475

Logo-UPDF

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট
(ইউপিডিএফ)

এর

কর্মসূচী

ভূমিকা:
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বাংলাদেশের উগ্রজাতীয়তাবাদী শাসক গোষ্ঠির আভ্যন্তরীণ উপনিবেশিক শাসন, শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রাম করে আসছেন। বৃটিশ আগ্রাসনের পূর্বে এ অঞ্চলে বসবাসরত জাতিসমূহ ছিলেন বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ-মুক্ত ও স্বাধীন। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা সারা ভারতবর্ষ দখলের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে (সে সময় কার্পাস মহল নামে পরিচিত) তাদের সাম্রাজ্যবাদী থাবা বিস্তারের লক্ষ্যে আগ্রাসন শুরু করলে এ অঞ্চলের জনগণ তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ব্যাপী সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনা করেন। পরে ১৭৮৭ সালে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজাদের স্বাধীন সত্তা স্বীকার করে নেয়া হলে এই যুদ্ধ বন্ধ করা হয়। কিন্তু ধুরন্ধর বৃটিশ বেনিয়ারা এই চুক্তি লঙ্ঘন করে ও ধীরে ধীরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অধিকার করে নেয়। এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীন সত্তার বিলুপ্তি ঘটে ও বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ কায়েম হয়। সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তার স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা থেকে নামিয়ে এনে একটি জেলায় পরিণত করা হয়।

১৯৪৭ সালে ভারতে প্রত্যক্ষ বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয় এবং সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামে দু’টি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোর কোন মতামত না নিয়ে বৃটিশরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়। এরপর ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভুত হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম তার অংশে পরিণত হয়। এভাবে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মুরুং, বম, চাক, খিয়াং, পাংকো, লুসাই, তনচঙ্গ্যা অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি এক শাসক থেকে অন্য শাসকের কাছে হাত বদল হলেও, জনগণের হারানো অধিকার এখনো অর্জিত হয়নি।

বৃটিশ যুগে স্থায়ী কৃষি চাষ পদ্ধতি ও আধুনিক শিক্ষা প্রবর্তনের ফলে পাহাড়ি জনগণের এবং বিশেষত চাকমাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে। পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ দশকে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের পর জীবিকার তাগিদে শিক্ষা দীক্ষার ব্যাপক প্রসারের ফলে এই শ্রেণীর বিকাশ ত্বরান্বিত হয় এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে। ১৯৭০ ও ৮০ দশকে এই শ্রেণীর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। কিন্তু শ্রেণীগত সীমাবদ্ধতা, আদর্শিক ও তত্ত্বগত দৈন্যতা এবং সর্বোপরি দেশে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দীর্ঘকাল ধরে স্থবিরতা বিরাজ করার কারণে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে পরিচালিত এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ১৯৯৭ সালে এক আপোষ চুক্তির মাধ্যমে নিঃশেষিত হয়ে যায়।

সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জিত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ জাতীয় মুক্তির আন্দোলন নতুনভাবে সংগঠিত করার জন্য একটি উন্নত মতাদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত ও সুশৃঙ্খল কর্মিবাহিনী সমন্বয়ে গঠিত একটি পার্টি গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে থাকে। ঠিক এই পটভূমিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পাহাড়ি গণ পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ১৯৯৮ সালের ২৫ – ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এক পার্টি প্রস্তুতি সম্মেলনে মিলিত হয় এবং নতুন যুগের পার্টি ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা সংক্ষেপে ইউপিডিএফ গঠন করে। এই পার্টির আন্দোলন নিম্নোক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হবে:

আশু কর্মসূচী:

১. সাধারণ

ক. পার্বত্য চট্টগ্রামে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতিগত সমানাধিকার ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে শোষণ-নিপীড়ন মুক্ত একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
খ. একদিকে উগ্রবাঙালি জাতীয়তাবাদী আধিপত্য ও উগ্রসাম্প্রদায়িক নীতি এবং অন্যদিকে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করা।

২. সেনাবাহিনী

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসনের অবসান ঘটানো এবং সেনা নিপীড়ন থেকে জনগণকে মুক্ত করা।

৩. সেটলার

জাতিগত নিপীড়ন ও উগ্রজাতীয়তাবাদী আধিপত্য প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে সেটলারদের ব্যবহারের বিরোধিতা করা। সমতলে পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের ন্যুনতম মৌলিক মানবিক অধিকার নিশ্চিত করা।

৪. ভূমি

ক. প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি ব্যবস্থাপনার পূর্ণ অধিকার আদায় করা। ব্যক্তিগত সম্পত্তি ব্যতীত সম্প্রদায়গত মালিকানাধীন (ঈড়সসঁহধষষু-ড়হিবফ) সকল জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বন্টন করা। চা, কমলা ও রাবার বাগান সৃষ্টির নামে ব্যক্তিগত উদ্যোক্তার কাছে লিজ দেয়া জমির ব্যবস্থাপনা স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থার নিকট অর্পন করা।
খ. ভূমি বেদখল ও পাহাড়ি জাতিসত্তার জনগণকে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ বন্ধ করা।

