চরম দুর্দশা নেমে এসেছে, যা আজও চলমান। এসব ইতিহাস আমাদের জানতে হবে।
বাঘাইছড়ি ইউনিটের প্রধান সংগঠক অক্ষয় চাকমা বলেন, আমরা বাঙালি নই, আমরা পাহাড়ি। যে সংবিধান আমাদের বাঙালি বানায়, সেই সংবিধান আমরা মানি না। সাজেকে মুসলিমশূন্য এলাকায় বিলাসবহুল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যায়, সেখানে হাসপাতাল না করে মসজিদ কেন? যেখানে কোনো মুসলিম নেই, সেখানে মুসলিমের নামে গ্রাম কেন? যেখানে নিজের ভিটামাটিতে বসত ঘর করতে বাধা, সেখানে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কেন?
সমাবেশে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সব জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান নেতারা।
সারাবাংলা/টিআর

* খবরের লিঙ্ক এখানে
৩০.০৬.২০২৪প্রথম আলো


২৯.০৬.২০২৪সারাবাংলা
৩০
‘খুনিদের রক্ষায় ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-মামলা’
 June 29, 2024 | 9:45 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির সাজেকের বাঘাইহাটে পরিবহন শ্রমিক মো. নাঈম হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউপিডিএফের তিন সহযোগী সংগঠন।
সম্মেলন থেকে অভিযোগ এসেছে, খুনিদের রক্ষার চেষ্টায় ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা সদরের কুতুকছড়িতে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা।
এতে পিসিপি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দীপায়ন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপনা চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক নিকি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক থুইনুমং মারমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তন চাকমাসহ তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গত ৯ জুন রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধভাবে প্রভাব খাটানোর জন্য ঠ্যাঙাড়ে (জেএসএস-এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) বাহিনীর ৫০ জনের মতো সশস্ত্র সদস্য বাঘাইহাটে অবস্থান করে। বাজারে অবস্থানকালে সশস্ত্র সদস্যরা গ্রামবাসীদের ওপর হয়রানি ও জুলুম চালায়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিরোধ করলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিতে গাড়িচালক হেলপার নাঈম নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ৩ সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, পরিবহন শ্রমিক নাঈম হত্যার জড়িত খুনিদের রক্ষার চেষ্টায় ইউপিডিএফ ও গণসংগঠনের ১৫ নেতাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। এখন যৌথ অভিযানের নামে নিরীহদের গ্রেফতার করতে সাজেকে অভিযানে নেমেছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ৬ দফা দাবি জানায় তিন সংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ ভেঙে দলটির একটি অংশ তপন জ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে নতুন দল গড়ে। ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও জেএসএস (এমএন লারমা)-কে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী হিসেবে অভিহিত করে আসছে প্রসিত খীসার ইউপিডিএফ।
সারাবাংলা/এমও

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৯.০৬.২০২৪সমকাল

ইউপিডিএফ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি
রাঙামাটি অফিস
 প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪ | ২১:০১

রাঙামাটির বাঘাইহাটে নাঈম হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
আজ শনিবার রাঙামাটির কতুকছড়ির একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়। 
ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ (পিসিপি) তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিসিপির জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিসিপির জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দীপায়ন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি রিপনা চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক নিকি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক থুইনুমং মারমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তন চাকমাসহ তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৯ জুন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে এমএন লারমা গ্রুপের জেএসএস ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের ৫০ জন সশস্ত্র সদস্য বাঘাইহাটে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা গ্রামবাসীকে হয়রানি ও নির্যাতন করে। প্রতিরোধ করতে গেলে গ্রামবাসীর সঙ্গে এমএন লারমা গ্রুপের জেএসএস ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে নাঈম নামে  এক গাড়ির হেলপার নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের চাচা বাবুল ইসলামের কাছ থেকে সাদা কাগজে নেওয়া স্বাক্ষর ব্যবহার করে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে নেতারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে– হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার, সন্ত্রাসীদের মদত ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ, প্রশাসন কর্তৃক এমএন লারমা গ্রুপের জেএসএস ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের (ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী) সন্ত্রাসীদের মদত ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ ও সংগঠনটি ভেঙে দেওয়া, সাজেকে জনপ্রতিনিধি, পাহাড়ি-বাঙালি ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণকে হুমকি প্রদান বন্ধ, বাঘাইহাট বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহনের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ, স্থানীয় বাঙালি ও ব্যবসায়ীদের দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৯.০৬.২০২৪
সাম্প্রতিক দেশকাল

‘খুনিদের রক্ষায় ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-মামলা’
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সংবাদ সম্মেলন।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
রাঙ্গামাটির সাজেকের বাঘাইহাটে পরিবহন শ্রমিক মো. নাঈম হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউপিডিএফের তিন সহযোগী সংগঠন। সম্মেলন থেকে অভিযোগ এসেছে, খুনিদের রক্ষার চেষ্টায় ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা সদরের কুতুকছড়িতে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা।
এতে পিসিপি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দীপায়ন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপনা চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক নিকি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক থুইনুমং মারমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তন চাকমাসহ তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গত ৯ জুন রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধভাবে প্রভাব খাটানোর জন্য ঠ্যাঙাড়ে (জেএসএস-এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) বাহিনীর ৫০ জনের মতো সশস্ত্র সদস্য বাঘাইহাটে অবস্থান করে। বাজারে অবস্থানকালে সশস্ত্র সদস্যরা গ্রামবাসীদের ওপর হয়রানি ও জুলুম চালায়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিরোধ করলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিতে গাড়ি চালক হেলপার নাঈম নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করা হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে ৩ সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, পরিবহন শ্রমিক নাঈম হত্যার জড়িত খুনি ঠ্যাঙাড়েদের রক্ষার চেষ্টায় ইউপিডিএফ ও গণসংগঠনের ১৫ নেতাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। এখন যৌথ অভিযানের নামে নিরীহদের গ্রেপ্তার করতে সাজেকে অভিযানে নেমেছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ৬ দফা দাবি জানায় তিন সংগঠনের নেতারা। দাবিসমূহ হলো- ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাজানো নাঈম হত্যা মামলা থেকে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ ইউপিডিএফ ও গণফ্রন্টভুক্ত নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহার করতে হবে; সন্ত্রাসী ধরার নামে সাজেকে চলমান যৌথ অভিযানের নাটক বন্ধ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে; ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান বন্ধ ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দিতে হবে; সাজেকে জনপ্রতিনিধি, পাহাড়ি-বাঙালি ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণকে হুমকি বন্ধ করতে হবে; বাঘাইহাট বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহনের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে ও বাঘাইহাটে স্থানীয় বাঙালি ও ব্যবসায়ীদের দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ ভেঙে দলটির একটি অংশ তপন জ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে নতুন দল গড়ে। ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও জেএসএস (এমএন লারমা)-কে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী হিসেবে অভিহিত করে আসছে প্রসিত খীসার ইউপিডিএফ।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৯.০৬.২০২৪প্রতিদিনের বাংলাদেশ

সাজেকে তিন দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
রাঙামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৪ ১৫:০৯ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
রাঙামাটির সাজেকের বাঘাইহাটে বাসশ্রমিক নাঈমের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সাজেক গণঅধিকার রক্ষা কমিটি। 
বুধবার (১৯ জুন) সকালে সাজেকের উজো বাজারের গঙ্গারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় বলা হয়, ২১ জুন দুপুর ১২টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
দাবিগুলো হলো, শান্তি পরিবহনের চালকের সহকারী মো. নাঈম হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি, সন্ত্রাসী ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেওয়া এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ও বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লে. ক. খায়রুল আমিনকে প্রত্যাহার করা।
সাজেক গণঅধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও ৩৬ নম্বর সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাজেক কার্বারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাজেক গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব নতুন জয় চাকমা, সাজেক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পরিচয় চাকমা, সাবেক মেম্বার দেবজ্যোতি চাকমা, সাজেক জুমচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জ্যোতি লাল চাকমা।  
বক্তারা বলেন, যে দলগুলো আমাদের সুখে-শান্তিতে থাকতে দেবে না, আমরাও তাদের এখানে থাকতে দেব না। আমরা না খেয়ে মরতে রাজি নই, প্রয়োজনে আন্দোলন-সংগ্রাম করে মরব। সন্ত্রাসী ঠ্যাঙাড়েদের অত্যাচারে সাজেকের সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের কারণে আজ সাজেকে স্বাভাবিক কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকালে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় সাজেকের বাঘাইহাট বাজারে ফটিকছড়ি নাজিরহাটের বাসিন্দা বাসশ্রমিক নাঈম নিহত হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৮.০৬.২০২৪বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ইউপিডিএফের অবরোধে বাঘাইছড়িতে ভোট স্থগিত
রোববার এ উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
রাঙামাটি প্রতিনিধি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 08 Jun 2024, 02:24 PM
Updated : 08 Jun 2024, 04:50 PM
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএ) ডাকা অবরোধের মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভোট স্থগিত করছে নির্বাচন কমিশন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত থাকবে বলে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা বিভাগ-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা চিঠিতে জানানো হয়েছে।
রোববার এ উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতিও শেষ করেছে কমিশন।
এর আগে ২৯ মে এই উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করে ৯ জুন ভোটের নতুন তারিখ দিয়েছিল কমিশন।
অনিবার্য কারণে ভোট স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিরীন আক্তার।
ইউপিডিএয়ের অবরোধ চলছে
বাঘাইছড়িতে ভোটের আগের দিন ডাকা সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালন করছে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ।
সকাল থেকে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের বিভিন্ন অংশে অবস্থান করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বেলা ১২টার দিকে বাঘাইছড়ির সাত কিলোমিটার এলাকায় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা।
ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিট প্রধান সংগঠক সচল চাকমা বলেন, “বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকি ও নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য সশস্ত্র ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ বাঘাইহাটে অবস্থান নিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারসহ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে অবরোধ পালন করা হচ্ছে।
তিনি দাবি করেছেন, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনটি মাইক্রোবাসে করে ৫০ জনের একটি দল বাঘাইহাটে প্রবেশ করে। তারা এখন কেপিএমের পরিত্যক্ত অফিসে অবস্থান করছে।
এছাড়া কয়েকদিন আগে থেকে প্রতিপক্ষ দলের লোকজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অলিভ চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমিতা চাকমার নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন এই ইউপিডিএফ নেতার।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৮.০৬.২০২৪Baghaichari Upazila polls halted as UPDF stages blockade
The Election Commission was preparing to hold the election in the Upazila on Sunday
Rangamati Correspondent
bdnews24.com
Published : 08 Jun 2024, 04:08 PM
Updated : 08 Jun 2024, 04:08 PM

The Election Commission has suspended voting in Rangamati’s Baghaichari Upazila amid a blockade called by the United People’s Democratic Front or UPDF, a regional organisation in the hill districts, demanding a fair and peaceful election.
The polls in the Upazila will remain suspended until further notice as the law and order situation is likely to deteriorate, according to a letter signed by EC Deputy Secretary Atiar Rahman.
The Upazila was to vote on Sunday. The EC had also completed all preparations tied to the election.
Polling in the Upazila was previously scheduled for May 29 but the commission set Jun 9 for the vote due to adverse weather under the influence of Cyclone Remal.
The voting has been suspended due to unavoidable circumstances, Baghaichari Chief Executive Officer (UNO) and Assistant Returning Officer Shirin Akter said.
UPDF’S BLOCKADE UNDERWAY
The UPDF has been running a dawn-to-dusk road blockade in Baghaichari a day before the local government election.
The activists and supporters of the group blocked different parts of the Khagrachhari-Sajek road with tree trunks or burning tyres. The protesters also vandalised a motorcycle in the Upazil’s Sat Kilometre area around noon.
UPDF Rangamati District Unit Organiser Shachal Chakma said, “An ‘armed group’ has taken up positions in Baghaihat to threaten election agents and influence elections in Baghaichari Upazila. The blockade is being observed to protest this incident and demand fair and peaceful elections along with the arrest of the criminals.”
The UPDF leader claimed that a group of 50 people entered Baghaihat boarding a microbus around 1:30pm on Friday. They are now staying at the abandoned office of Karnafully Paper Mill (KPM).
The protesters also claimed that the supporters of the rival candidates have been threatening the agents of chairman candidate Aliv Chakma and female vice chairman candidate Sumita Chakma for the past several days.

* NEWS Link

০৮.০৬.২০২৪বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাঙামাটিতে ভোটের আগের দিন ‘অবরোধের’ ডাক ইউপিডিএফের
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রোববার।
রাঙামাটি প্রতিনিধি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 08 Jun 2024, 01:00 AM
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের’ দাবিতে ভোটের আগের দিন সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রোববার। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিময় চাকমা অলিভের সমর্থনে শনিবার এই অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ।
যদিও ইতিময় চাকমা অলিভ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তারপও ‘মাচালং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে ইউপিডিএফ।
শুক্রবার রাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিট প্রধান সংগঠক সচল চাকমা বলেন, “রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ‘ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসী’ কর্তৃক নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকি প্রদান ও নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাটানোর জন্য ‘ঠ্যাঙাড়েদের’ বাঘাইহাটে সশস্ত্রভাবে অবস্থানের প্রতিবাদে এবং বাঘাইহাট থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারসহ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে শনিবার সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
সাধারণত নিজেদের বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে ‘ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী’ নামে অভিহিত করে থাকে ইউপিডিএফ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও দাবি করা হয়, “শুক্রবার দুপুর ১:৩০টার দিকে তিনটি বড় মাইক্রোবাসে করে ৫০ জনের মতো ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসী বাঘাইহাটে যায়। তারা এখন কেপিএম-এর পরিত্যক্ত অফিসে সশস্ত্রভাবে অবস্থান করছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে থেকে তারা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অলিভ চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমিতা চাকমার নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকি দিয়ে আসছে।”
সচল চাকমা বিবৃতিতে আরও বলেন, “ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে না। তাই প্রশাসনকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
দেশের সবচেয়ে বড় ও সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা; অপর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইতিময় চাকমা অলিভ লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে ।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।
এর মধ্যে অলিভ চাকমাকে স্থানীয় আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (সন্তু লারমা) ও ইউপিডিএফ সমর্থন দেওয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী সুদর্শন চাকমা ও ইতিময় চাকমা অলিভের মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালে এই উপজেলা পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা ফেরার পথে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করলে শিক্ষক, আনসার সদস্যসহ অন্তত আট নির্বাচন কর্মী নিহত হন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, “সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৩৪ ভোট কেন্দ্রের ১৭ প্লাটুন বিজিবি, প্রতিকেন্দ্রে ৮ জন করে পুলিশ, পর্যাপ্ত পরিমাণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়ন থাকবে।”
এছাড়া, প্রতি ইউনিয়নে একজন করে ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও একটি করে টহল টিমও মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৮.০৬.২০২৪NEWAGE



১৫.০৫.২০২৪ইত্তেফাক

ইউপিডিএফের ডাকে খাগড়াছড়িতে চলছে আধাবেলার অবরোধ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ১০:১৩
চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন এ্যাক্ট বা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ‘বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকে খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে।
বুধবার (১৫ মে) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। অবরোধে খাগড়াছড়ির সঙ্গে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শহরের অভ্যন্তরীণ যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
সকালে খাগড়াছড়ির পানছড়ি, জেলা সদর, দীঘিনালা, গুইমারার ব্যাইল্যাছড়ি, মানিকছড়ি,  কতুকছড়িসহ  বিভিন্ন এলাকায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা।
আদালতের মাধ্যমে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইউপিডিএফ এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৫.০৫.২০২৪বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকে আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলছে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
খাগড়াছড়ি: চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন বা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর ডাকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে অবরোধ চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
অবরোধে খাগড়াছড়ির সঙ্গে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ আছে। সকালে খাগড়াছড়ির পানছড়ি, জেলা সদর, দীঘিনালাসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা।
আদালতের মাধ্যমে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইউপিডিএফ অবরোধ কর্মসূচির পালন করছে।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৫.০৫.২০২৪প্রথম আলো

রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে ইউপিডিএফের আধা বেলা অবরোধ চলছে
প্রতিনিধি রাঙামাটি
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০: ২৪
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকা আধা বেলা অবরোধ চলছে সড়ক ও নৌপথে। তবে ইউপিডিএফ–নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কঠোরভাবে অবরোধ পালিত হলেও অন্য এলাকাগুলোয় যানবাহন-নৌযান চলাচল স্বাভাবিক বলে জানা গেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করছেন ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে ইউপিডিএফের সহযোগী হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে বলে জানা গেছে।
রাঙামাটি জেলার মধ্যে রাঙামাটি সদরের একাংশে, নানিয়ারচর, কাউখালী, লংগদু উপজেলার একাংশে ও বাঘাইছড়ি উপজেলার একাংশে ইউপিডিএফের আধিপত্য রয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক, কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া-কাউখালী সড়ক ও বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে কঠোরভাবে অবরোধ পালিত হচ্ছে। এসব সড়কে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখনো কোনো এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ সকাল সাতটায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে সরেজমিন দেখা যায়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, বোধিপুর, ধর্মঘর ও কুতুকছড়ি এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালিত হচ্ছে। বেশ কিছু তরুণ-তরুণী লাঠিসোঁটা নিয়ে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ২০ থেকে ২৫টি স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। এ সড়কে সকাল থেকে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। যানচলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হেঁটে বিদ্যালয়ে গেছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি তনুময় চাকমা বলেন, অবরোধ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কসহ বেশ কিছু সড়কে কোনো যান চলাচল করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু এলাকা অবরোধের সমর্থনে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৫.০৫.২০২৪আজকের পত্রিকা

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের আধাবেলা অবরোধ পালিত
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ১৪:৩২
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ইউপিডিএফের ডাকে আজ বুধবার আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দলটি অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। 

আদালতের মাধ্যমে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকার হরণের অভিযোগে ইউপিডিএফ এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। 

রাঙামটি জেলায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের বেতবুনিয়া এলাকায়, রাঙামাটি সদরের ভেদভেদি এলাকায়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কুদুকছড়ি, ঘিলাছড়ি, সোনারাম কার্বারিপাড়া (১৮ মাইল) এলাকা, দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি-সাজেক পর্যটন সড়কের উজো বাজার, মাচলং, মারিশ্যা ১০ নম্বর এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পিকেটিং করা হয় অবরোধের সমর্থনে। 

মারিশ্যা সড়কের ১০ নম্বর এলাকায় নারীরা অবরোধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন। রাঙামাটি সদর উপজেলার কুদুকছড়ি এলাকায়ও নারী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবরোধ সফল করার জন্য সড়কে পিকেটিং করেন। 
অবরোধের কারণে জেলা ও উপজেলাগুলোতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। জেলা সদর থেকে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অবরোধ চলাকালে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 
বুধবার ভোর থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা (খাগড়াছড়ি টু ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক), উপজেলা পরিষদ এলাকা (খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক), শিবন্দির এলাকা, গুইমারা উপজেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের বাইল্যাছড়ি-জালিয়াপাড়া, মানিকছড়ি উপজেলার জামতলা এলাকায় খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে, রামগড় উপজেলায় খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়ক এবং পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে আগুন দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। 
এদিকে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা ও রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এক যুক্ত বিবৃতিতে অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সব যানবাহন ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। 
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণকে অধিকারহীন করার লক্ষ্যে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৫.০৫.২০২৪যুগান্তর

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের আধাবেলা সড়ক অবরোধ
 খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি  ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ
চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন বা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর ডাকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে অবরোধ চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
অবরোধে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। 
সকালে খাগড়াছড়ির পানছড়ি, জেলা সদর, রামগড়, দীঘিনালা, গুইমারার বাইল্যাছড়ি, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের কতুকছড়ি, রাঙামাটির সাজেক, ভেদভেদিসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা।
ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, আদালতের মাধ্যমে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কারবারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইউপিডিএফ অবরোধ কর্মসূচির পালন করছে।
গত সোমবার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তানভীর হাসান ও মাটিরাঙা থানার ওসি কৃষ্ণ কমল দে বলেন, অবরোধে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলো পুলিশি পাহারায় পার করা হয়েছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৫.০৫.২০২৪সারাবাংলা

রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের আধাবেলা অবরোধ পালিত
 May 15, 2024 | 6:25 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে আধাবেলা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আদালতের মাধ্যমে ‘চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (সিএইচটি) রেগুলেশন ১৯০০’ বাতিল, রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারহরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আগামীকাল ১৬ মে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (সিএইচটি) রেগুলেশন ১৯০০ আইন বাতিলে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই কারণে গত সোমবার রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ইউপিডিএফ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
এদিকে, ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার সই করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অবরোধের কারণে বুধবার ভোর ৫টা থেকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে আগুন দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন ইউপিডিএফ সমর্থকরা। এছাড়া সাজেকের উজো বাজারে নারী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সাজেক পর্যটন সড়ক অবরোধ করেন।
আধাবেলা অবরোধের কারণে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি দুই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সড়ক ও নৌপথ পথে অবরোধের ডাক দেওয়া হলেও রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির ইউপিডিএফ অধ্যুষিত এলাকায় অবরোধ পালিত হয়েছে। যদিও রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আগের মতোই ইঞ্জিনচালিত বোট চলাচল করেছে।
ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা ও রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বলেন, ‘সরকার আদালতকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণকে অধিকারহীন করার লক্ষে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
ইউপিডিএফের এই দুই নেতা অবিলম্বে ‘চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০’ বলবৎ রাখা, পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান।
এদিকে, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, সকাল থেকেই অবরোধ পালনকারীরা সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটির জেলার কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল।
সারাবাংলা/এনইউ

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১২.০৫.২০২৪সমকাল

ইউপিডিএফের বিবৃতি
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিলের চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অংশ’

রাঙামাটি অফিস
 প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪ | ২৩:৪২
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিলের চেষ্টাকে ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি এই আইন বাতিলের চেষ্টা বন্ধের দাবি জানিয়েছে। 
রোববার ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, শাসনবিধি সংশোধন তথা বাতিলের চেষ্টা পাহাড়ি জনগণের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রথাগত আইন মুছে দিয়ে তাদের অস্তিত্ব চিরতরে বিলুপ্ত করে দেওয়ার এক সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। 
এতে আরও বলা হয়, কোনো সরকার এসব সংশোধনী আনার সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। পাকিস্তান আমল থেকে আজ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বহুবার সংশোধন করে পাহাড়ের জনগণের অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে এবং পাহাড়ে বহিরাগতদের প্রাধান্য, কর্তৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ-প্রবর্তিত এ শাসনবিধি পুনরায় সংশোধনের মাধ্যমে কার্যত বাতিল ও অকার্যকর করা হলে পাহাড়ে ঐতিহ্যগত যৎসামান্য যে শাসনক্ষমতা রয়েছে, তাও ধসে পড়বে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৮.০৫.২০২৪ভোটের স্বার্থে পানছড়ি বাজার বয়কট স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইউপিডিএফ’র
May 8, 2024Updated:May 8, 2024খাগড়াছড়ি
আসন্ন পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে সেজন্য জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে চলমান পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিট।
গতকাল ৭ মে ২০২৪ মঙ্গলবার ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের প্রধান সংগঠক অপু ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় উক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ বুধবার থেকে বয়কট স্থগিতের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানান তারা।
সভায় আসন্ন পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, পার্টি হস্তক্ষেপমুক্ত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে। ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৬.০৫.২০২৪রাঙ্গামাটির বরকলে ধৃত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়ায় তিন সংগঠনের উদ্বেগ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০১ : ৪৭ পি.এম.
রাঙ্গামাটির বরকলে অস্ত্রসহ আটকের পর ঠ্যাঙাড়ে সদস্যদের ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় যুগপৎ বিষ্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)।
সোমবার (৬ মে) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে উক্ত ঘটনাকে বিষ্ময়কর ও নজীরবিহীন উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা রক্ষার নামে কারা সন্ত্রাসীদের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলছে এ ঘটনা দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
বিবৃতিতে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গত ৩ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় বরকল উপজেলার এরিবুনিয়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বেশ কয়েকজন ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীকে আটক করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একটি ট্রলারে করে বরকল যাচ্ছিল।
‘একজন ঠ্যাঙাড়ে বিজিবি সদস্যদের জানায় যে, তারা সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে বরকলে যাচ্ছিল। কিন্তু বিজিবি তাকে “চুপ, একদম চুপ, কেউ কোন কথা বলবে না” বলে ধমক দেয়।”
তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিজিবি সদস্যরা অত্যন্ত সাহকিতার সাথে ও ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করলেও, কোন রহস্যজনক কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যা বিজিবি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজও দেয়া হয়নি।’
নেতৃবৃন্দ বিজিবির হাতে আটক ও পরে ছেড়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের কয়েকজনের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলো তিলক চাকমা (মিশর), পিতার নাম সমীরণ চাকমা, গ্রাম- দেওয়ান পাড়া, ভাইবোন ছড়া ইউপি, খাগড়াছড়ি; রূপায়ন চাকমা (উত্তরণ), পিতা- আদে রঞ্জন চাকমা গ্রাম- মাচ্চে পাড়া, বন্দুকভাঙা, রাঙামাটি (বর্তমানে তেঁতুলতলা, খাগড়াছড়ি); জাগরণ চাকমা, গ্রাম- গুইছড়ি, সাপছড়ি ইউপি, রাঙামাটি; প্রবেশ চাকমা (সে সশস্ত্র গ্রুপটির কমাণ্ডার); সবিনয় চাকমা, গ্রাম পানছড়ি, খাগড়াছড়ি।
‘জানা গেছে আসন্ন বরকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব খাটানোর জন্য তারা বরকলে যাচ্ছিল।’
তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কী কারণে এবং কার নির্দেশে অস্ত্রসহ আটকের পরও সশস্ত্র ঠ্যাঙাড়ে সদস্যদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে তার কৈফিয়ত দাবি করেন। এছাড়া দায়িদের চিহ্নিত করতে পুরো ঘটনা সরেজমিন তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম প্রেরণের জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ঘটনার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা পাওয়ার ও প্রকৃত সত্য জানার অধিকার দেশের জনগণের রয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই ঠ্যাঙাড়েদের নিয়ে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা বন্ধ করতে হবে, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীগুলোকে ভেঙে দিতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৬.০৫.২০২৪স্টার সংবাদ

রাঙামাটিতে আটক সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়ায় তিন সংগঠনের বিস্ময় ও উদ্বেগ
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 14:55, 6 May 2024
আপডেট: 14:56, 6 May 2024
রাঙামাটির বরকলে অস্ত্রসহ আটকের পর ঠ্যাঙাড়ে সদস্যদের ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন। এরা হলো- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)।
সোমবার (৬ মে) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে ওই ঘটনাকে বিস্ময়কর ও নজীরবিহীন উল্লেখ করে বলেন, ‘সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা রক্ষার নামে কারা সন্ত্রাসীদের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলছে এ ঘটনা দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।’
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক থুইলাপ্রু মারমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন,‘গত ৩ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় বরকল উপজেলার এরিবুনিয়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বেশ কয়েকজন ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীকে আটক করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একটি ট্রলারে করে বরকল যাচ্ছিল।’
তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘বিজিবি সদস্যরা অত্যন্ত সাহকিতার সাথে ও ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করলেও কোন রহস্যজনক কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যা বিজিবি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজও দেওয়া হয়নি।’
নেতৃবৃন্দ বিজিবির হাতে আটক ও পরে ছেড়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের কয়েকজনের পরিচয় দিয়ে বলেন,‘সন্ত্রাসীদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলো- সমীরণ চাকমার ছেলে তিলক চাকমা (মিশর), গ্রাম- দেওয়ান পাড়া, ভাইবোন ছড়া ইউপি, খাগড়াছড়ি; আদে রঞ্জন চাকমার ছেলে রূপায়ন চাকমা (উত্তরণ), গ্রাম- মাচ্চে পাড়া, বন্দুকভাঙা, রাঙামাটি (বর্তমানে তেঁতুলতলা, খাগড়াছড়ি; জাগরণ চাকমা, গ্রাম- গুইছড়ি, সাপছড়ি ইউপি, রাঙামাটি; প্রবেশ চাকমা (সে সশস্ত্র গ্রুপটির কমাণ্ডার) ও সবিনয় চাকমা, গ্রাম পানছড়ি, খাগড়াছড়ি।
জানা গেছে আসন্ন বরকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব খাটানোর জন্য তারা বরকলে যাচ্ছিল।
তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কী কারণে এবং কার নির্দেশে অস্ত্রসহ আটকের পরও সশস্ত্র ঠ্যাঙাড়ে সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে তা জানার দাবি জানায়। এছাড়া, দায়িদের চিহ্নিত করতে পুরো ঘটনা সরেজমিন তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম প্রেরণের জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ঘটনার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা ও প্রকৃত সত্য জানার অধিকার দেশের জনগণের রয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই ঠ্যাঙাড়েদের নিয়ে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা বন্ধ করতে হবে, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীগুলোকে ভেঙে দিতে হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৫.০৫.২০২৪NEWAGE
০৫.০৫.২০২৪সমকাল
২৫.৪.২০২৪রাইজিংবিডি.কম

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ’র অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন
 রাঙামাটি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
 প্রকাশিত: ১৬:২৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৪  
রাঙামাটি জেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) ডাকে অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বান্দরবানে কেএনএফ বিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেপ্তার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে ইউপিডিএফ’র রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনগুলো এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
রাঙামাটি পৌর এলাকা এবং এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামত কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ঔষধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বহনকারী গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত ছিল।
ইউপিডিএফ’র নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পিকেটাররা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেতবুনিয়া, মঘাছড়ি, ঘাগড়াসহ বিভিন্ন স্থানে; রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি, তৈন্যাপাড়া (১৭ মাইল), নানিয়ারচর সদরের টিএন্ডটি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন সড়কের বাঘাইহাট দ্বোপদা, নাকশাছড়ি, ১৪ কিলো ও মাচলঙ ব্রিজ পাড়া এলাকায় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ কর্মসূচি সফল করেন। এছাড়া রাঙামাটি সদর উপজেলার পেরাছড়া, তৌমিদুংসহ নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌপথে অবরোধ পালন করা হয়।
অবরোধের সময় রাঙামাটি শহর থেকে সড়ক ও নৌপথে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক, নানিয়ারচর – মহালছড়ি সড়ক ও সাজেকের পর্যটন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। অন্যদিকে নানিয়ারচর-রাঙামাটি নৌপথসহ অন্যান্য নৌপথগুলোতেও নৌযান চলাচল করেনি।
ইউপিডিএফ’র রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সকল যান ও পরিবহন মালিক, শ্রমিক সমিতি/সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জেলার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইউপিডিএফ নেতা বান্দরবানে চলমান কেএনএফ বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী-শিশুসহ গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির বিরুদ্ধে তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বিজয়/ফয়সাল

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৫.০৪.২০২৪পাহাড়বার্তা.কম

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত
পাহাড়বার্তা ডেস্ক ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ৫:১৩ অপরাহ্ন

রাঙামাটি জেলায় আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ২০২৪) ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রট (ইউপিডিএফ)—এর ডাকে অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ স্বতঃস্ফুর্তভাবে পালিত হয়েছে। তবে রাঙামাটি পৌর এলাকা এবং এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামত কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরী ঔষধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বহনকারী গাড়ী অবরোধের আওতামুক্ত ছিল।
বান্দরবানে কেএনএফ-বিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেফতার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনগুলো এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
আজ ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পিকেটাররা রাঙামটি- চট্টগ্রাম সড়কের বেতবুনিয়া, মঘাছড়ি, ঘাগড়াসহ বিভিন্ন স্থানে; রাঙামাটি -খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কুদুকছড়ি, ঘিলাছড়ি, তৈন্যাপাড়া (১৭ মাইল), নান্যাচর সদরের টিএন্ডটি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন সড়কের বাঘাইহাট দ্বোপদা, নাকশাছড়ি, ১৪ কিলো ও মাচলঙ ব্রিজ পাড়া এলাকায় সড়কে টায়ার-আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ কর্মসূচি সফল করেন। এছাড়া রাঙামাটি সদর উপজেলার পেরাছড়া, তৌমিদুংসহ নান্যাচর ও লংগদু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌপথে অবরোধ পালন করা হয়।
অবরোধের সময় রাঙামাটি শহর থেকে সড়ক ও নৌপথে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। রাঙামাটি -খাগড়াছড়ি সড়ক, নান্যাচর- মহালছড়ি সড়ক ও সাজেকের পর্যটন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। অন্যদিকে নান্যাচর- রাঙামাটি নৌপথসহ অন্যান্য নৌপথগুলোতেও নৌযান চলাচল করেনি।
অবরোধ চলাকালে রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়িতে পিকেটিংয়ে বাধা প্রদান করলে পিকেটারদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুটা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, কুদুকছড়ি ইউনিয়নের মধ্য আদাম (ধর্মঘর) নামক স্থানে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং করার সময় সেনাবাহিনী হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি রিমি চাকমাসহ ৫ নারী নেত্রীকে আটকের চেষ্টা চালায়। তবে জনগণের প্রতিবাদের মুখে পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সকল যান ও পরিবহন মালিক, শ্রমিক সমিতি-সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জেলার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইউপিডিএফ নেতা বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী-শিশুসহ গণগ্রেফতার ও হয়রানির বিরুদ্ধে তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না।
তিনি অবিলম্ব বান্দরবানে যৌথ অভিযানে গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি, গণগ্রেফতার ও নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত বেআইনী বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪রাইজিং বিডি

বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে অর্ধদিবস অবরোধের ডাক দিল ইউপিডিএফ
রাঙামাটি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৭:৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৭:৫৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অর্ধদিবস অবরোধের ডাক দিয়েছেন প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বরত নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় যে, বান্দরবানে কেএনএফ-বিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেফতার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙামাটি জেলায় অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করবে ইউপিডিএফ। ওই দিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ পালিত হবে।
অবরোধ পালনকালে এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ উক্ত অবরোধ সফল করার জন্য বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সকল যানবাহনের পরিবহন মালিক, শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪যুগান্তর

রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার ইউপিডিএফের সড়ক-নৌপথ অবরোধ

রাঙামাটি প্রতিনিধি  ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলায় অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিট। বান্দরবানে কেএনএফবিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেফতার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলাব্যাপী শান্তিপূর্ণ অবরোধ করবে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও তার সহযোগী গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বান্দরবানে চলমান কেএনএফবিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী-শিশুসহ গণগ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না। সভায় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত অন্যায় ও বেআইনি বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহণকারী যানবাহন অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে। অবরোধ সফল করার জন্য বাস, ট্রাক, লঞ্চসহ সব ধরনের যানবাহন ও পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪
বার্তা২৪

রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার সড়ক-নৌপথ অবরোধ
৩:৪৪ পিএম | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাঙামাটিতে আগামী ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিট।
বান্দরবানে কেএনএফ-বিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেফতার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে এ অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি । ওই দিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ চলবে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রেসবার্তায় জানানো হয়েছে।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও তার সহযোগী গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় উক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী-শিশুসহ গণগ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না।
সভায় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত অন্যায় ও বেআইনি বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরী ঔষধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।
ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ উক্ত অবরোধ সফল করার জন্য বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সকল যান ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধও জানানো হয়েছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪সারাবাংলা

রাঙ্গামাটিতে সড়ক-নৌপথ অবরোধের ডাক ইউপিডিএফের
April 23, 2024 | 4:20 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। বান্দরবানে কেএনএফ-বিরোধী যৌথ অভিযানে নিরীহ মানুষকে নির্বিচার গণগ্রেফতার, আটক, হয়রানির অভিযোগে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট।
এদিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙ্গামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট ও তার সহযোগী গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ নারী-শিশুসহ গণগ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না।
সভায় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত অন্যায় ও বেআইনী বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে। ইউপিডিএফ নেতারা অবরোধ সফল করার জন্য বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সব যান ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/এনইউ

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪RTV NEWS

রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস অবরোধ ডাকল ইউপিডিএফ
আরটিভি নিউজ
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪
রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস অবরোধের ডাক দিয়েছে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ অবরোধ করবেন তারা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বরত নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অবরোধের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বান্দরবানে কেএনএফবিরোধী যৌথ অভিযানে গণগ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলায় অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করবে ইউপিডিএফ। ওই দিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙ্গামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ পালিত হবে।
অবরোধ পালনকালে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কেএনএফ বিরোধী অভিযান: রাঙামাটিতে অবরোধের ডাক ইউপিডিএফের
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক ও নৌ-পথে এই অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছে প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি।
রাঙামাটি প্রতিনিধি
Published : 23 Apr 2024, 05:26 PM
Updated : 23 Apr 2024, 05:26 PM
বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌ-পথে আধাবেলা অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আধাবেলা এই অবরোধ চলবে বলে সংগঠনটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের মুখপাত্র নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেপ্তার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে অবরোধ ডাকা হয়েছে।”

অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি অবরোধ সফল করতে বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সব যান ও পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না।”

অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, নিরীহদের হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফ।
২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।
রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে।

দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর এই অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী।
যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।
এর মধ্যে সোমবার রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের এক ‘সদস্যের’ নিহতের খবর জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪Independent

রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার অর্ধ দিবস অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
রাঙামাটি জেলায় আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। বান্দরবান জেলায় যৌথ অভিযানে নিরীহ মানুষ হত্যা, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার দুপুরে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার বিভাগের সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ওই দিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ চলবে।
ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও এর সহযোগী গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতারা ও সংশ্লিষ্টদের অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী-শিশুসহ গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না। সভায় অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ওপর আরোপিত অন্যায় ও বেআইনি বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
অ্যামবুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

*খবরের লিঙ্ক এখানে
২৩.০৪.২০২৪
সমকাল

বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে অর্ধদিবস অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬:২৫ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬:৩০
বান্দরবানে কেএনএফ-বিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ গণগ্রেপ্তার, আটক, হয়রানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙামাটি জেলায় অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌ পথ অবরোধ ডেকেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
মঙ্গলবার ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌ পথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও তার সহযোগী গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক সচল চাকমা। সভায় বান্দরবানে চলমান কেএনএফ বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না। 

সভায় অবিলম্বে গ্রেফতারদের মুক্তি, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত অন্যায় ও বেআইনি বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ২৫ এপ্রিল ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাঙামাটি জেলায় অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলবে। অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৯.০২.২০২৪কালবেলা
বিপুল চাকমাসহ ৪ নেতা হত্যার বিচার দাবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ
ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পাহাড়ি ছাত্র ও যুবনেতা বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক ৫ সংগঠন।
সংগঠনগুলো হলো- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এলাকায় গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দিলে একপর্যায়ে একাডেমির সামনেই জিকো ত্রিপুরার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এ সময় ‘পাহাড়-সমতলে যৌন-সন্ত্রাসীদের রুখতে এক হও’, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে নব্যপাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তি সোচ্চার হও’, ‘বাঙালি জাতীয়তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা মানি না’ ও ‘পাহাড়-প্রকৃতি বাঁচাও, সীমান্ত সড়ক, পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করো’, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বন্ধ করো’ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড-ব্যানার প্রদর্শন করে স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ববর্তী সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কনিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা।
অংকন চাকমা বলেন, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী রাখা হয়েছে। কিন্তু বিপুল চাকমাদের হত্যার ২ মাস পরেও খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো প্রশাসন খুনিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন, গুম করা হচ্ছে। পাহাড় ও সমতলে একদেশে চলছে দুই শাসন। এই ভাষার মাসে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশে বসবাসরত ৪৫টি অধিক জাতিসত্ত্বার নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক পর্যন্ত পড়ারও সুযোগ নেই। অপর জাতিসত্ত্বাদের এভাবে দমিয়ে রেখে কোনো জাতি মুক্ত হতে পারে না।
ছাত্র-যুবসমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে জিকো ত্রিপুরা বলেন, বিপুলসহ ৪ নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্র-যুবসমাজের লাগাতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। ছাত্র-যুবকদের এসব দালালদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে এবং তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে।
সংহতি বক্তব্যে ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের কোনো একটা অঞ্চলে সামরিক শাসন জারি রেখে আমরা স্বাধীন হতে পারি না। সামরিক বাহিনীর মদদপুষ্টরা চাইলেই একজন ছাত্রনেতার জীবন কেড়ে নিতে পারে। বিপুল চাকমাদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে নিতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বিপুল চাকমাসহ চার নেতা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য রতন চাকমা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৯.০২.২০২৪NEWAGE

4 UPDF ACTIVISTS MURDER
Police foil march towards home ministry
Staff Correspondent | Published: 17:15, Feb 19,2024 | Updated: 23:36, Feb 19,2024
The police stop a march towards the home ministry, organised by CHT-based four organisations, demanding justice for four UPDF activists killed in December, in front of Bangladesh Shishu Academy in the capital on Monday. — New Age photo
The police on Monday stopped a protest procession towards the home ministry in the capital demanding justice for the four activists of the United People’s Democratic Front killed in December.
The protest — organised by Parbatya Chattogram Nari Sangha, Greater Chittagong Hill Tract Student Council, Hill Women’s Federation, Ganatantrik Juba Forum, and United Workers Democratic Front — demanded arrest of the people involved in the murders.
However, the police stopped the procession in front of Bangladesh Shishu Academy, citing restrictions on such a movement in the areas like Bangladesh Secretariat.
Shahbagh Police Station patrol inspector Md Bulbul said that movements in restricted areas required permission, and the protesters had not obtained any such permission for the march.
The Greater Chittagong Hill Tract Student Council general secretary Amal Tripura who conducted the event, said that the incident once again demonstrated the weak democratic system prevailing in the country.
‘Since the Constitution grants us the right to freedom of speech and assembly, we do not think that we require permission to go anywhere in the country to press our demand,’ he added.
Around a hundred people belonging to ethnic groups living in the Chittagong Hill Tracts — constituted by the hill districts of Rangamati, Bandarban, and Khagrachari – joined the rally demanding justice for the murdered.
Alleging that some members of the security forces are trying to protect the perpetrators, PCP central committee president Aogkan Chakma said the killers have not been arrested even two months have passed since the murder.
UPDF-backed Democratic Youth Forum central organising secretary Bipul Chakma, DYF Khagrachari district unit vice-president Liton Chakma, UPDF student wing Pahari Chhatra Parishad central vice-president Sunil Tripura, and UPDF organiser Ruhin Bikash Tripura were shot dead by unidentified assailants in ward 9 of Panchari upazila on December 11. 2023.
The attackers also abducted three UPDF activists at the time, who were later rescued.
The following day, a murder case against 15-20 unnamed individuals was filed.
However, the plaintiff of the case, Nirupam Chakma, uncle of one of the deceased, allegedly was unaware of the case, as the Panchari police took his signature on a blank sheet of paper on the night of December 12.
On January 28, Ganatantrik Juba Forum member Junet Chakma filed a murder case with the Khagrachari Chief Judicial Magistrate GM Farhan Ishtiak, accusing 18 named people.
The court directed the Police Bureau of Investigation to conduct the investigation.

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭.০২.২০২৪বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

ফের পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক ইউপিডিএফের
আগের কর্মসূচি এক মাস মেয়াদের থাকলেও এবারের কর্মসূচি কতদিন চলবে তা উল্লেখ করেনি ইউপিডিএফ।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2024, 06:56 PM
Updated : 17 Feb 2024, 06:56 PM
চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে ১৫ দিন স্থগিত রাখার পর আবারও খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ।
শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা।
এতে বলা হয়, “ইউপিডিএফ নেতাদের খুনিদের গ্রেপ্তার ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় পানছড়ি বাজার বয়কট করা হচ্ছে।
“মঙ্গলবার থেকে বাজার বয়কট কার্যকর হবে”, বলা হয় বিবৃতিতে।
আগের কর্মসূচি এক মাস মেয়াদের থাকলেও এবারের কর্মসূচি কতদিন চলবে তা উল্লেখ করেনি ইউপিডিএফ।
গত ১১ ডিসেম্বর গভীর রাতে পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের দুর্গম অনিল পাড়ায় গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা নিহত হন।
এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও তারা তা অস্বীকার করে আসছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার পর হরতাল, সড়ক অবরোধের পাশাপাশি ১২ ডিসেম্বর থেকে এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বর্জনের ঘোষণা দেয় ইউপিডিএফ।
১২ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বাজার বয়কট আরও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। তবে এর মধ্যে ২৯ জানুয়ারি ইউপিডিএফ জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
এখন আবার বাজার বয়কট কর্মসূচির ডাক দিল ইউপিডিএফ।
এভাবে বারবার বর্জন কর্মসূচির কারণে ভয়ে ক্রেতা না আসায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে চরম বিপাকে পড়ার কথা বলেছেন পানছড়ির ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পানছড়ি বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক দোকানের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
বর্জন কর্মসূচির মধ্যে পাহাড়ের নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দারা তো বটেই; বাঙালিরাও খুব একটা বাজারে আসেন না বলে জানিয়ে একজন ব্যবসায়ী বলছিলেন, “এখানে ইউপিডিএফের ব্যাপক প্রভাব। তাই ভয়ে কেউ বাজারে আসেন না।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগেও তারা এমন সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২০ মে থেকে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১১ মাস পানছড়ি বাজার দুই আঞ্চলিক সংগঠনের দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ ছিল।
সেসময় ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকদের বাজারে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক সংগঠনের বিরুদ্ধে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০২.২০২৪RTV News

সাজেকে ইউপিডিএফের অবরোধ পালিত
বাঘাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৩
সাজেকে ইউপিডিএফের দুসদস্যকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে আধা বেলা (সকাল থেকে দুপুর ১২টা) পর্যন্ত সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের সাজেক পর্যটন সড়কে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল থেকে সংগঠনটির সদস্যরা সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ও বাঘাইহাট সড়কের বিভিন্ন জায়গায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করে।
এর আগে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির প্রকাশ ও প্রচার বিভাগের প্রধান নিরণ চাকমা জানান, ঘোষিত কর্মসূচি সকাল-সন্ধ্যার পরিবর্তে আধাবেলা (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার সাজেকের মাচালং আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
৪ জানুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজপাড়ায় ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের দুসদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জেএসএস সন্তু লারমা দলের লোকদের দায়ী করে ইউপিডিএফ। হত্যার দুদিন পর অজ্ঞাতদের আসামি করে সাজেক থানায় মামলা করেছেন দীপায়নের স্ত্রী এশিয়া চাকমা।
সাজেক থানার সার্কেল এএসপি ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সাজেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং নিরাপদে পর্যটকরা যাতায়াত করছে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.০২.২০২৪সাম্প্রতিক দেশকাল

সাজেকে জোড়া খুন: বুধবার সড়ক অবরোধের ডাক
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালংয়ে দুই কর্মীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার (৭ জানুয়ারি) সাজেক ভ্যালি পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বাঘাইছড়ি ইউনিট এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে।
এর আগে, গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিহত আশীষ ও দীপায়ন চাকমার মরদেহের কফিন সহকারে মৈত্রী পাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
সমাবেশ শুরুর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউপিডিএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পিসিপি, নারী সংঘ, নিহতের পরিবারবর্গ ও এলাকাবাসী নিহতদের মরদেহের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নিহতদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা।
ইউপিডিএফ নেতা অডিট চাকমা বলেন, আশিষ ও দীপায়ন চাকমা জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের স্বার্থে লড়াই-সংগ্রাম করে যে শহীদ হয়েছেন; জাতি তাদের কখনো ভুলতে পারবে না। জুম্ম জাতির কাছে তারা চির অমর হয়ে থাকবেন।
সমাবেশ থেকে ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আগামীকাল বুধবার সাজেকের পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। এ ঘটনার পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে সাজেক থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
মাচালংয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করলেও জেএসএস এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে দুইটি পৃথক ঘটনায় ইউপিডিএফের ছয় নেতাকর্মী ও রাঙ্গামাটিতে ৪ ফেব্রুয়ারির জোড়া খুনসহ দুই মাসের মধ্যে ইউপিডিএফের ৮ নেতাকর্মী খুন হলেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.০২.২০২৪Dhaka Mail

সাজেকে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক
জেলা প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালংয়ে দুই কর্মীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার (৭ জানুয়ারি) সাজেক ভ্যালি পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বাঘাইছড়ি ইউনিট এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে।
এর আগে, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিহত আশীষ ও দীপায়ন চাকমার মরদেহের কফিন সহকারে মৈত্রী পাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
সমাবেশ শুরুর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউপিডিএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পিসিপি, নারী সংঘ, নিহতের পরিবারবর্গ ও এলাকাবাসী নিহতদের মরদেহের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নিহতদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা, গণতান্ত্রক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা।
ইউপিডিএফ নেতা অডিট চাকমা বলেন, ‘আশিষ ও দীপায়ন চাকমা জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের স্বার্থে লড়াই-সংগ্রাম করে যে শহীদ হয়েছেন; জাতি তাদের কখনো ভুলতে পারবে না। জুম্ম জাতির কাছে তারা চির অমর হয়ে থাকবেন।’ সমাবেশ থেকে ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আগামীকাল বুধবার সাজেকের পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। এ ঘটনার পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে সাজেক থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
মাচালংয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করলেও জেএসএস এই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে দুইটি পৃথক ঘটনায় ইউপিডিএফের ছয় নেতাকর্মী ও রাঙামাটিতে ৪ ফেব্রুয়ারির জোড়া খুনসহ দুই মাসের মধ্যে ইউপিডিএফের ৮ নেতাকর্মী খুন হলেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.০২.২০২৪প্রতিদিনের বাংলাদেশ

দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা, বুধবার সকাল-সন্ধ্যা সাজেক সড়ক অবরোধের ডাক
রাঙামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১ ঘণ্টা আগে
আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার সাজেকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই সদস্যকে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ। 
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে ইউপিডিএফের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সাজেক থানা এলাকা প্রদক্ষিণ করে মাচলং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
প্রতিবাদ সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্যকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানায়। বুধবার সাজেকের পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে কফিনসহ একটি মিছিল মৈত্রীপাড়া থেকে মাচলং ও সাজেক থানা প্রদক্ষিণ করে। পরে মাচলং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এতে বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। পরে সমাবেশ শেষে আশীষ ও দীপায়ন চাকমার মরদেহ তাদের নিজ গ্রামে নিয়ে দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। 
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার সময়ে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজ পাড়া গ্রামে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। 

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.০২.২০২৪দৈনিক আজাদী

সাজেকে জোড়া খুন : কাল সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক

রাঙামাটি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৫:২০ অপরাহ্ণ

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালংয়ে দুই কর্মীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার (৭ জানুয়ারি) সাজেক ভ্যালি পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বাঘাইছড়ি ইউনিট এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে।

এর আগে, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিহত আশীষ ও দীপায়ন চাকমার মরদেহের কফিন সহকারে মৈত্রী পাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শুরুর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউপিডিএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পিসিপি, নারী সংঘ, নিহতের পরিবারবর্গ ও এলাকাবাসী নিহতদের মরদেহের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে নিহতদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা, গণতান্ত্রক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা।
ইউপিডিএফ নেতা অডিট চাকমা বলেন, “আশিষ ও দীপায়ন চাকমা জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের স্বার্থে লড়াই-সংগ্রাম করে যে শহীদ হয়েছেন; জাতি তাদের কখনো ভুলতে পারবে না। জুম্ম জাতির কাছে তারা চির অমর হয়ে থাকবেন।”
সমাবেশ থেকে ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আগামীকাল বুধবার সাজেকের পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। এ ঘটনার পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে সাজেক থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
মাচালংয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করলেও জেএসএস এই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে দুইটি পৃথক ঘটনায় ইউপিডিএফের ছয় নেতাকর্মী ও রাঙামাটিতে ৪ ফেব্রুয়ারির জোড়া খুনসহ দুই মাসের মধ্যে ইউপিডিএফের ৮ নেতাকর্মী খুন হলেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.০২.২০২৪প্রথম বুলেটিন

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ছাত্র ধর্মঘট পালিত
প্রকাশ করা : ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিপুল চাকমাসহ ইউপিডিএফ-ভুক্ত চার ছাত্র ও যুব নেতার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় স্কুল-কলেজে ছাত্র ধর্মঘট সফলভাবে পালিত হয়েছে।
আজ রবিবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের আহ্বানে এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়।
ধর্মঘটের সমর্থনে শিক্ষার্থীরা ক্লাশে যোগদান করেনি। ফলে পানছড়ি সরকারি কলেজসহ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম কার্যত বন্ধ ছিল।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সুনীল ময় চাকমা জানান, সাবেক ছাত্রনেতা বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে পাঁচ গণসংগঠনের ডাকে পানছড়ি উপজেলা স্কুল-কলেজ ছাত্র ধর্মঘট সফলভাবে পালিত হয়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনে পানছড়ি উপজেলায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যায়নি, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
তিনি আরো বলেন, পানছড়িতে ৪ নেতাকে হত্যার ঘটনায় ছাত্র সমাজ যে বিক্ষুব্ধ হয়েছে, আজকের ছাত্র ধর্মঘট সফল হওয়ার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে। পানছড়ির ছাত্র সমাজ ক্লাশে যোগ না দিয়ে শাসকগোষ্ঠী ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ন্যায়ের পক্ষ অবলম্বন করেছে।
তিনি ছাত্র ধর্মঘটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় পানছড়ি ছাত্র সমাজের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং অবিলম্বে বিপুল চাকমাসহ ৪ নেতা হত্যার ঘটনায় জড়িত খুনী “নব্য মুখোশ” সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।
এদিকে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শেষে দুপুর ২টায় পানছড়ির মুনিপুর ও লতিবান এলাকায় মিছিল করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) পানছড়ি উপজেলা শাখা।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সদস্যরা পানছড়ির অনিলপাড়ায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.০২.২০২৪বাংলা ট্রিবিউন

সাজেকে ২ ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটি প্রতিনিধি
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩
রাঙামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ।
নিহতরা হলেন বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারি ইউনিয়নের মোরঘোনা গ্রামের আশীষ চাকমা আশুক্যা (৪৫) ও সাজেক ইউনিয়নের উত্তর এগুজ্জ্যাছড়ি গ্রামের দীপায়ন চাকমা (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত দুজন রবিবার দুপুরে সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়া এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, ‘বাঘাইছড়ির মাচালং এলাকায় গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপিডিএফের রাঙামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমা এ ঘটনায় জেএসএস-কে দায়ী করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে ইউপিডিএফের চলমান আন্দোলন বানচাল করে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জেএসএস আবারও খুনের নেশায় মেতে উঠেছে।’
বিবৃতিতে সচল চাকমা অবিলম্বে মাচালংয়ে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
তবে এ বিষয়ে জেএসএসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৪.০২.২০২৪সকাল সন্ধ্যা

পাহাড়ে ফের খুন
 আঞ্চলিক প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৫:২৯ আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৬:০২
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালং বাজার ব্রিজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে একই দলের আরও ৬ জন নিহত হন।
রবিবার ইউপিডিএফের দুজন নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, “ইউপিডিএফ প্রসিত দলের দুজন গুলিতে মারা গেছেন। আমি ঘটনাস্থলে আছি।”
দুপুরে ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, “মাচালংয়ে আমাদের পার্টির দুইজন সদস্য মারা গেছেন। নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি। আমরা বিবৃতিতে ঘটনা তুলে ধরব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুপুরে রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, “বাঘাইছড়ির মাচালং এলাকায় নিহতের খবর শুনেছি। কেউ বলছে একজন, কেউ বলছে দুজন। তবে আমরা এখনও এটি নিশ্চিত হতে পারিনি।”
তবে বিকেল ৫টার দিকে এ বিষয়ে আবারও জানতে চাইলে পুলিশ সুপার তৌহিদ বলেন, “লাশ দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
“এ ঘটনায় মামলা হবে। ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে।”
রাঙামাটিতে দুই সদস্য গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিকেলে বিবৃতি দেয় ইউপিডিএফ।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, যে দুজন নিহত হয়েছেন তারা হলেন- ইউপিডিএফ সদস্য দীপায়ন চাকমা (৩৮) ও আশুক্য চাকমা ওরফে আশীষ (৪৫)। নিহত দীপায়ন চাকমা ৩৬ নম্বর সাজেক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এগুজ্জেছড়ি গ্রামের মৃত অনিল বরণ চাকমার ছেলে। আশুক্য চাকমা ৩৪ নম্বর রূপকারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোরঘোনা গ্রামের মৃত শান্তি কুমার চাকমার ছেলে।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ রাঙ্গঙমাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমা দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (পিসিজেএসএস) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমা বলেন, “আজ (রবিবার) দুপুর ১২টায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় একটি দোকানে এসে অতর্কিতভাবে ইউপিডিএফের দুই সদস্যের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়।”  
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) বাঘাইছড়ি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা বলেন, “সাজেকে জেএসএসের সাংগঠনিক কোনও কার্যক্রম নেই। ইউপিডিএফের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
দুই মাসে ৮ খুন
রবিবারের ঘটনা নিয়ে গত দুই মাসে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের ৮ জন গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফের চার নেতা নিহত হয়।
এরপর গত ২৪ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় আরও দুজন গুলিতে নিহত হন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
৩০.০১.২০২৪RTV news

পানছড়ি বাজার বয়কট সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩০
স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে পানছড়ি বাজার বয়কট সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ।
গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিট খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বাজার বয়কট কর্মসূচি ঘোষণা করে। আর সে থেকেই লোকসানের মুখে পড়েছিলো বাজারের ব্যবসায়ীরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন ভোক্তারাও। তবে এবার প্রশাসনের অনুরোধে বাজার বয়কট সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ।
স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে উক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা। সোমবার প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
উক্ত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে বা দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে বাজার বয়কট পুনরায় চলবে বলেও জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সংগঠনটি।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৯.০১.২০২৪bbarta24.net

পানছড়ি বাজার বয়কট স্থগিত ইউপিডিএফের
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৮
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) পানছড়ি ইউনিট চলমান পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে উক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ এর নিরন চাকমার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১ ফেব্রæয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে বা দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে বাজার বয়কট পুনরায় চলবে বলে তিনি জানান।
ইউপিডিএফ নেতা ক্ষোভের সাথে বলেন, বিপুল চাকমাসহ চার যুব নেতার খুনীদের গ্রেফতার না করার কারণে গত ২৪ জানুয়ারি মহালছড়িতে তারা আরও দুই ইউপিডিএফ কমীর্কে হত্যা করেছে। এ হত্যার দায় স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনকে নিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার ও বিচার এবং পতিপক্ষ বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ির অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফ-ভুক্ত গণসংগঠনের নেতা বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যার পর ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিট খুনীদের গ্রেফতার ও পতিপক্ষ বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে উক্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি ঘোষণা করে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৯.০১.২০২৪দৈনিক আজাদী

পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত করেছে ইউপিডিএফ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | সোমবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৬:১৭ অপরাহ্ণ
সংগঠনের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে পানছড়ি বাজার বয়কট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ইউপিডিএফ।
আজ সোমবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সাধারণ পাহাড়ি বাঙালি জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে; উক্ত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে বা দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে বাজার বয়কট পুনরায় চলবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ির অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফ ৪ নেতা বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যার পর ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিট খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি ঘোষণা করে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৯.০১.২০২৪প্রতিদিনের সংবাদ

পানছড়ি বাজার বয়কট স্থগিত ইউপিডিএফের
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার বাজার বয়কট কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ও পাহাড়ের জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
ইউপিডিএফ নেতা অপু ত্রিপুরা বিবৃতিতে জানান, সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে বা দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে বাজার বয়কট পুনরায় চলবে বলে জানান তিনি।
ইউপিডিএফ নেতা অপু ত্রিপুরা আরো বলেন, বিপুল চাকমাসহ চার যুব নেতার খুনীদের গ্রেপ্তার না করার কারণে গত ২৪ জানুয়ারি মহালছড়িতে তারা আরো দুই ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যা করেছে। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেপ্তার ও বিচার এবং ‘ঠ্যাঙাড়ে’ বাহিনী ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এর আগে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর জেলার পানছড়ির অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফ এর গণসংগঠনের নেতা বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যার পর ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিট খুনীদের গ্রেপ্তার ও ‘ঠ্যাঙাড়ে’ বাহিনী ভেঙে দেওয়ার দাবিতে ওই বাজার বয়কট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পিডিএস/আরডি

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৯.০১.২০২৪বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পানছড়ি বাজার বয়কট সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
খাগড়াছড়ি: স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে চলমান খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার বর্জন স্থগিত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসীত)
আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজার বর্জন স্থগিত থাকবে। এসময় বাজারে বেচাকেনা স্বাভাবিক থাকবে।
সোমবার(২৯ জানুয়ারি) সকালে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফের পানছড়ি সংগঠক অপু ত্রিপুরার বরাত দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সাধারণ পাহাড়ি—বাঙালি জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বাজার বর্জনের স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে; উক্ত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে বা দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে বাজার বয়কট কর্মসূচি পুনরায় চলবে বলে তিনি জানান।
গত ১১ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ির অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফের ভ্রাত্রিপ্রতিম সংগঠনের চারজন প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন। এরপর থেকে পানছড়ি বাজার বর্জন কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
সবশেষ গত ২৪ জানুয়ারি মহালছড়িতে সংগঠনটির আরো দুইজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
 বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৯.০১.২০২৪বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

পানছড়ি বাজার বর্জন স্থগিত করেছে ইউপিডিএফ
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কর্মসূচি আবার শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2024, 04:21 PM
Updated : 29 Jan 2024, 04:21 PM
দলের চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার বর্জন কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা এ কথা জানান। 
ত্রিপুরা বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সাধারণ পাহাড়ি বাঙালি জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বাজার বর্জন কর্মসূচি আবার শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তিনি। 
গত ১১ ডিসেম্বর গভীর রাতে পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের দুর্গম অনিল পাড়ায় গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা নিহত হন। 
এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ’কে দায়ী করা হলেও তারা তা অস্বীকার করে আসছে। ঘটনার পর হরতাল, সড়ক অবরোধের পাশাপাশি ১২ ডিসেম্বর থেকে এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ইউপিডিএফ। 

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৪.০১.২০২৪Channel24

ইউপিডিএফের বর্জন কর্মসূচির কারণে স্থবির খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার

ভিডিও
২২.০১.২০২৪NEWSAGE

UPDF stages demo demanding justice for killings
55 UPDF leaders, activists killed in six years
Staff Correspondent | Published: 00:01, Jan 22,2024
The United People’s Democratic Front, a regional political party based in the Chittagong Hill Tracts, on Sunday staged a demonstration in Rangamati demanding justice over the killings of their leaders and activists, especially those four who were killed in Khagrachari on December 11, 2023.
In a statement issued by the UPDF, the activists said that they brought out their procession amid restrictions from the army.
Leaders and activists from Greater Chittagong Hill Tracts Student Council, Hill Women’s Federation, Ganatantrik Juba Forum, among others, joined the procession.
Four activists of the UPDF – UPDF-backed Democratic Youth Forum central organising secretary Bipul Chakma, DYF Khagrachari district unit vice-president Liton Chakma, UPDF student wing Pahari Chhatra Parishad central vice-president Sunil Tripura, and UPDF organiser Ruhin Bikash Tripura, were shot dead by unidentified assailants in ward 9 of Panchari upazila on December 11.
The attackers also abducted three UPDF activists at the time, who were later rescued. 
The statement read that 55 UPDF leaders, activists and supporters were killed in six years.

** খবরের লিঙ্ক এখানে
২১.০১.২০২৪পাহাড়24

কুতুকছড়িতে ইউপিডিএফের সমাবেশ
January 21, 2024রাঙামাটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের বিপুল চাকমাসহ চার নেতার খুনীদেন অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাঙামাটিতে। রবিবার সকালে জেলার কুতুকছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি কতুকছড়ি বাজার থেকে বের করা হয়। পরে খামার পাড়া এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা শাখার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তৈনুমং মারমা, নারী সংঘের প্রতিনিধি পিংকি চাকমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি রিমি চাকমা, ইউপিডিএফ সংগঠক বিবেক চাকমা।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় লোগাং ইউনিয়নে সাংগঠনিক কাজে অবস্থানরত বিপুল চাকমাসহ চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের একমাস পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি প্রশাসন।
বক্তারা আরও বলেন, এই চার নেতা হত্যাকান্ডের ঘটনায় জেএসএস চুপ থাকায় আমরা তাদের এই ঘটনায় নিন্দা জানাই। একই সাথে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে পাহাড়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২১.০১.২০২৪প্রতিদিনের বাংলাদেশ

ইউপিডিএফের চার নেতা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

রাঙামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩ ঘণ্টা আগে
আপডেট : ২ ঘণ্টা আগে

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত চার সংগঠন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়িতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, রাঙামাটি জেলা শাখার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তৈনুমং মারমা, নারী সংঘের প্রতিনিধি পিংকি চাকমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি রিমি চাকমা, ইউপিডিএফ সংগঠক বিবেক চাকমা প্রমুখ।
পানছড়িতে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া গুম-খুনের যদি বিচার হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনদের হত্যার ৪১ দিন পার হয়ে গেলেও তাদের প্রশাসন এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। 
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ির ফতেহপুরে ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় নিখোঁজ হন ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, প্রকাশ ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমা। তাদেরকে গত ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পানছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সমাবেশ থেকে এ উদ্ধার ঘটনাকে ‘নাটক’ বলছে ইউপিডিএফের নেতারা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২১.০১.২০২৪সাম্প্রতিক দেশকাল

ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
জেলার খবর
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে চার ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যার বিচার ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফসহ চার সংগঠন।
আজ রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়িতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউপিডিএফ জেলা ইউনিটর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এসময় কুতুকছড়ি বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে কুতুকছড়ি মধ্যমপাড়া ধর্মঘর মাঠ প্রাঙ্গণে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তৈনুমং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের প্রতিনিধি পিংকি চাকমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি রিমি চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক বিবেক চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া গুম-খুনের যদি  বিচার হতো তাহলে  এমন ঘটনা ঘটতো না। বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনদের হত্যার ৪১ দিন পার হয়ে গেলেও খুনিদের পুলিশ-প্রশাসন এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিল পাড়ায় গুলি করে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠনের চার যুব নেতাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে খুনের বিচার দাবি ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে টানা আন্দোলন করছে ইউপিডিএফ।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২১.০১.২০২৪যুগান্তর

ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন
খাগড়াছড়িতে ৬ বছরে ৫৫ হত্যা করেছে ‘ঠ্যাঙাড়ে গ্রুপ’
 যুগান্তর প্রতিবেদন  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে ৬ বছরে ৫৫ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে ‘ঠ্যাঙাড়ে গ্রুপ’ নামের বাহিনী। তাদের সর্বশেষ শিকার পানছড়ির ইউপিডিএফ নেতা বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিন। এসব হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছে পাঁচ সংগঠন। একই সঙ্গে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী বন্ধের দাবি করেছে তারা। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহসাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, ডিওয়াইএফ সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান, পিসিপির সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, এইচডব্লিউএফ-এর সভানেত্রী নীতি চাকমা প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অঙ্কন চাকমা বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে এ ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গঠন করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ওই বাহিনীর সদস্যরা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের পাশে অথবা উপজেলা সদরে আস্তানা গেড়ে খুন, গুম, ধর্ষণ, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, যদি অবিলম্বে ঠ্যাঙাড়ে গ্রুপগুলো ভেঙে দেওয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নিরীহ ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে প্রাণ হারাতে হবে।
তাদের অব্যাহত দৌরাত্ম্যে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এ সময় ৬ দাবি জানিয়ে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২০.০১.২০২৪কালের কণ্ঠ

মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
বিপুল চাকমাসহ চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:৫২শেয়ার
খাগড়াছড়ির বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (নব্যমুখোশ) ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ে মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরার পাশাপাশি আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন পিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অংকন চাকমা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২১-৩১ জানুয়ারি চার নেতার হত্যার প্রতিবাদে পানছড়িসহ খাগড়াছড়ি স্কুল ও কলেজসমূহে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান, ৪ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলা পানছড়ি উপজেলায় স্কুল কলেজে ছাত্র ধর্মঘট, ১১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী স্কুল কলেজে ছাত্র ধর্মঘট এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিপুল চাকমাসহ চার নেতার পাশাপাশি মিঠুন চাকমা হত্যা ও স্বনির্ভর হত্যাকান্ডসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর মদদ দাতাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার তথা তাদের ওপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান ও সহ-সভাপতি রিনিসা চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নীতি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদিকা রিতা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে অবস্থানকালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, প্রকাশ ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমাকে অপহরণ করা হয়। 
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার একমাস পরও প্রশাসন কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অথচ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে পানছড়ি বাজার এলাকায় অবস্থান করে খুন, হত্যা ও চাঁদাবাজি করে আসছে।
যা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অজানা নয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দাবি আদায়ে ইতিমধ্যে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আগামীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরও খুনীরা গ্রেপ্তার না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৮.০১.২০২৪Dhaka Mail

পানছড়িতে বিপুলসহ ৪ নেতা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ 
জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়িপ্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম

পানছড়িতে বিপুলসহ ৪ নেতা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ 
খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলাতে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিন চারজনকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আন্দোলনকারী পাঁচ সংগঠন। 
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও পানছড়ি গণ অধিকার রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
পুজগাঙের মুনিপুর এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোগাঙ বাজারের পাশে লোগাঙ ইউপি কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। 
এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। 
এতে ইউপিডিএফ সদস্য রাসেল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক নিরব ত্রিপুরা ও শংকর চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বরুন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা, পানছড়ি গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য মানেক পুদি চাকমা ও পিসিপির পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সুনীল ময় চাকমা। 
যুব নেতা বরুন চাকমা বলেন, আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম ভালো নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জুম্মোদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্য শাসকগোষ্ঠি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ডিসেম্বর বিপুলসহ চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঠ্যাঙাড়ে (নব্যমুখোশ) বাহিনী ভেঙে দেয়া দেওয়ার দাবী জানান।
পানছড়ি গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য মানেক পুদি চাকমা বলেন, আমরা পাহাড়ে শান্তি চাই, শান্তিতে বসবাস করতে চাই। গত ১১ ডিসেম্বর যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সেটা খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। আমরা আর এ ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না। 
তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারে-প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। 
বক্তারা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের এক মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন এখনো খুনিদের গ্রেফতার না করে উপরন্তু তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। 
প্রতিনিধি/ এজে

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৮.০১. ২০২৪বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ইউপিডিএফের চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

ইউপিডিএফের চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ-প্রসীত সমর্থিত পাঁচ সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও পানছড়ি গণঅধিকার রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচিত অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে পানছড়ির পুজগাং মুনিপুর এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোগাং বাজার সংলগ্ন ইউপি কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা, পানছড়ি গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য মানেক পুদি চাকমা ও পিসিপির পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সুনীল ময় চাকমা।
বক্তারা বলেন, জুম্মদের ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ডিসেম্বর বিপুলসহ চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদ ও সহযোগিতা রয়েছে।
প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে ইঙ্গিত করে তাদের নব্য মুখোশ বাহিনী দাবি করে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ নেতারা।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলার অনিলপাড়ায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘন্টা, জানুয়ারী ১৮, ২০২৪
এডি/এমজেএফ

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৮.০১.২০২৪পাহাড়২৪

ইউপিডিএফের চার নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
January 18, 2024খাগড়াছড়ি 1 Min Read

নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা 
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফ’র চার নেতাকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে দীঘিনালায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ, প্রসীত), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন দীঘিনালা শাখা।
এর আগে বাঘাইছড়ি মুখ বৌদ্ধ বিহার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে বাঘাইছড়ি ব্রিজ পাড় হয়ে বাবুছড়া কলেজ সংলগ্ন রাস্তায় এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম চাকমা সঞ্চালনায় ইউপিডিএফের দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক লালন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জ্ঞান প্রসাদ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য রিতা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক সমর চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে গত ১১ ডিসেম্বর পানছড়ির অনিলপাড়া নামক স্থানে পাহাড়ের তরুণ রাজনৈতিক নেতা বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিনকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক মাস পার হলেও খুনীদের এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৮.০১.২০২৪সাম্প্রতিক দেশকাল

ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যা: একমাসেও গ্রেপ্তার হয়নি খুনিরা

জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিজড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
জেলার খবর
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের চার নেতা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রাঙ্গামাটির দুই উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি।
 গুগল নিউজে (Google News) সাম্প্রতিক দেশকালের খবর পেতে ফলো করুন
গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জেলার বাঘাইছড়ি ও নানানিয়ারচর উপজেলায় পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা করা হয় ৪ লাখ টাকায়
জেলার বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য নারী সংঘের উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বালুঘাট হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সাজেকের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেতকাবা চৌমুহনীতে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। মিছিলে তারা বিপুলসহ চার নেতার খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক ইয়ান চাকমার সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখা সভাপতি নিউটন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি বিরো চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য অর্পনা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি কিরন চাকমা।
এদিকে জেলার নানিয়ারচরে একই দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখাসমূহের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি প্রিয়তন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপন আলো চাকমা ও উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি বিকাশন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এত বড় একটি হত্যাকাণ্ডের পরও প্রশাসন যেখানে নির্লিপ্ত থাকে সেখানে সাধারণ জনগণ কীভাবে নিরাপদে থাকবে? খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা এখন দিব্যি প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, জনপ্রতিনিধিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
সমাবেশ থেকে তারা অবিলম্বে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনিদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ভেঙে দেয়ার জোর দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ইউপিডিএফ।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭.০১.২০২৪চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যার বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ
রাঙামাটি প্রতিনিধি ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ৭:৩৭ অপরাহ্ন

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের চার নেতা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রাঙামাটির দুই উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও নানানিয়ারচর উপজেলায় পৃথক পৃথক এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য নারী সংঘের উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ‘ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী’ (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল ১০টায় বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের বালুঘাট হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সাজেকের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেতকাবা চৌমুহনীতে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে তারা বিপুলসহ চার নেতার খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক ইয়ান চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখা সভাপতি নিউটন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি বিরো চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য অর্পণা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি কিরণ চাকমা।
এদিকে জেলার নানিয়ারচরে একই দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখাসমূহের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি প্রিয়তন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপন আলো চাকমা ও উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি বিকাশন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এত বড় একটি হত্যাকাণ্ডের পরও প্রশাসন যেখানে নির্লিপ্ত থাকে, সেখানে সাধারণ জনগণ কীভাবে নিরাপদে থাকবে? গ্রেপ্তার না হওয়ায় খুনিরা এখন দিব্যি প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, জনপ্রতিনিধিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনিদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (নব্যমুখোশ) ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানান।
গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ইউপিডিএফ।
ডিজে

*খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭.০১.২০২৪সারাবাংলা

ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যা: এখনও অধরা খুনিরা, রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ
 January 17, 2024 | 6:03 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ নেতা হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে রাঙ্গামাটির দুই উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জেলার বাঘাইছড়ি ও নানানিয়ারচর উপজেলায় পৃথক পৃথক এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য নারী সংঘের উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ‘ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী’ (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বালুঘাট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সাজেকের প্রধান সড়ক ঘুরে রেতকাবা চৌমুহনীতে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। মিছিলে তারা বিপুলসহ ৪ নেতার খুনিদের গ্রেফতারের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক ইয়ান চাকমার সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখা সভাপতি নিউটন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি বিরো চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য অর্পনা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি কিরন চাকমা।
এদিকে, জেলার নানিয়ারচরে একই দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখাসমূহের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি প্রিয়তন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপন আলো চাকমা ও উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি বিকাশন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘এত বড় একটি হত্যাকাণ্ডের পরও প্রশাসন যেখানে নির্লিপ্ত থাকে সেখানে সাধারণ জনগণ কীভাবে নিরাপদে থাকবে? খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এখন দিব্যি প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, জনপ্রতিনিধিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
সমাবেশ থেকে তারা অবিলম্বে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনিদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ইউপিডিএফ।
সারাবাংলা/এমও

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭.০১.২০২৪NEWSAGE

FOUR UPDF ACTIVISTS MURDER
Memorandum seeking justice submitted to home minister


Staff Correspondent 
17 January, 2024, 00:12

A memorandum, demanding justice over the killings of four activists of the regional political party the United People’s Democratic Front in Khagrachari hill district, was submitted to home minister Asaduzzaman Khan through the local administration.

The families of the victims submitted the memorandum to Panchhari upazila nirbahi officer Anjan Das on Tuesday, said a press release issued by the UPDF.

In the memorandum, they demanded arrests and exemplary punishments of the people, who involved in the killings, and bringing those, who planned and help to execute the murders, into justice.
Expressing concern, the memorandum wrote that despite clear information about the killers, none of them had been arrested even after more than a month of the incident. 
It also said that the killers were contacting various people over phones, confessing to the murder and threatening to kill many more like the victims.
‘In this situation, we are very worried that if they [killers] are not immediately arrested and punished, they may commit more heinous crimes including murder,’ read the release.
On December 11, 2023, armed assailants killed UPDF-backed Democratic Youth Forum’s central organising secretary and Pahari Chhatra Parishad former president Bipul Chakma, 32, DYF’s Khagrachari district unit vice-president Liton Chakma, 29, UPDF’s student wing Pahari Chhatra Parishad central vice-president Sunil Tripura, 28, and UPDF organiser Ruhin Bikash Tripura, 49, in a remote village of Panchhari upazila.

* News Link
১৭.০১.২০২৪প্রথম আলো ই-পেপার

ইউপিডিএফের বাজার বয়কট কর্মসূচি আরও এক মাস
17/01/2024
প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
সংগঠনের চার নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে এক মাস ধরে খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি পালন করছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসীত)। বাজার বয়কট কর্মসূচি আরও এক মাসের জন্য বাড়িয়েছে সংগঠনটি। এতে বাজারের ব্যবসায়ী, স্থানীয় কৃষকসহ এলাকাবাসী বিপাকে পড়েছেন।
এ দিকে পানছড়ি বাজার বয়কটের কর্মসূচি শুরুর পর স্থানীয় কৃষক ও ব্যাপারীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের কলেজ গেট এলাকায় সবজি ও মাছ-মাংস বিক্রি করে আসছেন। কিন্তু গত রোববার থেকে ওই স্থানে বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ইউপিডিএফ–গণতান্ত্রিকের নেতা-কর্মীরা।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর রাতে পানছড়ি উপজেলার দুর্গম লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফের (প্রসীত) চার নেতা-কর্মী নিহত হন। এর প্রতিবাদে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দেয় সংগঠনটি। বয়কটের মেয়াদ পার হওয়ার আগে ১২ জানুয়ারি আবারও এক মাসের জন্য একই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ইউপিডিএফের (প্রসীত) অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, চারজনকে হত্যার ঘটনায় এক মাসেও কোনো অপরাধী গ্রেপ্তার হয়নি, বরং হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। তাই কর্মসূচির মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে।
কলেজ গেট এলাকায় বেচাকেনা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের সভাপতি শ্যামল চাকমাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গতকাল সোমবার পানছড়ি বাজারে দেখা গেছে, বাজারে দোকানপাট খোলা থাকলেও বেচাকেনা নেই বললেই চলে। সব দোকানে দোকানিরা অলস সময় পার করছেন। বাজারে পাহাড়ি বাসিন্দা দেখা গেছে মাত্র দু-একজন।
দোকানিরা বলেন, এক মাস ধরে পাহাড়িরা বাজারে আসছে না। বাঙালিরাও প্রয়োজন ছাড়া আসছে কম। বেচাকেনা কমে যাওয়ায় দোকানিদের অনেকে ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। বয়কট কর্মসূচির আগে পানছড়ি ছাড়াও মাটিরাঙ্গা ও খাগড়াছড়ি সদরের অনেক বাসিন্দা পানছড়ি বাজার থেকে কেনাকাটা করতেন।
পানছড়ির শান্তিপুর এলাকার কৃষক কিনাচান চাকমা বলেন, তিনি বাড়ির পাশে লাউ, বেগুন, মুলা, মরিচ লাগিয়েছেন। পানছড়ি বাজার বন্ধের পর কলেজ গেট এলাকায় এসব উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতেন। এখন দুটি স্থানেই বিক্রি বন্ধ। নিজের উৎপাদিত সবজির কোথায় বিক্রি করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি উত্তম দেব বলেন, বাজার বয়কটের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে ব্যবসায়ীদের কষ্ট আরও বাড়বে। অনেক ব্যবসায়ী ধারদেনা করে ব্যবসা করেন, তাঁরা তাঁদের ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম বলেন, চার খুনের আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পানছড়ি বাজারে এক মাস ধরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখার পাশাপাশি সম্প্রতি কলেজ গেট এলাকায়ও টহল টিম কাজ করছে।
পানছড়ির ইউএনও অঞ্জন দাশ বলেন, দুটি স্থানে বাজার বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দুটি পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বাজার বয়কট প্রত্যাহারের বিষয়ে তাঁরা চেষ্টা করছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২০ মে থেকে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১১ মাস পানছড়ি বাজার বয়কট করা হয়।
খাগড়াছড়ি

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭.০১.২০২৪প্রথম আলো ই-পেপার

ইউপিডিএফের চার নেতা খুনের বিচার চেয়ে স্মারকলিপি
17/01/2024
প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও এর সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন দাশের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, খুনিদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য থাকা সত্ত্বেও ঘটনার এক মাসের অধিক সময় পরও তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং খুনিরা খুন করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মুঠোফোনে ভয় দেখাচ্ছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া না হলে তাঁরা খুনসহ আরও জঘন্য অপরাধ ঘটাতে পারেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় নিহত সুনীল ত্রিপুরার বাবা সুখেন্দু ত্রিপুরা ও ছোট ভাই গণেশ ত্রিপুরা, রুহিন ত্রিপুরার স্ত্রী বাষ্পরাণী ত্রিপুরা এবং লিটন চাকমার মা বালা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে উপজেলার দুর্গম লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় চার ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে খুন করে দুর্বৃত্তরা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭.০১.২০২৪যুগান্তর ই-পেপার

খাগড়াছড়িতে চার ইউপিডিএফ সদস্য হত্যা
খুনিদের গ্রেফতার দাবি পরিবারের

*খবরের লিঙ্ক
১৬,০১.২০২৪বর্তমান কথা

বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনীদের গ্রেফতার ও ন্যায় বিচার পেতে ইউএন ও-র মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান

অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনীদের গ্রেফতার ও ন্যায় বিচার পেতে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহি অফিসারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা। ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ , মঙ্গলবার পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ এর মাধ্যমে তারা এই স্মারক লিপি পেশ করেন।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ পানছড়ির অনিল পাড়ায় একটি যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অতুল চাকমার বাড়িতে রাত্রি যাপনের সময় রাষ্ট্রীয় বিশেষ গোষ্ঠির মদদ পুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীদের হামলায় বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরা নিহত হন । আরও তিনজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের কয়েকদিন পর ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ।
উক্ত ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, খুনীদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য থাকা সত্বেও ঘটনার এক মাসের অধিক সময় পরও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন জনকে ফোন করছে এবং বিপুলদের মতো আরও অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা অত্যন্ত আশঙ্কিত যে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া না হলে তারা খুন সহ আরও জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে।
স্মারকলিপিতে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি গুলো হলো- (১) আপনার পক্ষ থেকে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার খুনীদের গ্রেফতার করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হোক (২) খুনীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক এবং (৩) খুনীদের মদদদাতা ও খুনের পরিকল্পনা কারীদের চিহ্নিত করে তাদেরও বিচার করা হোক। স্মারক লিপি গ্রহনকালে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যদের কাছে উক্ত ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং স্মারক লিপিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান।
এসময় সুনীল ত্রিপুরার পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা ও ছোট ভাই গনেশ ত্রিপুরা, রুহিন ত্রিপুরার স্ত্রী বাষ্প রাণী ত্রিপুরা ও তার ছেলে-মেয়ে, লিটন চাকমার মা বালা চাকমা ও ভাই মতি বিকাশ চাকমা,কাথাং ত্রিপুরার স্ত্রী অলকা রাণী ত্রিপুরা সহ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ কম্বল উপহার দেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৬.০১.২০২৪CTG Journal24

ন্যায় বিচার পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান
মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :
বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনীদের গ্রেফতার ও ন্যায় বিচার পেতে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহি অফিসারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশের মাধ্যমে তারা এই স্মারক লিপি পেশ করেন।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, গত ১১ ডিসেম্বর পানছড়ির অনিল পাড়ায় একটি যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অতুল চাকমার বাড়িতে রাত্রি যাপনের সময় রাষ্ট্রীয় বিশেষ গোষ্ঠির মদদ পুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীদের হামলায় বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরা নিহত হন
আরও তিনজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের কয়েকদিন পর ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ।
উক্ত ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, খুনীদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য থাকা সত্বেও ঘটনার এক মাসের অধিক সময় পরও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন জনকে ফোন করছে এবং বিপুলদের মতো আরও অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
এ অবস্থায় আমরা অত্যন্ত আশঙ্কিত যে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া না হলে তারা খুন সহ আরও জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে।
স্মারকলিপিতে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি গুলো হলো- (১) আপনার পক্ষ থেকে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার খুনীদের গ্রেফতার করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হোক (২) খুনীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক এবং (৩) খুনীদের মদদদাতা ও খুনের পরিকল্পনা কারীদের চিহ্নিত করে তাদেরও বিচার করা হোক।
স্মারক লিপি গ্রহনকালে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যদের কাছে উক্ত ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং স্মারক লিপিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান।
এসময় সুনীল ত্রিপুরার পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা ও ছোট ভাই গনেশ ত্রিপুরা, রুহিন ত্রিপুরার স্ত্রী বাষ্প রাণী ত্রিপুরা ও তার ছেলে-মেয়ে, লিটন চাকমার মা বালা চাকমা ও ভাই মতি বিকাশ চাকমা, কাথাং ত্রিপুরার স্ত্রী অলকা রাণী ত্রিপুরা সহ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ কম্বল উপহার দেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৬.০১.২০২৪পাহাড়ের খবর

পানছড়ি হত্যাকান্ডের খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

 প্রেস বিজ্ঞপ্তি
 জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ পানছড়ির অনিলপাড়ায় বিশেষ গোষ্ঠির মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরা খুনীদের  গ্রেফতারের দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি ২০২৪) পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ এর মাধ্যমে তারা এই স্মারকলিপি পেশ করেন।
ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি হয়ত ইতিমধ্যে অবগত থাকবেন যে, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ রাত আনুমানিক সাড়ে ন’টার সময় ১০ — ১১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অনিলপাড়ায় এসে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চকামা ও রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যা করে।
এ সময় তারা অতুল চাকমার বাড়িতে রাত্রিযাপন করছিলেন, কারণ পরদিন ঐ এলাকায় একটি যুব সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
সন্ত্রাসীরা উক্ত নিরপরাধ চার জনকে খুন করা ছাড়াও আরও তিন জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অবশ্য অপহরণের কয়েক দিন পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং তারা উক্ত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।’
স্মারকলিপিতে ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়,  ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, খুনীদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য থাকা সত্বেও ঘটনার এক মাসের অধিক সময় পরও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি‘বরং খুনীরা বুক ফুলিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন জনকে ফোন করছে এবং বিপুলদের মতো আরও অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
এ অবস্থায় আমরা অত্যন্ত আশঙ্কিত যে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া না হলে তারা খুনসহ আরও জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে।
যাদের বিরুদ্ধে বিপুল চাকমাসহ চার জনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তারা আগেও খুন, অপহরণ, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, যা এলাকার সবাই অবগত।’
স্মারকলিপিতে তারা খুনিদের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি যে, খুনীরা বর্তমানে পানছড়ি বাজারের কাছে মানিক্যাপাড়ায় এবং ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া নামক স্থানে অবস্থান করছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হলে তারা অতি সহজে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করি।
‘সরকারের পক্ষ থেকে খুনীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অর্থাৎ হত্যাকারীদেরকে আইনের আওতার বাইরে থাকতে দেয়া হলে পানছড়ি এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার আরও অবনতি ঘটবে এবং ফলতঃ আমরা সাধারণ জনগণ নিরাপদে ও নির্ভয়ে বসবাস করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো।’
স্মারকলিপিতে তারা ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— (১) আপনার পক্ষ থেকে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার খুনীদের গ্রেফতার করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হোক; (২) খুনীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক এবং (৩) খুনীদের মদদদাতা ও খুনের পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদেরও বিচার করা হোক।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ইউএনও অনজন দাশ ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন। এ সময় তিনি উক্ত খুনের ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং স্মারকলিপিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান।
এছাড়া তিনি স্মারকলিপি দিতে যাওয়া ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদেরকে কিছু কম্বল উপহার দেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সুনীল ত্রিপুরার পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা ও ছোট ভাই গনেশ ত্রিপুরা; রুহিন ত্রিপুরার স্ত্রী বাষ্পরাণী ত্রিপুরাসহ তার ছেলে-মেয়েরা; লিটন চাকমার মা বালা চাকমা ও ভাই মতি বিকাশ চাকমা, কাথাং ত্রিপুরার স্ত্রী অলকা রাণী ত্রিপুরাসহ নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ও স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন।

*খবরের লিঙ্ক এখানে
১৩.০১.২০২৪সারাবাংলা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েনি ২৭ কেন্দ্রে
 January 13, 2024 | 2:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ২৭টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। বিপরীতে ২টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে একটি ভোটও পড়েনি এমন ২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে খাগড়াছড়ির ১৯টি ও রাঙ্গামাটির ৮টি কেন্দ্র রয়েছে।
নির্বাচনে শতভাগ ভোট পড়ার কেন্দ্র দুটি হলো চট্টগ্রাম-৩ মমতাজুল উলুম মাদরাসা ও গাইবান্ধা-৪ আসনের শিবপুর ফজরিয়া ফাজিল মাদরাসা। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৯৮ আসনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের তথ্য মতে, খাগড়াছড়ি আসনের ১৯টি কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। কেন্দ্রগুলো হলো— নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুবছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। খাগড়াছড়িতে নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হয়ে স্থান পেয়েছেন মন্ত্রিসভাতেও।
রাঙ্গামাটি জেলার ৮টি ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। কেন্দ্রগুলো হলো— বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিউলংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালদাইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেউ ভোট দেননি। রাঙ্গামাটিতে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী দীপঙ্কর তালুকদার।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম-৩ ও গাইবান্ধা-৪ আসনের দুইটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে চট্রগ্রাম-৩ আসনের মমতাজুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রের মোট ভোটার তিন হাজার ৯৮০ জন। এদের সবাই ভোট দিয়েছেন। তবে বাতিল হয়েছে দুই হাজার ৩৫৭টি ভোট। এ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া গাইবান্ধা-৪ আসনের শিবপুর ফজরিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৪৫০ জন। তাদের সবাই ভোট দিলেও বাতিল হয়েছে ৬৬২টি ভোট। এ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ দুই লাখ এক হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতাধিক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছিল। সে সময় ভোট পড়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমকি ৬ শতাংশ। এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিকক দল (জাসদ) ১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, কল্যাণ পার্টি ১টি ও স্বতন্ত্র ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছে।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস

*খবরের লিঙ্ক এখানে
১১.০১.২০২৪যুগান্তর

ইউপিডিএফের রিপোর্ট
পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০২৩ সালে ২৫ বিচারবহির্ভূত হত্যা

 রাঙামাটি প্রতিনিধি  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেল ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর একটি রিপোর্ট বুধবার প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ২৫ জন। গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন ৪৯ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন। অপহৃত হয়েছেন ৪৩ জন এবং যৌন সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২৩ জন নারী ও শিশু। এছাড়া ১৪ গ্রামবাসীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ১৩টি স্থানে ভূমি বেদখল অথবা বেদখলের চেষ্টা হয়েছে। পাহাড়িদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৭টি। ধর্মীয় হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ৩টি। হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫ জন। গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৯টি। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬টি-যাতে ৪ জন নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং কম্বিং অপারেশনের কারণে অন্তত ৮২টি পাহাড়ি পরিবারের লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.০১.২০২৪সাম্প্রতিক দেশকাল

ইউপিডিএফের দাবি: পাহাড়ে একবছরে ২৫ হত্যা
জেলার খবর
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৯ পিএম

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক), জেএসএস ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যার শিকার হয়েছেন ২৫ জন; গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন ৪৯ জন; শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন; অপহৃত হয়েছেন ৪৩ জন; যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ২৩ জন নারী ও শিশু। সংগঠনটির মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেলের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য ওঠে এসেছে বলে দাবি করেছে ইউপিডিএফ।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৩ সালে ১৪ জন গ্রামবাসীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, ১৩টি স্থানে ভূমি বেদখল অথবা বেদখলের চেষ্টা হয়েছে। পাহাড়িদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৭টি; ধর্মীয় পরিহানির ঘটনা ঘটেছে ৩টি; হয়রানির শিকার হয়েছেন পাঁচজন। গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৯টি; রাষ্ট্রীয়বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬টি, যাতে চারজন নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির বর্তমান বিশেষত্ব হচ্ছে নিপীড়িত—নির্যাতিত অধিকারহারা জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে নব্যমুখোশ বাহিনী, মগপার্টি, সংস্কারবাদীর (জেএসএস-এমএন লারমা) মতো ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর ব্যবহার। এদের মাধ্যমে আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও তাদের সমর্থকদের খুন, গুম, অপহরণ করে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এই বাহিনীগুলো ছাড়াও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্তু গ্রুপও প্রায় সময় সাধারণ জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকে।
জেএসএসের (সন্তু লারমা) মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়, জেএসএস সন্তু গ্রুপও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। গত বছর তারা ইউপিডিএফ’র এক সদস্যকে হত্যা, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীসহ পাঁচজনকে অপহরণ, চারজনকে শারীরিক নির্যাতন ও রাঙ্গামাটিতে সমাবেশে বাধা প্রদান করে। রিপোর্টে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের বিষয়ে বলা হয়, মদতপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ইউপিডিএফের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ ২২ জনকে হত্যা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতা-কর্মীসহ ৩৮ জনকে অপহরণ করে এবং ছয়জনের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এছাড়া তারা ৪টি ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর একটি হামলাসহ (হতাহত হয়নি) কয়েকটি স্থানে সশস্ত্র অপতৎপরতা চালায়। বরাবরের মতো প্রশাসন এসব ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী সমতলের চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে আগস্ট মাসে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয়। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক হওয়া এক পাহাড়ি যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করা হয় ও আরো কয়েকজন পাহাড়ি যুবককে পুলিশের সহায়তায় আটক করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০ ০১.২০২৪প্রতিদিনের বাংলাদেশ

২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ২৫ বিচারবহির্ভূত হত্যা : ইউপিডিএফ
রাঙামাটি প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৯ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৯ পিএম

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেল ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দলটির প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করে দলটি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে রাষ্ট্রীয় বাহিনী, ঠ্যাঙাড়ে, জেএসএস ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে ২৫ জন। গত বছর গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৯ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন, অপহৃত হয়েছে ৪৩ জন ও যৌন সহিসংতার শিকার হয়েছে ২৩ জন নারী-শিশু। এ ছাড়া ১৪ জন গ্রামবাসীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, ১৩টি স্থানে ভূমি বেদখল অথবা বেদখলের চেষ্টা হয়েছে। পাহাড়িদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে সাতটি, ধর্মীয় পরিহানির ঘটনা ঘটেছে তিনটি, হয়রানির শিকার হয়েছে পাঁচজন।
গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৯টি, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ছয়টি, যাতে চারজন নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় এবং সেনাবাহিনীর কম্বিং অপারেশনের কারণে অন্তত ৮২টি পাহাড়ি পরিবারের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির বর্তমান বিশেষত্ব হচ্ছে নিপীড়িত-নির্যাতিত অধিকারহারা জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি নব্যমুখোশ বাহিনী, মগপার্টি, সংস্কারবাদীর মতো ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর ব্যবহার। এদের মাধ্যমে আন্দোলনের নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকদের খুন, গুম, অপহরণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এই বাহিনীগুলো ছাড়াও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্তু গ্রুপও প্রায় সময় সাধারণ জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গ্রেপ্তার, শারীরিক নির্যাতন, তল্লাশি-হয়রানি, ধর্মীয় পরিহানি, নারী নির্যাতন ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, হামলা, ভূমি বেদখল ইত্যাদি।
রিপোর্টে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়, গত বছর নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে একজন সাধারণ নাগরিক, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইউপিডিএফ সদস্যসহ অন্তত ৪৯ জনকে, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯ জন, বেআইনি তল্লাশি চালানো হয়েছে ১৪ গ্রামবাসীর বাড়িতে, হেনস্থা-হয়রানির শিকার হয়েছে নারীসহ পাঁচজন, নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিবির গুলিতে আহত হয় দুজন, গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে আটটি, ধর্মীয় পরিহানির ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এ ছাড়া বিজিবি কর্তৃক নাইক্ষ্যংছড়িতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা, সাজেকে পাহাড়ি গ্রামবাসীদের জমি দখল করে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে এবং বান্দরবানে কুকি-চিন আর্মি দমনের নামে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত কম্বিং অপারেশনের কারণে বম জাতিগোষ্ঠীর ৮২টি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে উপজেলা সদরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
জেএসএস সন্তু গ্রুপের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়, জেএসএস সন্তু গ্রুপও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। গত বছর তারা ইউপিডিএফের এক সদস্যকে হত্যা, বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া এক ছাত্রীসহ পাঁচজনকে অপহরণ, চারজনকে শারীরিক নির্যাতন ও রাঙামাটিতে সমাবেশে বাধা দিয়েছে।

*খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.০১.২০২৪সিএইচটি টুডে

ইউপিডিএফের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ
* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.০১.২০২৪সারাবাংলা

পাহাড়ে ১ বছরে ২৫ হত্যা, ২৩ নারী নির্যাতন: দাবি ইউপিডিএফের
January 10, 2024 | 3:43 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ২৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। একই সময়ে ৪৩ জনকে অপহরণ এবং ২৩ জন নারী-শিশুকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইউপিডিএফ। সংগঠনটির মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেল এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক), জেএসএস ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যার শিকার হয়েছেন ২৫ জন, গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন ৪৯ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন, অপহৃত হয়েছেন ৪৩ জন এবং যৌন সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২৩ জন নারী ও শিশু।
সেখানে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালে ১৪ জন গ্রামবাসীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, ১৩টি স্থানে ভূমি বেদখল অথবা বেদখলের চেষ্টা করা হয়েছে। পাহাড়িদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৭টি, ধর্মীয় অবমাননার ঘটনা ঘটেছে ৩টি, হয়রানির শিকার হয়েছেন পাঁচজন। গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৯টি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬টি, যাতে চারজন নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হন।
ইউপিডিএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির বর্তমান বিশেষত্ব হচ্ছে নিপীড়িত-নির্যাতিত অধিকারহারা জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে নব্যমুখোশ বাহিনী, মগপার্টি, সংস্কারবাদীর (জেএসএস-এমএন লারমা) মতো ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর ব্যবহার। এদের মাধ্যমে আন্দোলনের নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকদের খুন, গুম, অপহরণ করে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এই বাহিনীগুলো ছাড়াও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্তু গ্রুপও প্রায় সময় সাধারণ জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকে।
জেএসএসের (সন্তু লারমা) মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, জেএসএস সন্তু গ্রুপও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। গত বছর তারা ইউপিডিএফ’র এক সদস্যকে হত্যা, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীসহ পাঁচজনকে অপহরণ, চারজনকে শারীরিক নির্যাতন ও রাঙ্গামাটিতে সমাবেশে বাধা প্রদান করে। রিপোর্টে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের বিষয়ে বলা হয়, মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ইউপিডিএফের পাঁচ নেতাকর্মীসহ ২২ জনকে হত্যা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতাকর্মীসহ ৩৮ জনকে অপহরণ করে এবং ছয়জনের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এছাড়া তারা ৪টি ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর একটি হামলাসহ (হতাহতি হয়নি) কয়েকটি স্থানে সশস্ত্র অপতৎপরতা চালায়। বরাবরের মতো প্রশাসন এসব ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।
ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী সমতলের চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে গত বছর আগস্টে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয়। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক হওয়া এক পাহাড়ি যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করা হয় ও আরও কয়েকজন পাহাড়ি যুবককে পুলিশের সহায়তায় আটক করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
সারাবাংলা/পিডিএনআর/এনএস

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.০১.২০২৪পাহাড়ের খবর

ইউপিডিএফের মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ; ২০২৩ সালে বহির্ভুত হত্যা ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি।
 জানুয়ারি ১০, ২০২৪ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেল ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লংঘনের উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
বুধবার দলটির প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ  বার্ষিক মানবাধিকার  রিপোর্ট প্রকাশ করে দলটি।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে রাষ্ট্রীয় বাহিনী, ঠ্যাঙাড়ে, জেএসএস ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে বিচার বহির্ভুত হত্যার শিকার হয়েছেন ২৫ জন; গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন ৪৯ জন; শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন; অপহৃত হয়েছেন ৪৩ জন; যৌন সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২৩ জন নারী ও শিশু।
এছাড়া ১৪ জন গ্রামবাসীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, ১৩টি স্থানে ভূমি বেদখল অথবা বেদখলের চেষ্টা হয়েছে। পাহাড়িদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৭টি; ধর্মীয় পরিহানির ঘটনা ঘটেছে ৩টি; হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫ জন।
গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৯টি; রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬টি, যাতে ৪ জন নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং সেনাবাহিনীর কম্বিং অপারেশনের কারণে অন্তত ৮২টি পাহাড়ি পরিবারের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
আজ ১০ জানুয়ারি ২০২৪ প্রকাশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির বর্তমান বিশেষত্ব হচ্ছে নিপীড়িত-নির্যাতিত অধিকারহারা জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে শাসকগোষ্ঠি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি নব্যমুখোশ বাহিনী, মগপার্টি, সংস্কারবাদীর মতো ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর ব্যবহার। এদের মাধ্যমে আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও তাদের সমর্থকদের খুন, গুম, অপহরণ করে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এই বাহিনীগুলো ছাড়াও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্তু গ্রুপও প্রায় সময় সাধারণ জনগণের মানবাধিকার লংঘন করে থাকে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লংঘনের মধ্যে রয়েছে বিচার বহির্ভূত হত্যা, গ্রেফতার, শারীরিক নির্যাতন, তল্লাশি-হয়রানি, ধর্মীয় পরিহানি, নারী নির্যাতন ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, হামলা, ভূমি বেদখল ইত্যাদি।
প্রধানত ইউপিডিএফকে লক্ষ্যবস্তু করে নিরাপত্তা বাহিনী এসব নিবর্তনমূলক কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
রিপোর্টে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা তুলে ধরো বলা হয়, গত বছর নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ১ জন সাধারণ নাগরিক, গ্রেফতার করা হয়েছে ইউপিডিএফ সদস্যসহ অন্তত ৪৯ জনকে, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯ জন, বেআইনি তল্লাশি চালানো হয়েছে ১৪ গ্রামবাসীর বাড়িতে, হেনস্থা-হয়রানির শিকার হয়েছেন নারীসহ ৫ জন,  নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিবির গুলিতে আহত হন ২ জন, গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৮টি, ধর্মীয় পরিহানির ঘটনা ঘটেছে ৩টি। এছাড়া বিজিবি কর্তৃক নাইক্ষ্যংছড়িতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা, সাজেকে পাহাড়ি গ্রামবাসীদের জমি দখল করে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে এবং বান্দরবানে “কুকি-চিন আর্মি দমনের” নামে  নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত কম্বিং অপারেশনের কারণে বম জাতিগোষ্ঠির ৮২টি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে উপজেলা সদরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
জেএসএস সন্তু গ্রুপের মানবাধিকার লংঘনের তথ্য তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়, জেএসএস সন্তু গ্রুপও মানবাধিকার লংঘনের সাথে জড়িত। গত বছর তারা ইউপিডিএফ’র এক সদস্যকে হত্যা, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীসহ ৫ জনকে অপহরণ, ৪ জনকে শারীরিক নির্যাতন ও রাঙামাটিতে সমাবেশে বাধা প্রদান করে।
রিপোর্টে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর মানবাধিকার লংঘনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী ও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ইউপিডিএফের ৫ নেতা-কর্মীসহ ২২ জনকে হত্যা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতা-কর্মীসহ ৩৮ জনকে অপহরণ করে এবং ৬ জনের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
এছাড়া তারা ৪টি ছিনতাই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল এবং ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর একটি হামলাসহ (হতাহত হয়নি) কয়েকটি স্থানে সশস্ত্র অপতৎপরতা চালায়। বরাবরের মতো প্রশাসন এসব ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
সেটলার বাঙালিদের দ্বারা সংঘটিত ঘটনা তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়, গত বছর সেটলার বাঙালিরা পাহাড়িদের ওপর অন্তত ৬টি হামলা চালায়, ইউপিডিএফের এক সদস্যকে অমানুষিক শারিরীক নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করে এবং অন্য দুই পাহাড়িকে মারধর করে। এছাড়া সেটলারদের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে পাহাড়িদের ১১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভূমি বেদখলের চিত্র তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে অন্তত ১৩টি স্থানে ভূমি বেদখল ও বেদখল চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯টি স্থানে সেটলার বাঙালিরা ভূমি বেদখল ও বেদখল চেষ্টা চালায় এবং বান্দরবানের লামায় ভূমিদস্যু রাবার কোম্পানি কর্তৃক পুনরায় দুই দফায়  ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির ৪০০ একর জুমভূমি জবরদখল চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া লামা উপজেলার সাংগু মৌজায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ৫,৭৬০ একর জায়গায় ‘সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা’র নামে ভূমি থেকে স্থানীয়দের উচ্ছেদের ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ‘সীগাল বোর্ডিং স্কুল’ স্থাপনের নামে ভূমি বেদখলের পাঁয়াতারা চালায়। এর প্রতিবাদে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত ভূমি বেদখল ও বেদখল প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটলেও এর প্রতিকারে সরকার-প্রশাসন আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয় না। উপরন্তু ভূমি বেদখলকারী সেটলার ও ভূমিদস্যুদের পক্ষাবলম্বন করে থাকে। এর ফলে পাহাড়িদের পক্ষে ভূমি বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে যাতে জনগণ প্রতিবাদ করতে না পারে তার জন্য রাষ্ট্রীয় বাহিনী নানাভাবে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে।
নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়, ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তত ২৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণসহ যৌন নিপীড়ন-সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১ জন, ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন ৯ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ১ জন এবং শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ১ জন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক পাহাড়ি নারী এনজিও কর্র্মীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। সেটলার ও সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও সেনা মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ও কতিপয় পাহাড়ি দুর্বৃত্ত এসব নারী ওপর সহিংসতার ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত ছিল। ধর্ষণের ঘটগুলোর মধ্যে একটি বহুল আলোচিত ছিল রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ৬ সেনা সদস্য কর্তৃক এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। কিন্তু এরপরও অভিযুক্ত  নিরাপত্তা  সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি। উল্টো ঘটনা ধামাচাপা দিতে নানা কূটকৌশল প্রয়োগ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, উপরোক্ত মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় খাগড়াছড়ির বিজিতলা ও গামারিঢালা এলাকায় ৩৩ পরিবার রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের তথ্য পাওয়া যায়। বিজিতলা আর্মি ক্যাম্পের কমাণ্ডার ক্যাপ্টেন ইয়াসিনের নেতৃত্বে অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে পাহাড়ি জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। কথিত উন্নয়নের নামে সরকার পাহাড়ি জনগণকে চারদিক থেকে এইসব সড়কের মাধ্যমে ঘিরে ফেলে তাদেরকে জাতিগতভাবে নির্মূলীকরণের আয়োজন করছে। সরকার ও সেনাবাহিনী জনগণকে নিজেদের জায়গা-জমি থেকে উচ্ছেদ এবং এলাকার জীব-বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করছে।
রিপোর্টে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সংঘটিত ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী সমতলের চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে আগস্ট মাসে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয়।
এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক হওয়া এক পাহাড়ি যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করা হয় ও আরো কয়েকজন পাহাড়ি যুবককে সেনা-পুলিশের সহায়তায় আটক করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১০.০১.২০২৪NEWAGE

Khagrachari people face threats, extortion for not voting
taff Correspondent 
10 January, 2024, 01:20
Five organisations of national minorities, in a statement on Tuesday, protested against the incidents of threatening local people, including public representatives, in Khagrachari’s Panchari upazila for not casting vote in the 12th parliamentary elections held on Sunday.

On Monday, a group asked Mandira Chakma, a member of 3 no Panchari union, Sujata Chakma, a former member of 4 no Latiban union, and Romel Tripura, a member of Panchari Gana Adhikar Raksha Committee, to appear at their den in Dewanpara, subjecting the representatives to threats and harassments, the statement read.
The above-mentioned three people were also asked to pay Tk 1,00,000 each as extortion.
‘Casting a vote or not in Bangladesh is a fundamental democratic right recognised by the constitution, and no one has the right to interfere with this right of the citizens,’ the statement said.
The five organisations that condemned and protested the incidents are – Parbattya Chattogram Nari Sangha, Greater Chittagong Hill Tract Student Council, Hill Women’s Federation, Ganatantrik Juba Forum, and United Workers Democratic Front.
The statement also called for legal action against the accused.

* NEWS Link
০৮.০১.২০২৪বণিক বার্তা

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির ২৭ কেন্দ্র ভোটশূন্য
বণিক বার্তা প্রতিনিধি I রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি
জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
খাগড়াছড়ির ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং রাঙ্গামাটির ২১৩টির মধ্য আটটি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। গতকাল রাতে নিজ নিজ উপজেলায় নির্বাচনী ফল ঘোষণা কেন্দ্রে এ তথ্য জানানো হয়।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ জানান, জেলার পানছড়ি উপজেলার ২৪ কেন্দ্রের ১১টি ভোটশূন্য এবং দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি মাত্র ভোট পড়ে।
ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দীঘিনালা উপজেলায় তিনটি কেন্দ্র ভোটশূন্য গেছে। আরো পাঁচটি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৮ জন ভোট দিয়েছেন। লক্ষ্মীছড়িতে ১২ কেন্দ্রের পাঁচটিতেই ভোট পড়েনি। এর মধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চারটি ও সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র রয়েছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব কেন্দ্র মূলত প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রভাবিত এলাকা। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে বাধা ও বিধিনিষেধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা সরকারি দলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সরকারের নীল নকশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন ভোটাররা। এটা জনগণের মৌন প্রতিবাদ।’
অন্যদিকে রাঙ্গামাটির কাউখালী ও বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি কেন্দ্রের কোনোটিতে একটিও ভোট পড়েনি। ওইসব কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৫৯ জন। সংশ্লিষ্ট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রগুলো হলো কাউখালী উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়নের নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে ভোটার সংখ্যা ৭৭৫ জন। ঘাগড়া ইউনিয়নের বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৫। এছাড়া পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২৬ থাকলেও কেউ ভোট দেননি। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রক্তিম চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৯২ জন, কিন্তু একটি ভোটও পড়েনি। সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ১৪২ থাকলেও ভোট দিতে কেউ আসেনি। এছাড়া তুইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৪৮, কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৮২৭ এবং শিয়ালদাইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৮৪ জন ভোটার থাকলেও একটি ভোটও পড়েনি।
অভিযোগ রয়েছে, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের ভোট বর্জনের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, সাধারণ ভোটারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে না আসতে বাধ্য করেছে ইউপিডিএফ।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৮.০১.২০২৪প্রতিদিনের বাংলাদেশ

ইউপিডিএফের বিবৃতি
নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি
রাঙামাটি প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৩৪ এএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৪০ এএম
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন’ দাবির প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। রবিবার (৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা ভোট বর্জন করায় পার্বত্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি পাহাড়ে দীর্ঘদিনের অন্যায়, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ; অত্যাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে পাহাড়ের নাগরিকদের গণরায় ঘোষণা।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফ সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামে ভোট বর্জনকে এক অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন মন্তব্য করে বলেন, এটি হচ্ছে ইউপিডিএফসহ আন্দোলনকারী গণসংগঠন ও জনগণের সুদৃঢ় ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রহসন, ভোটারবিহীন ও জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত নির্বাচন’ আখ্যায়িত করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র নৈতিক ভিত্তি নেই।
সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা অবৈধ শেখ হাসিনার সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০১.২০২৪সমকাল

ইউপিডিএফের বিবৃতি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর দাবি
মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা
 প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ | ২১:১৬

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ‘প্রহসনের ভোট’ বর্জন করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। রোববার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার পক্ষে সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা ভোট বর্জন করায় পার্বত্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি হচ্ছে পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অন্যায়-অবিচার, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। অত্যাচারী শাসক ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে পাহাড়ের নাগরিকদের গণরায় ঘোষণা।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ সভাপতি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে আজকের ভোট বর্জন এক অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন ঘটনা। এটি হচ্ছে ইউপিডিএফসহ আন্দোলনকারী গণসংগঠন ও জনগণের সুদৃঢ় ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর বিন্দুমাত্র নৈতিক ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  
সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৮.০১.২০২৪INDEPENDENT

খাগড়াছড়িতে ১৯ কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি কেউ
সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১১
খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি কোনো ভোটার। এর মধ্যে পানছড়ি উপজেলার ১১টি, লক্ষ্মীছড়িতে ৫টি এবং দীঘিনালায় ৩টি কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল। আজ রোববার ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলাফল থেকে এসব তথ্য জানা যায়। 
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা  অঞ্জন দাশ জানান, ‌লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুদুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট দেয়নি । এছাড়া দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মাত্র ১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকতা সুলতানা রাজিয়া জানান, ভোটার কেন্দ্রে না আসায় বর্মাছড়ি ইউনিয়নে ৪টা ও লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়নের ১টি কেন্দ্র ভোটশূন্য থাকে।
দীঘিনালার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, উপজেলার নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট দেয়নি। এসব কেন্দ্রের সবাই পাহাড়ি ভোটার।
১৯ কেন্দ্রে ভোটশূন্য হওয়ার ঘটনায় ইউপিডিএফের ভোট বর্জন কর্মসূচিকে দায়ী করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মুলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘ইউপিডিএফ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা যেহেতু সশস্ত্র সংগঠন সেকারণে মানুষ তাদের ভয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেনি। এ কারণে দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘নির্বাচনের ওপরে মানুষের কোনো  আস্থা নেই। তাই ভোটাররা ভোট না দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’ 

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০১.২০২৪ডেইলি স্টার বাংলা

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির ২৭ কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি
খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনে ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল। রাঙ্গামাটি ২৯৯ নম্বর আসনে ২১৩টির মধ্য ৮টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙামাটি
রোববার জানুয়ারি ৭, ২০২৪ ১০:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার জানুয়ারি ৭, ২০২৪ ১১:১৩ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনের ১৯টি এবং রাঙ্গামাটি ২৯৯ আসনের ৮টি মোট ২৭টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি আজ।
খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনে ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল। যেসব কেন্দ্রে ভোট পড়েছে তারমধ্যে ৬টি মিলিয়ে মাত্র ১৯ জন ভোট দিয়েছেন।
পানছড়ির সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ জানান, জেলার পানছড়ি উপজেলার ২৪ কেন্দ্রের ১১টিতে শূন্য ভোট এবং দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভোট পড়ে।
দীঘিনালা উপজেলায় ৩টি কেন্দ্র ভোটশূন্য গেছে। আরও ৫টি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৮ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।
লক্ষীছড়িতে ১২ কেন্দ্রের ৫টিতেই ভোট পড়েনি। এরমধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ৪টি ও সদর ইউনিয়নের ১টি কেন্দ্র আছে।
স্ব স্ব উপজেলায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে এই তথ্য জানানো হয়। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এখনও এ বিষয়ে কথা বলেননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব কেন্দ্রগুলো মূলত প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রভাবিত এলাকা। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে বাধা ও বিধিনিষেধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
তবে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা সরকারি দলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘সরকারের নীল নকশার নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে ভোটাররা। এটা জনগণের মৌন প্রতিবাদ।’
এদিকে রাঙ্গামাটি ২৯৯ নম্বর আসনে ২১৩টির মধ্য ৮টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।
এরমধ্যে পাঁচটি হচ্ছে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুইছুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গলতলী ইউপির বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালদাহলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার এ কেন্দ্রগুলোতে কোনো ভোট না পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও যে তিন কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি সেগুলো হচ্ছে কাউখালী উপজেলায় ফটিকছড়ি ইউপির নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘাগড়া ইউপির পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। 
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চক্রবর্তী এই তিন কেন্দ্রে কোনো ভোট না পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ৮টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ১৫ হাজার ১৫৯ জন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০১.২০২৪মানবজমিন

ভোট শূন্য খাগড়াছড়ির ১৯ কেন্দ্র
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
(৫ মাস আগে) ৭ জানুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ৭:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৬ পূর্বাহ্ন
খাগড়াছড়ি পার্বত্য আসনে শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ আসনে ১৯৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া প্রায় সব কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে। পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর ভোট বর্জনে দুর্গম এলাকার কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এর মধ্যে মোট ১৯টি কেন্দ্র ছিল ভোট শূন্য। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পানছড়িতে ১১টি, দীঘিনালায় ৩টি এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রে কোন ভোট পড়েনি। এই ১৯টি ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার ছিল ২১,৩৮৪। 
কেন্দ্রগুলো হলো- পানছড়ি উপজেলার লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুদুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দীঘিনালার কেন্দ্রগুলো হলো- নূনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইন্দ্রমনি কার্বারী পাড়া, জারলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধীরেন্দ্র হেডম্যান পাড়া, ২ নং বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৫টি কেন্দ্র ভোট শূন্য রয়েছে। এদিকে পানছড়ি উপজেলায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ৪ যুবকের ৬ মাস করে জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ির ১৯৬টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। খাগড়াছড়ি আসনে এবার ৪জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। 

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০১.২০২৪ট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাঙামাটির ৮ কেন্দ্রে শূন্য ভোট
রাঙামাটি প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০৭ অপরাহ্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটির দুটি উপজেলার আটটি ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। ওই আটটি ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৫৯ জন।
ভোটকেন্দ্রগুলো হলো জেলার কাউখালী উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়নের নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৭৭৫। ঘাগড়া ইউনিয়নের বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৬৬৫। পানছডি উচ্চ বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২০২৬।
কাউখালী ইউএনও এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার রক্তিম চক্রবর্তী শূন্য ভোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩১৯২; সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২১৪২; তুইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৯৪৮; কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৮২৭ এবং শিয়ালদাইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৫৮৪ জন ভোটার ছিল।
বাঘাইছড়ি ইউএনও এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার শিরীণ আক্তার শূন্য ভোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫৪ জন ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৬, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৬ এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন দু’জন।
অভিযোগ রয়েছে, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের ভোট বর্জনের কারণে ইউপিডিএফ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ভোটার উপস্থিতি দেখা মেলেনি।
তবে আওয়ামী লীগের অভিযোগ, সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে না আসতে বাধ্য করেছে ইউপিডিএফ।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৭.০১.২০২৪বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ইউপিডিএফের দাবি পার্বত্যবাসী ‘নির্বাচন বর্জন’ করেছে, জানিয়েছে অভিনন্দন
এটি হচ্ছে পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে জারি থাকা অন্যায়-অবিচার, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ, বলেন ইউপিডিএফ সভাপতি।
রাঙামাটি প্রতিনিধি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 07 Jan 2024, 06:22 PM
Updated : 07 Jan 2024, 06:22 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘একতরফা প্রহসনের নির্বাচন’ উল্লেখ করে পাহাড়ের বাসিন্দারা তা বর্জন করেছে উল্লেখ করে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ এ কথা জানান।
পার্বত্যবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি হচ্ছে পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে জারি থাকা অন্যায়-অবিচার, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ; অত্যাচারী শাসক ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে পাহাড়ের নাগরিকদের গণ রায় ঘোষণা।”

পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামে আজকের ‘ভোট বর্জন এক অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন’ মন্তব্য করে বিবৃতিতে ইউপিডিএফ সভাপতি বলেন, “এটি হচ্ছে ইউপিডিএফসহ আন্দোলনকারী গণসংগঠন ও জনগণের সুদৃঢ় ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ।”
‘প্রহসন, ভোটারবিহীন ও জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত নির্বাচন’ আখ্যায়িত করে ইউপিডিএফ নেতা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ দলটির ক্ষমতায় থাকার আর বিন্দুমাত্র নৈতিক ভিত্তি নেই।”
তিনি বলেন, “অবৈধ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।”

* খবরের লিঙ্ক এখানে
০৩.০১.২০২৪প্রথম আলো

পানছড়িতে চার তরুণ নেতার হত্যাকাণ্ড ‘পুরোপুরি রাজনৈতিক’: গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট
প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ৩৬
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে চার তরুণ নেতার হত্যাকাণ্ডকে ‘পুরোপুরি রাজনৈতিক’ বলে অভিযোগ করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। তাদের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ড বিরোধী মতের রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। গত ১১ ডিসেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ির লোগাঙ ইউনিয়নে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা বিপুল চাকমা ও লিটন চাকমা, পিসিপি নেতা সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ নেতা রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ছাত্র জোট এই সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী। এতে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে বিপুল চাকমাসহ চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং এটি বিরোধী মতের রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। চার তরুণ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এত দিন পরও প্রশাসন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিপুল চাকমাসহ চার নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত; এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনি-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া ও সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদের শাস্তি দেওয়াসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও ছাত্র ফেডারেশনের (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল) সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়। আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার প্রমুখ।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৭.১২.২০২৩প্রথম আলো ই-পেপার

ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান
27/12/2023প্রতিনিধি, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে দলের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। শোভাযাত্রায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাঙামাটিতেও ছিল নানা কর্মসূচি।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর এলাকা থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শহরের চেঙ্গী স্কয়ার ঘুরে আবার স্বনির্ভরে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। পরে সেখানে দলীয় পতাকা উত্তোলন, প্রয়াত নেতা-কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

একই দিনে জেলার পানছড়ি, দীঘিনালা, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মানিকছড়িতে শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়।

রাঙামাটি
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির আয়োজন করে ইউপিডিএফ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
বেলা একটার দিকে রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি ইউনিয়নে শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। কুতুকছড়ি মধ্যপাড়া থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। পরে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক ঘুরে উপর পাড়ায় গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রাটিতে অংশ নেয় দুই শতাধিক কিশোর-কিশোরী। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটির কাউখালী, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় সভা, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৬.১২.২৩সারাবাংলা

রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভোট বর্জনের আহ্বান ইউপিডিএফের
December 26, 2023 | 8:33 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: নানা আয়োজন ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রজতজয়ন্তী পালন করেছে পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। রজতজয়ন্তীর আয়োজনে ছিল শিশু-কিশোর র‌্যালি, আলোচনা সভা, দলীয় পতাকা উত্তোলন, নিহত নেতাকর্মী-সমর্থকদের স্মরণ, মতবিনিময় ও চা চক্র। এসব কর্মসূচি থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের নিরন চাকমার সই করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা, জেলা সদর, মানিকছড়ি উপজেলা সদর, রাঙ্গামাটির কুতুকছড়ি ও নানিয়ারচরে শিশু র‌্যালি হয়েছে।
এ ছাড়াও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, গুইমারা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি এবং রাঙ্গামাটির কুতুকছড়ি, কাউখালী, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, পতাকা উত্তোলন, অস্থায়ী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মতবিনিময় ও চা চক্র কর্মসূচির আয়োজন ছিল।
২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তায় ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা বলেন, ‘জেল-জুলুম, মামলা-হুলিয়া, ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার, গুপ্ত হামলা-হত্যা, এককথায় অবর্ণনীয় দমন-পীড়ন মোকাবিলা করে ইউপিডিএফ ২৫ বছর ধরে অবিচলভাবে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই সংগ্রাম জারি রেখেছে। এ সংগ্রামে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের বেশ কজন সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতিশীল সংগঠক-নেতাকর্মীসহ ৩৫৬ জন আত্ম বলিদান দিয়েছেন।’
সন্তু লারমাকে বেইমান অভিহিত করে প্রসিত খীসা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতে বিভিন্ন সময়ে ‘দুলো’ (দালাল) ও বেঈমানরা আবির্ভূত হলেও সন্তু লারমার মতো কেউ এত ধূর্ত ছিল না। কুসুমপ্রিয়-প্রদীপ লাল হত্যা (৪ এপ্রিল ১৯৯৮) থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ১১ ডিসেম্বর বিপুল-লিটন-সুনীল-রুহিন হত্যায় তার নির্দেশ ও যোগসাজশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তার মতো কেউ আর পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের এত ক্ষতি করতে পারেনি। তিনি সাক্ষাৎ মীর জাফর ও বিভীষণ। আন্দোলন গুটিয়ে অলিখিত চুক্তি ও আত্মসমর্পণ করে আঞ্চলিক পরিষদের গদি লাভের বিনিময়ে পাহাড়ের সংগঠন ও আন্দোলন ধ্বংস করেছেন। জনসংহতি সমিতি দুবার (১৯৮২ ও ২০১০) ভেঙেছেন, প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ মোকাবিলা করতে ছাত্রবেশী ধান্দাবাজদের মাস্তান-গুণ্ডা (৩০ জুন ১৯৯৭) বানিয়েছেন, পাহাড়ের সুবিধাবাদী দালালদের কুড়িয়ে নিয়েছেন।
এদিকে ইউপিডিএফের বিভিন্ন ইউনিটেও রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে পার্টি সভাপতি প্রসিত খীসার লিখিত বার্তা পড়ে শোনানো হয় এবং আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জনগণকে ভোটদানে বিরত থাকাসহ সাত দফা আহ্বান জানানো হয়।
নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে জনগণের ওপর সর্বত্র নিপীড়ন ও খবরদারি বিরাজমান, যেখানে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, বরং পোষ্য খুনিদের উৎপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত এবং যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক কাযক্রম চালাতে দেওয়া হচ্ছে না; সেখানে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তা হলো জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর তামাশা ও প্রহসন, নির্বাচনকে চিরতরে নির্বাসন দেওয়ার জন্য নির্বাচন।
নির্বাচন বর্জন কেবল নয়, অন্যদের ভোটদানে বিরত থাকতেও উৎসাহ দিতে বলেছে ইউপিডিএফ। গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সংগ্রামের আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সারাবাংলা/টিআর

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৬.১২.২০২৩সারাবাংলা

পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের প্রত্যাশা ইউপিডিএফের
December 25, 2023 | 2:37 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
রাঙ্গামাটি: দলের রজতজয়ন্তীতে ‘পাহাড়-সমতলে সংগ্রামী মৈত্রী জোরদারের’ আহ্বান জানিয়েছেন পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রধান প্রসিত খীসা। মৈত্রী জোরদারের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ন্যায্য দাবি পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠার ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় প্রসিত খীসা এ মন্তব্য করেন। বার্তায় প্রসিত খীসা ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত কর্মী-সমর্থক, জনগণ, ভ্রাতৃপ্রতিম দল, সংগঠনের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানিয়েছেন। বার্তায় বড় দিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে।
গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দলের কর্মী বিপুল-লিটন-সুনীল ও রুহিন হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রসিত খীসা বলেন, ‘বিবৃতি, দেয়াল লিখন, পোস্টার-হ্যান্ডবিল প্রচার, গান-আবৃত্তি, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দেশের বিবেক গণতান্ত্রিক শক্তি খুনি ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে সোচ্চার হয়েছেন, তা সরকার-শাসকগোষ্ঠীর প্রতি বীতশ্রদ্ধ পার্বত্যবাসীদের মনে আস্থার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে পাহাড় ও সমতলের গণতন্ত্রকামী মানুষের সংগ্রামী মৈত্রী গড়ে উঠছে।’
ইইউপিডিএফ প্রধান প্রসিত বলেন, ‘স্বাধীনতার সপক্ষের দল’ দাবিদার দেশের লুটেরা নিপীড়ক শাসকগোষ্ঠী পাহাড়ি জনগণের ওপর দমন-পীড়ন, হত্যা-ধর্ষণ, ভূমি দখল এবং বন, প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস করলেও দেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক শক্তি তা অনুমোদন করে না। স্মরণকালের ভয়াবহ লোগাঙ গণহত্যা, কল্পনা অপহরণ ও ইউপিডিএফের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ভণ্ডুল করার প্রতিবাদে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি যেভাবে পাহাড়ি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিল, বিপুল-লিটন-হত্যার প্রতিবাদে সবার সোচ্চার হওয়া সেসব ঘটনাকেই মনে করিয়ে দেয়।
আশির দশকের আগ পর্যন্ত পাহাড়ি-বাঙালি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের উল্লেখ করেন প্রসিত খীসা। ২০২২ সালের জুনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার অভিযানে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনজন নিহতের কথাও স্মরণ করেন।
প্রসিত খীসা বলেন, দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও যেকোনো কঠিন সময়ে পাহাড়ের যুবশক্তি জীবনবাজি রেখে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত, সেটা তারই আভাস দেয়। কিন্তু ‘স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি’ বেশ কয়েক বছর ধরে ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা’র জিগির তুলে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে অতীতে বিভিন্ন সময়ে পাহাড়ের ছাত্র-যুবকদের ভিন্নভাবে চিত্রিত করে দূরে সরিয়ে রেখেছে, তাদের শক্তি সম্ভাবনা ধ্বংস করার নীলনকশা জারি রেখেছে। তাতে গোটা দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর অস্ত্র সমর্পণের মধ্য দিয়ে সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সই করে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)। তখন জেএসএসের নেতাকর্মীদের একটি পক্ষ ওই চুক্তির বিরোধিতা করে ছিল। পরের বছর ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্রসিত খীসার নেতৃত্বেই প্রথম ভাঙন হয় সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতির। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে ‘কালো চুক্তি’ অভিহিত করে পাহাড়ে পূর্ণ স্বাত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ইউপিডিএফ।
সারাবাংলা/টিআর

* খবরের লিঙ্ক এখানে
২৬.১২.২০২৩পাহাড়ের খবর

ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
 ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩ ৪:৫০ অপরাহ্ণ
আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে এবং শিশু—কিশোর র‌্যালি, আলোচনা সভা, দলীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ নেতাকর্মী সমর্থকদের স্মরণ, মতবিনিময় সভার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফের  রজতজয়ন্তী (২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী)।
২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে শিশু রালি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সহস্রাধিক শিশু, কিশোর—কিশোরী অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিটি পানছড়ি সদরের পুরোনা বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়ে পানছড়ি কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা সদর, মানিকছড়ি উপজেলা সদর, রাঙামাটির কুদুকছড়ি, নানাচরে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিশু র‌্যালি ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি, গুইমারা, রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি; রাঙামাটি জেলার কুদুকছড়ি, কাউখালী, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, পতাকা উত্তোলন, অস্থায়ী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
২৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সভাপতি প্রসিত খীসা পার্টির কর্মী, সমর্থক ও জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বার্তায় বলেন, ‘জেল জুলুম, মামলা হুলিয়া, ষড়যন্ত্র অপপ্রচার, গুপ্ত হামলা হত্যা এক কথায় অবর্ণনীয় দমন পীড়ন মোকাবিলা করে ইউপিডিএফ ২৫ বছর ধরে অবিচলভাবে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই সংগ্রাম জারি রেখেছে। এ সংগ্রামে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের বেশ ক’জন সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতিশীল সংগঠক নেতাকর্মীসহ ৩৫৬ জন আত্মবলি দিয়েছেন।’
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ইউপিডিএফ বরদাস্ত করবে না’ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতে বিভিন্ন সময়ে দালাল (‘দুলো’) বেঈমান আবির্ভূত হলেও সন্তু লারমার মতো কেউ এত ধূর্ততার সাথে আঁতাত করে নিরাপত্তা বাহিনী শাসকগোষ্ঠীর নীলনক্সা বাস্তবায়নে পারদর্শিতা দেখাতে পারেনি।
পার্টির ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে জনগণের ওপর সর্বত্র নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ, নিপীড়ন ও খবরদারী বিরাজমান, যেখানে ন্যুনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, বরং  নিরাপত্তা বাহিনী ও পোষ্য খুনীদের উৎপাতে জনজীবন বিপযস্ত এবং যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক কাযক্রম চালাতে দেয়া হচ্ছে না, সেখানে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। গত ১১ ডিসেম্বর পানছড়িতে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী দিয়ে চার ইউপিডিএফ নেতাকে হত্যার মাধ্যমে এই কথার সত্যতা আবার প্রমাণিত হয়েছে। শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, সারা দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। তাই প্রধান বিরোধী দলসহ গণতন্ত্রমনা সকল দল এই নির্বাচন বর্জন করছে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ইউপিডিএফ ৭টি দাবী উত্থাপন করেন প্রসিত বিকাশ খীসা। এগুলো হল আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ  নির্বাচন বর্জন করা, ভোটদানে বিরত থাকা ও ভোট কেন্দ্রে না যাওয়া, কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা, অন্যকে ভোট দানে বিরত থাকা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করা।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৮.১২.২০২৩Dhaka Tribune

UPDF enforces blockade in Khagrachhari protesting murder of 4 leaders
Transportation services halted 
Four leaders were killed on December 11
Tribune Desk
Publish : 18 Dec 2023, 12:44 PMUpdate : 18 Dec 2023, 12:50 PM
The United People’s Democratic Party (UPDF) enforced a blockade in Khagrachhari on Monday, protesting the killing of four leaders of the organization. 
In support of the blockade, the activists of the party picketed the streets by burning tyres in various places in Khagrachhari town.
Due to the blockade, all types of transportation services have been halted. 
Night coaches, tourists and goods-laden vehicles leaving Dhaka entered Khagrachhari town around 9am. 
According to the district police, they are on alert to avoid any untoward incident during the blockade. Security measures have been strengthened.
Earlier, on Sunday, the UPDF observed a general strike in Panchhari upazila of the district. 
Four activists of UPDF were shot dead by miscreants in Ward 9 of Panchari upazila on December 11. 
The attackers also abducted two UPDF activists at the time, who were later rescued.

* News Link
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩যুগান্তর

সংবিধান পরিপন্থি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে: ইউপিডিএফ
রাঙামাটি প্রতিনিধি  ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম 
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দাবি করে বলেছে, সভা-সমাবেশের ওপর জারি করা সংবিধান পরিপন্থি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। শনিবার সংগঠনটির সহ-সভাপতি নতুন কুমার চাকমার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ ঘোষণা সরকারের চরম ফ্যাসিস্ট ও অগণতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সভা-সমাবেশের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ন্যায্য দাবি তুলে ধরার অধিকার রয়েছে। যারা নির্বাচনের অজুহাতে জনগণের এ অধিকার ক্ষুণ্ন করতে চায়, তারা জনগণের বন্ধু হতে পারে না।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩প্রতিদিনের বাংলাদেশ

৪ ইউপিডিএফ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে লাঠি মিছিল
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:১২ পিএম
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ৪ নেতাকে হত্যা ও ৩ জনকে অপহরণের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে লাঠি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন। 
 গুগল নিউজে প্রতিদিনের বাংলাদেশ”র খবর পড়তে ফলো করুন
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়িতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এই মিছিল করে। মিছিলটি কুতুকছড়ি বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বড় মহাপূরম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি তনুময় মারমা, সাধারণ সম্পাদক রিপন আলো চাকমা, জেলা কমিটির নারী সংঘের সভাপতি রিনিসা চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নিশি চাকমা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যদি ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হতো, পাহাড়ের গুম-খুনের বিচার হতো, তাহলে পানছড়িতে এমন খুনের ঘটনা ঘটত না। যারা বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনদের হত্যা করেছে তাদের দ্রুত শান্তির দাবি জানাই।
এদিকে সমাবেশের কারণে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে।
অপহৃত তিন ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধার সাজানো নাটক : এদিকে পানছড়িতে অপহৃত ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক উদ্ধারের ঘটনা সাজানো নাটক বলে মনে করছে ইউপিডিএফ। শুক্রবার বিকালে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক  নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার অপহৃত তিন ইউপিডিএফ সদস্যকে লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফের পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা এটিকে সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, পানছড়ি উপজেলাধীন লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী কর্তৃক অপহৃত তিন ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালিয়েছে বলে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কিংবা অন্য সময় কোনো ধরনের উদ্ধার তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি, কেবল আজ সকাল ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি থেকে নিরাপত্তা বহিনীর একটি দল তারাবনছড়া নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পে গিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে যায়।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে পানছড়ির অনিলপাড়ায় বিপুল চাকমাসহ ৪ ইউপিডিএফ নেতাকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যার পর বিশেষ মহলের সৃষ্ট ও মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সদস্যরা অপর ৩ ইউপিডিএফ সদস্য নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও প্রকাশ ত্রিপুরাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পানছড়ির মানিক্যাপাড়ার তাদের আস্তানায় আটকে রাখে।
অপু ত্রিপুরা অবিলম্বে ঠ্যাঙাড়েদের দিয়ে জনগণ ও ইউপিডিএফের সাথে এ ধরনের নিষ্ঠুর খেলা বন্ধ করে তিন সদস্যকে ইউপিডিএফের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
৭ ডিসেম্বর ২০২৩পাহাড়ের খবর

ভুমি বেদখল চেষ্টার প্রতিবাদে লংগদুতে সড়ক নৌ পথ অবরোধ ও বাজার বয়কট ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি।
 ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ৪:৫১ অপরাহ্ণ
রাঙামাটির লংগদুতে দয়াল চন্দ্র চাকমার রেকর্ডীয় জমি বেদখলের প্রতিবাদে এবং উক্ত জমি বেদখলমুক্ত করার দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর সড়ক ও নৌপথ অবরোধ এবং ১১ ডিসেম্বর ভেইবোনছড়া বাজার বয়কটের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার লংগদু ভূমি রক্ষা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
উক্ত সমাবেশে বক্তারা ভূমি বেদখলের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দয়াল চন্দ্র চাকমার যে জমি বেদখল করা হচ্ছে তা রেকর্ডিয় জমি। দখলপত্র থাকার পরও আমরা আমাদের জমি ভোগ দখল করতে পারছি না। কিছুদিন আগে সমীর চাকমা নামে অন্য একজনের জমিও সেটলাররা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করেছে।
ভূমি রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ ভূমি বেদখলকারী সেটলারদের প্রতি প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বলেন, ভূমি বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয় না। শুধু তাই নয়, প্রশাসন বরং তাদের
সহায়তা দিয়ে থাকে। অন্যদিকে ভূমি মালিককে দেয়া হয় শাস্তি। সেটেলাররা জোর করে জমি দখল করতে না পারলে ভূয়া দলিল তৈরি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। তখন আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হলে পাহাড়ি ভূমি মালিকরা আর তার জমিতে যেতে পারে না। কিন্তু সেটলাররা ঠিকই
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জমিতে ঘর তৈরি করে।
দয়াল চন্দ্র চাকমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ২০২১ সালে মো: কামাল নামে এক সেটলার প্রথম উক্ত জমি বেদখলের চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দেয়া হলে সে রাঙামাটির আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত উভয়পক্ষের
বক্তব্য শুনে উক্ত ভূমি বিষয়ে স্ট্যাটাস কু আরোপ করেন। কিন্তু আদালতের উক্ত আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কামাল গত ৫ ডিসেম্বর উক্ত জমিতে একটি খুপড়ি ঘর নির্মাণ করে।’
তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখলের মাত্রা এখন এমন পযায়ে পৌঁছে গেছে যে, পাহাড়ি ভূমি মালিকদের সব সময়
তাদের জমি বেদখল হওয়ার ভয়ে থাকতে হয়। কখন কার জমি কেড়ে নেয়ার জন্য সেটলাররা হাত দেয় তার কোন নিশ্চয়তা
নেই।
বক্তারা অবিলম্বে দয়াল চন্দ্র চাকমার জমি বেদখলমুক্ত করা এবং ভূমি দস্যু মো: কামালকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
ভুমিরক্ষা কমিটির সম্পাদক বুদ্ধ কুমার চাকমা আগামী রোববার (১০ ডিসেম্বর) লংগদু উপজেলাব্যাপী সড়ক ও নৌপথ অবরোধ
এবং সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভেইবোন ছড়া বাজার বর্জন কর্মসূচী সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহব্বান জানান।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৭ নভেম্বর ২০২৩প্রথম আলো ই-পেপার

‘নির্বাচনের তফসিল দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে’
ইউপিডিএফের বিবৃতি

17/11/2023
প্রতিনিধি, রাঙামাটি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশকে অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা ও মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনের সভাপতি প্রসিত খীসা সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর বিবৃতি তুলে ধরা হয়।
ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা বলেন, দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বদলীয় অস্থায়ী সরকার গঠন করার আহ্বান জানান ইউপিডিএফ সভাপতি। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করতে হবে। দেশের সব শ্রেণি ও জাতিসত্তার আশার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করাই হবে অস্থায়ী সরকারের দায়িত্ব।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ, ভয়-ভীতিমুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নেই উল্লেখ করে প্রসিত খীসা বলেন, যেখানে জনগণ অসহায়, ইউপিডিএফসহ পাহাড়িদের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দমন-পীড়ন চলছে, সেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রসিত খীসা সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা দেখিয়ে দেশকে উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৬ নভেম্বর ২০২৩প্রথম আলো

নির্বাচনের তফসিল দেশকে মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে: ইউপিডিএফ
প্রতিনিধি রাঙামাটি
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ১৪
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশকে অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা ও মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনের সভাপতি প্রসিত খীসা সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর বিবৃতি তুলে ধরা হয়।

ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা বলেন, দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বদলীয় অস্থায়ী সরকার গঠন করার আহ্বান জানান ইউপিডিএফ সভাপতি। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করতে হবে। দেশের সব শ্রেণি ও জাতিসত্তার আশার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করাই হবে অস্থায়ী সরকারের দায়িত্ব।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ, ভয়-ভীতিমুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নেই উল্লেখ করে প্রসিত খীসা বলেন, যেখানে জনগণ অসহায়, ইউপিডিএফসহ পাহাড়িদের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দমন-পীড়ন চলছে, সেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রসিত খীসা সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা দেখিয়ে পতনোন্মুখ অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৬ নভেম্বর ২০২৩সমকাল

ইউপিডিএফের বিবৃতি
অস্থিতিশীলতার মধ্যে তপশিল দেশকে মহাবিপর্যয়ে নেবে

রাঙামাটি অফিস
 প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ২০:১৫
দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী ভয়ভীতিমুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নেই। তাই চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা দেশকে অনিবার্যভাবে গভীর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা ও মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। 
বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি প্রসিত খীসা।
 বিবৃতিতে বলা হয়, এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের আস্থা লাভকারী ক্রিয়াশীল আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন। যাদের দায়িত্ব হবে দেশের সব শ্রেণি ও জাতিসত্তার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করা।
এতে আরও বলা হয়, যেখানে পাহাড়ে অপশাসনের দৌরাত্ম্যে জনগণ অসহায়, পাহাড়িদের ন্যূনতম মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার নির্বাসিত, ইউপিডিএফসহ পাহাড়িদের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অবর্ণনীয় রাজনৈতিক দমনপীড়ন চলছে– সেই অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই সম্ভব হতে পারে না। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোকে বাদ দিয়ে খণ্ডিতভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। দেশে বর্তমান সাংবিধানিক সংকট ও গণতন্ত্রহীনতা এ সত্যতার প্রমাণ দেয়।
এতে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার মাধ্যমে গভীর রাজনৈতিক খাদে পতনোন্মুখ অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারের আহ্বান জানানো হয়।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৬ নভেম্বর ২০২৩ যুগান্তর

তফশিল ঘোষণা দেশকে মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে: ইউপিডিএফ সভাপতি
রাঙামাটি প্রতিনিধি  ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশকে অনিবার্যভাবে গভীর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা ও মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে বলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসিত খীসা।
বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রসিত বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে বাদ দিয়ে খণ্ডিতভাবে দেশে গণতন্ত্র কায়েম হতে পারে না। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, দেশে বর্তমান সাংবিধানিক সংকট ও গণতন্ত্রহীনতা এ সত্যতার প্রমাণ দেয়।
তিনি বলেন, দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনকারী ক্রিয়াশীল আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা। যার দায়িত্ব হবে দেশে সব শ্রেণি ও জাতিসত্তার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করা। তিনি সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা প্রদর্শন করে গভীর রাজনৈতিক খাদে পতনোন্মুখ অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করার আহ্বান জানান।

* খবরের লিঙ্ক এখানে
১৬ নভেম্বর ২০২৩আজকের পত্রিকা

তফসিল ঘোষণা দেশকে মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে: ইউপিডিএফ
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৭
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশকে মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনটির প্রচার বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়েছে। 

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে খণ্ডিতভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। 

ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত খীসার বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশকে অনিবার্যভাবে গভীর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা ও মহাবিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। 

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সংখ্যালঘু জাতিসমূহকে বাদ দিয়ে খণ্ডিতভাবে দেশে গণতন্ত্র কায়েম হতে পারে না বলে প্রসিত খীসা বলেন, ‘দেশে বর্তমান সাংবিধানিক সংকট ও গণতন্ত্রহীনতা এ সত্যতার প্রমাণ দেয়।’ 
দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের আস্থা লাভকারী ক্রিয়াশীল আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা, যার দায়িত্ব হবে দেশে সব শ্রেণি ও জাতিসত্তার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করা।’ 
পার্বত্য চট্টগ্রাম