৫. ভাষা, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ধর্ম

ক. সকল জাতিসত্তার ভাষাগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও ভাষার বিকাশ ঘটানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রাইমারী পর্যন্ত প্রত্যেক জাতিসত্তার নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা ও শিক্ষাদান করা।
খ. সকল আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির আগ্রাসন প্রতিরোধ করা। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশের স্বার্থে পশ্চাদপদ সামন্তবাদী সংস্কৃতি ও চিন্তা চেতনা নির্মূল করা। জাতিসত্তাসমূহের যা কিছু মানবিক ও প্রগতিশীল তাকে রক্ষা করা এবং তার বিকাশ ঘটানো।
গ. ধর্ম চর্চার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করা।
ঘ. প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তার এবং নিরক্ষরতা দূরীকরণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৬. নারী অধিকার

ক. জাতিসত্তার নারীদের ওপর সেনা নির্যাতন বন্ধসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল ধরনের নারী নির্যাতন বন্ধ করা।
খ. জাতিসত্তাগুলোর নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে জমি ও সম্পত্তিসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

৭. ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও কর্ম অক্ষম ব্যক্তি

ক. পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ছাড়া অন্যান্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর সার্বিক বিকাশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
খ. কর্ম-অক্ষম ব্যক্তিদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও তাদের পুনর্বাসনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৮. পুরোনবস্তি বাঙালি

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পুরোনবস্তি বাঙালিদেরকে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা প্রদান ও তাদের সকল প্রকার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা।

৯. শিল্প ও ব্যবসা

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রসার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ লক্ষ্যে স্থানীয় পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি সমবায় ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করা।

১০. কৃষি ও জুমচাষ

ক. কৃষি উৎপাদনের জন্য ঋণের চাহিদা পূরণ ও কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। দরিদ্র কৃষকদের স্বার্থে মহাজনী সুদী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা।
খ. কঠোরভাবে জুম চাষ নিয়ন্ত্রণ ও পাহাড়ে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
জুম চাষীদেরকে বিকল্প জীবিকার উপায়সহ পুনর্বাসন করা।
গ. বিভিন্ন ফলজ বাগান সৃষ্টির জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা।

১১. পরিবেশ

ক. ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বন ধ্বংস রোধ করা এবং স্থানীয় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর বিদেশী প্রজাতির উদ্ভিদ, মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী আমদানি ও চাষ নিষিদ্ধ করা।
খ. প্রাণ বৈচিত্র্য সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং লুপ্ত প্রায় প্রজাতির প্রাণী শিকার, বিক্রি ও পাচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও বন্ধ করা।

১২. খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ

পার্বত্য চট্টগ্রামের খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন রোধ করা এবং এ সব সম্পদের ওপর স্থানীয় জনগণের অধিকার ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।

১৩. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

ক. বিনামূল্যে চিকিৎসা লাভের অধিকার নিশ্চিত করা। ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চিকিৎসা সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা। পার্বত্য চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ, হোমিও মেডিকেল কলেজ ও নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।
খ. বনজ ঔষধ ভিত্তিক ঐতিহ্যগত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি প্রদান ও তার আধুনিকীকরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১৪. ক্রীড়া ও বিনোদন

ক. জনগণের সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং অশ্লিল চলচিত্র প্রদর্শনী ও বই পুস্তক, সিডি, ডিভিডি ও ম্যাগাজিন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা।

খ. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটি আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা গঠন করা।

১৫. পর্যটন

পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এমনভাবে সংঘটিত করা যাতে জাতিসত্তাসমূহের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন না হয়।

১৬. প্রতিরক্ষা

গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে গড়ে তোলা জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্থানীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা।

১৭. এনজিও

ক. এনজিও কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এবং যেসব এনজিও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার নামে প্রতারণা ও গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত তাদের তৎপরতা বন্ধ করা।
খ. ক্ষুদ্র ঋণের নামে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির ওপর শোষণ বন্ধ করা।

১৮. জাতীয় উন্নয়ন

দেশের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো এবং জাতীয় উন্নয়নে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করা।

১৯. সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তা

দেশের সমতল এলাকার সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোর ন্যায্য অধিকারের প্রতি সমর্থন এবং সকল জাতিসত্তার অধিকার আদায় ও রক্ষার জন্য তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।

২০. দেশ বিদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম

দেশে ও বিদেশে জনগণের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে সমর্থন করা।
………………………………
উপরোল্লেখিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য দরকার রাজনৈতিক ক্ষমতা। পার্বত্য চট্টগ্রামে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যে স্বায়ত্তশাসিত আঞ্চলিক সংস্থা জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ভিত্তিতে গঠিত হবে তার মাধ্যমেই এই সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। জনগণের পূর্ণ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জন সারা দেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তির বিজয়ের ওপর নির্ভরশীল। তাই পার্টি পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনকে সারা দেশের সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনের সাথে যুক্ত করার উদ্যোগ নেবে।

[২৬ – ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ঢাকায় অনুষ্ঠিত পার্টির ১ম জাতীয় কংগ্রেসে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত]